হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে ফের শুরু হয়েছে বালু খেকোদের তাণ্ডব। তবে এবার কোনো ব্যক্তি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নয় এবার সরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজের দোহাই দিয়ে চলছে ড্রেজারের বালু ভরাটের কাজ।
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের অংশের কুশিয়ারা নদী থেকে কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মেঘনা নদী পর্যন্ত নৌপথে কোনো সরকারি ইজারাকৃত বালুমহাল না থাকলেও আজমিরীগঞ্জ এবং কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামের মধ্যাঞ্চলের নদী থেকে অবৈধভাবে তোলা হচ্ছে এই বালু।
এতে করে পুনরায় কাকাইলছেও এর বদরপুর, বদলপুরের পিরোজপুর গ্রামসহ সরকারি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত কৃষকের ফসল রক্ষা বাঁধ নদীভাঙনের হুমকিতে পড়বে বলে আশঙ্কা করেছেন স্থানীয়রা।
বালু উত্তোলনকারীরা বলছেন প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে পৌরসভার ড্যাম্পিং স্টেশন নির্মাণের জন্য বালু দেওয়া হচ্ছে। আর উপজেলা প্রশাসনের দাবি বালু উত্তোলনের জন্য কাউকে কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি।
সরেজমিনে পৌরসদরের ভাটী সমীপুর এলাকা সংলগ্ন কাকাইলছেও সড়কে গিয়ে দেখা গেছে নদীর পাড় থেকে কৃষি জমি ও সড়কের উপর দিয়ে প্রায় ১ হাজার মিটারেরও বেশি মোটা পাইপ বসিয়ে ড্যাম্পিং স্টেশনে ফেলা হচ্ছে বালু।
জানা গেছে, সম্প্রতি পৌরসভার ডাম্পিং স্টেশনের ভবন ও ভবনে যাবার রাস্তা নির্মাণের কাজ দরপত্র আহবানের মাধ্যমে শুরু করা হয়। দরপত্রের মাধ্যমে কাজটি পান ঢাকার৷ এবিএম নামে একটি প্রতিষ্ঠান। যার তত্ত্বাবধানে রয়েছে উপজেলা জনম্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। মূল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এবিএমের কাছ থেকে উপজেলার কাকাইলছেও ইউনিয়নের সৌলরীর বাসিন্দা মোসাব্বির চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি বালু সরবরাহ ও ভরাটের দায়িত্ব নেন। এরই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে নদীতে আনলোড মেশিন বসিয়ে বালু ভরাটের কাজ শুরু করেন মোসাব্বির চৌধুরী৷
মোসাব্বির চৌধুরীর মুটোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, পৌরকর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই আমি বালু ভরাট করছি।
স্থানীয় বাসিন্দা রেজুয়ান রহমান ও দুরাল মিয়াসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, গত কয়েক বছরে নদীভাঙনের ফলে আমাদের কারো ৫৬ মতাংশ কারো ৭০ শতাংশ আবার ফসলি জমি আবার কারো বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখন যদি আবারো বালু খেকোরা সক্রিয় হয় তবে যা আছে তাও নদীতে বিলীন হয়ে গেলে আমাদের অবস্থা কি হবে?
ইউএনও জুয়েল ভৌমিক কালবেলাকে বলেন, পৌরসভার ড্যাম্পিং স্টেশনের রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। তবে বালু তোলা বা আনলোড করতে কাউকে অনুমতি দেওয়া হয়নি।
মন্তব্য করুন