সাবেক এমপি শাম্মী আক্তারের গুলশানের বাসায় চাঁদাবাজি মামলায় গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপু আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। চাঁদাবাজির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আদায়কৃত চাঁদার মধ্যে পাঁচ লাখ টাকা নিয়েছেন তিনি। ওই চাঁদার টাকায় মোটরসাইকেল কেনেন। পরে পুলিশ সেটি জব্দ করে।
বুধবার (০৬ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জামসেদ আলম তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
এদিন চার দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তিনি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেছুর রহমান তার জবানবন্দি রেকর্ড করতে আবেদন করেন। আবেদনে বলেন, এ মামলার দুই নম্বর আসামি জানে আলম অপু গত ২৬ জুলাই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। গ্রেপ্তারের পরে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, তাদের (রিয়াদ-অপু) আদায়কৃত চাঁদার মধ্যে অপু পাঁচ লাখ টাকা নিয়েছে। ওই চাঁদার টাকায় কেনা একটি মোটরসাইকেল কেনেন অপু। মোটরসাইকেলটি উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়েছে। আসামি জানে আলম অপু মামলার ঘটনার বিষয়ে নিজেকে ছাড়া অন্য আসামিদের কার কী ভূমিকা তা বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে ইচ্ছুক। তাই আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক লিপিবদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন।
এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করেন আদালত। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে গত ২ আগস্ট আদালত তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ মামলায় গত ৩ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আবদুর রাজ্জাক বিন সোলাইমান ওরফে রিয়াদ দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে রিয়াদ বলেন, চাঁদার ১০ লাখ টাকা ভাগ করে নেন অপু ও রিয়াদ। এছাড়া এ মামলায় সাত দিনের রিমান্ড শেষে তাদের সহযোগী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক মো. ইব্রাহিম হোসেন, সদস্য সাকাদাউন সিয়াম এবং সাদমান সাদাবকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত ২৬ জুলাই সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের স্বামী সিদ্দিক আবু জাফর বাদী হয়ে গুলশান থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় বলা হয়, আসামিরা পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তবে তাদের ১০ লাখ টাকা দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন