রাজধানীর শাহবাগ থানা এলাকায় মোটরসাইকেল পোড়ানোর অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও মির্জা আব্বাসসহ ৭০ জনকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ সাব্বির ফয়েজ পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে এ আদেশ দেন।
এ দুই মামলার উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন-নবী খান সোহেল, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, বিএনপি নেতা সাইফুল আলম নিরব ও সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতে এসব মামলা দায়ের করা হয়েছিল। পুলিশ তদন্ত করে সত্যতা না পেয়ে তাদের অব্যাহতির সুপারিশ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। আজ এ প্রতিবেদন গ্রহণ করে সকলকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। আগের দিন ১১ ডিসেম্বর শাহবাগ থানার হাইকোর্ট মাজার গেইট সংলগ্ন এলাকায় আসামিরা একটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে ক্ষতি সাধান করে। এ ঘটনায় শাহবাগ থানার এসআই ইদ্রিস আলী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি তদন্ত শেষে চলতি বছরের ১০ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাসসহ ৭০ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
মন্তব্য করুন