আজমিরীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ড্রেজারের বালু ব্যবহৃত হয় সরকারি কাজে

বালু খেকোদের বালু উত্তোলন। ছবি : কালবেলা
বালু খেকোদের বালু উত্তোলন। ছবি : কালবেলা

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে ফের শুরু হয়েছে বালু খেকোদের তাণ্ডব। তবে এবার কোনো ব্যক্তি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নয় এবার সরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজের দোহাই দিয়ে চলছে ড্রেজারের বালু ভরাটের কাজ।

সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের অংশের কুশিয়ারা নদী থেকে কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মেঘনা নদী পর্যন্ত নৌপথে কোনো সরকারি ইজারাকৃত বালুমহাল না থাকলেও আজমিরীগঞ্জ এবং কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামের মধ্যাঞ্চলের নদী থেকে অবৈধভাবে তোলা হচ্ছে এই বালু।

এতে করে পুনরায় কাকাইলছেও এর বদরপুর, বদলপুরের পিরোজপুর গ্রামসহ সরকারি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত কৃষকের ফসল রক্ষা বাঁধ নদীভাঙনের হুমকিতে পড়বে বলে আশঙ্কা করেছেন স্থানীয়রা।

বালু উত্তোলনকারীরা বলছেন প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে পৌরসভার ড্যাম্পিং স্টেশন নির্মাণের জন্য বালু দেওয়া হচ্ছে। আর উপজেলা প্রশাসনের দাবি বালু উত্তোলনের জন্য কাউকে কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি।

সরেজমিনে পৌরসদরের ভাটী সমীপুর এলাকা সংলগ্ন কাকাইলছেও সড়কে গিয়ে দেখা গেছে নদীর পাড় থেকে কৃষি জমি ও সড়কের উপর দিয়ে প্রায় ১ হাজার মিটারেরও বেশি মোটা পাইপ বসিয়ে ড্যাম্পিং স্টেশনে ফেলা হচ্ছে বালু।

জানা গেছে, সম্প্রতি পৌরসভার ডাম্পিং স্টেশনের ভবন ও ভবনে যাবার রাস্তা নির্মাণের কাজ দরপত্র আহবানের মাধ্যমে শুরু করা হয়। দরপত্রের মাধ্যমে কাজটি পান ঢাকার৷ এবিএম নামে একটি প্রতিষ্ঠান। যার তত্ত্বাবধানে রয়েছে উপজেলা জনম্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। মূল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এবিএমের কাছ থেকে উপজেলার কাকাইলছেও ইউনিয়নের সৌলরীর বাসিন্দা মোসাব্বির চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি বালু সরবরাহ ও ভরাটের দায়িত্ব নেন। এরই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে নদীতে আনলোড মেশিন বসিয়ে বালু ভরাটের কাজ শুরু করেন মোসাব্বির চৌধুরী৷

মোসাব্বির চৌধুরীর মুটোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, পৌরকর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই আমি বালু ভরাট করছি।

স্থানীয় বাসিন্দা রেজুয়ান রহমান ও দুরাল মিয়াসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, গত কয়েক বছরে নদীভাঙনের ফলে আমাদের কারো ৫৬ মতাংশ কারো ৭০ শতাংশ আবার ফসলি জমি আবার কারো বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখন যদি আবারো বালু খেকোরা সক্রিয় হয় তবে যা আছে তাও নদীতে বিলীন হয়ে গেলে আমাদের অবস্থা কি হবে?

ইউএনও জুয়েল ভৌমিক কালবেলাকে বলেন, পৌরসভার ড্যাম্পিং স্টেশনের রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। তবে বালু তোলা বা আনলোড করতে কাউকে অনুমতি দেওয়া হয়নি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রোববার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

শুটিংয়ের প্রলোভনে মডেলকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, অতঃপর...

কেয়ামতের দিন যে ৩ ব্যক্তির বিরুদ্ধে স্বয়ং মহান আল্লাহ বাদী হবেন

বাম চোখ লাফালে কী হয়? যা বলছেন বিশেষজ্ঞ আলেম

২৩ নভেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

লবণ নাকি চিনি, কোনটি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে?

হল ত্যাগের নির্দেশ, ঢাবিশিক্ষার্থীদের প্রতি তাসনিম জুমার যে অনুরোধ

ভূমিকম্প আতঙ্কে হল ছেড়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান ইডেন শিক্ষার্থীদের

৭ ঘণ্টা পর রাজশাহীর সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসায় সংঘর্ষ, আহত অনেক

১০

ক্যাম্প ন্যুতে বার্সার রাজকীয় প্রত্যাবর্তন

১১

জনগণকে নিয়ে এলাকার কল্যাণে কাজ করব : রবিন 

১২

দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেটে ৭৬ ক্লাবকে নিয়ে কোয়াবের চা-চক্রের আয়োজন

১৩

ভূমিকম্প আতঙ্কে ঢাবি ভিসির বাসভবনের সামনে শুয়ে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা

১৪

এবার নিজেদের মাঠে নাস্তানাবুদ লিভারপুল

১৫

ভূমিকম্পে নিহতদের সম্পর্কে যা বলেছেন নবীজি (সা.)

১৬

তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে কোরআন বিতরণ 

১৭

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৫ দিন বন্ধ ঘোষণা, হল ত্যাগের নির্দেশ

১৮

সিমেন্ট কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণ, ৬ শ্রমিক দগ্ধ

১৯

বাংলাদেশ সমাজকর্ম শিক্ষক সমিতির আত্মপ্রকাশ 

২০
X