শতবর্ষী কারিমন বেওয়া। বয়সের ভারে চোখে নেই আলো। অন্যের সাহায্য ছাড়া পারেন না হাঁটতেও। তাই ছোট ছেলের বউয়ের হাত ধরে ভোটকেন্দ্রে এসেছেন নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে। চোখে দেখেন না অথচ ভোট কেনো দিতে এসেছেন জানতে চাইলে শতবর্ষী কারিমন বলেন, ‘চোখে দেখি না তাতে কি আমার ভোট যেন নষ্ট না হয় সেজন্যই ভোট দিতে এসেছি।’
মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বিড়ালদহ শাহ করোম আলী উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে এসে এভাবেই ভোট নিয়ে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানালেন ভোট সচেতন এই বৃদ্ধা।
কারিমন বেওয়া বলেন, ভোট আমার অধিকার। আমি চোখে দেখি না, শরীরও ভালো না। কিন্তু তাই বলে আমি ভোট দিতে আসব না এটা হয় না। বয়স হয়ে গেলেও আমি ভোটের অধিকার সম্পর্কে খুবই সচেতন। জীবনে কখনো এই অধিকার থেকে নিজেকে বিরত রেখেছি তা মনে পড়ে না।
যদিও ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ছিল একেবারেই কম। সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হলেও সকাল ৯টা পর্যন্ত এক ঘণ্টায় ওই ভোটকেন্দ্রে ভোট পড়েছে মাত্র ৫৪টি। অথচ শাহ করম আলী উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা দুই হাজারেরও অধিক।
ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্বে থাকা মো. মোত্তালেব হোসেন বলেন, ভোটার উপস্থিতি খুবই কম। সকাল ৯টা পর্যন্ত মাত্র ৫৪টি ভোট পড়েছে।’ তবে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতিও বাড়তে পারে।
উল্লেখ্য, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে আজ রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে এ ভোটগ্রহণ। উপজেলায় মোট ভোটার ১ লাখ ৮২ হাজার ১ জন, মহিলা ভোটার ৯০ হাজার ১৩৬ জন, পুরুষ ভোটার ৯১ হাজার ৮৬২ জন, হিজরা ৩ জন এবং ৭৮টি ভোটকেন্দ্রে এই ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
তারা হলেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম হিরা বাচ্চু (মোটরসাইকেল), জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সামাদ মোল্লা (আনারস) এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আহসানুল হক মাসুদ (ঘোড়া)।
মন্তব্য করুন