‘আমার এবারের ভোট হবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে, চৌধুরীর (সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী) বিরুদ্ধে। যেই চৌধুরী শিক্ষককে অপমান করে, শিক্ষককে সম্মান করতে পারে না। বরেন্দ্রর এই অঞ্চলে আমার কৃষক ভাইয়েরা কৃষিকাজ করতে পারে না। বরেন্দ্র অঞ্চলে পানির সমস্যা। কিন্তু সরকার থেকে পানির জন্য কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। কিন্তু পানির জন্য বরাদ্দকৃত এই টাকা কোথায় যায়? জমিদার-চৌধুরী সাহেব তো অনেক বড় লোক। এই টাকা কেন তাকে ধরতে হবে। আমি আমার এলাকার ভাইবোনদের বলতে চাই, আমাকে জয়ী করলে বরেন্দ্র ভূমিতে পানির যে সমস্যা এই সমস্যার সমাধান করব।’
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়নের ভোটারদের নিকট নিজের ট্রাক প্রতীকের ভোট চেয়ে গণসংযোগকালে ঢাকাই চলচ্চিত্রের নায়িকা মাহিয়া মাহি ভোটারদের এ আশ্বাস দেন।
উপস্থিত ভোটারদের সমর্থন চেয়ে মাহি বলেন, ‘আপনারা শুধু আমার পাশে থাকবেন কিনা বলেন। আমি আর কিছু না পারি সবাইকে সম্মান করতে পারব। বড়দের রাস্তায় দেখলে আমি সালাম করতে পারব। আপনাদের সাথে মাসে একবার হলেও বসে আপনার সুখ-দুঃখের কথা শুনতে পারব। আল্লাহ আমাকে অনেক বড় লোক বানায়নি। কিন্তু আপনাদের ভালোবাসার অনেক বড় মন দিয়েছে। সেই মনটা দিয়ে আপনাদের ভালোবাসতে পারব, ইনশাআল্লাহ।’
তিনি বলেন, ‘আপনাদের সাথে হাসি-মুখে দুটি কথা বললেই আপনারা খুশি। কিন্তু আপনাদের সবসময় ভয় দেখানো হয়। আপনাদের আতঙ্কের মধ্যে রাখা হয়। আমরা সবাই আতঙ্কমুক্ত হয়ে বাঁচতে চাই। আপনাদের যারা বয়োজ্যেষ্ঠ আছেন, আপনাদের নিকট দোয়া নিতে এসেছি যাতে আপনাদের দোয়ায় আমার ট্রাক মার্কা বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়। ৭ জানুয়ারি বিপুল ভোটের মাধ্যমে জয়ী হয়ে আমরা সবাই একসাথে হাসতে চাই। আর চৌধুরী একলা একলা কাঁদবে।’
উল্লেখ্য, ঢাকাই চলচ্চিত্রের এই নায়িকা রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসন থেকে সংসদ সদস্য পদে লড়তে আওয়ামী লীগের নৌকার মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু তাকে দলীয় মনোনয়ন না দিয়ে তিনবারের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীকেই এবার চতুর্থবারের মতো নৌকার মনোনয়ন দেয় দলের হাইকমান্ড। তবে হাল ছাড়েননি মাহিয়া মাহি। এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ট্রাক প্রতীকে লড়ছেন তিনি।
মন্তব্য করুন