

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা ও মেয়েকে হত্যার ঘটনায় গৃহকর্মীর বিরুদ্ধে করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৩ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিব উল্লাহ পিয়াসের আদালতে মামলাটির এজাহার আসে। এরপর তা গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট থানার উপপরিদর্শক শহিদুল ওসমান মাসুদকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
এর আগে, নিহত লায়লা ফিরোজের স্বামী আ জ ম আজিজুল ইসলাম বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ৫ ডিসেম্বর আসামি আয়েশা বাদী আজিজুল ইসলামের বাসায় খণ্ডকালীন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। ৮ ডিসেম্বর সকাল অনুমান ৭টার সময় তিনি নিজের কর্মস্থল উত্তরায় চলে যান। কর্মস্থল থেকে তিনি স্ত্রীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে তিনি নিরুপায় হয়ে সকাল ১১টার সময় বাসায় ফেরত আসেন। এসে দেখেন, তার স্ত্রীর গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাটা রক্তাক্ত জখম হয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে এবং তার মেয়ের গলার ডান দিকে কাটা। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মেইন গেটের দিকে পড়ে আছে। তখন মেয়ের ওই অবস্থা দেখে তাকে উদ্ধার করে পরিছন্নকর্মী মো. আশিকের মাধ্যমে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও উল্লেখ করা হয়, আজিজুল বাসার সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনায় দেখতে পান, আসামি গৃহকর্মী আয়েশা সকাল ৭টা ৫১ মিনিটে কাজ করার জন্য বাসায় আসেন এবং সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের সময় তার মেয়ের একটি মোবাইল, একটি ল্যাপটপ স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থসহ অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে যান। সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে বাদী নিশ্চিত হয় যে, অজ্ঞাত কারণে সকাল ৭টা ৫১ থেকে ৯টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে যেকোনো সময় তার স্ত্রী ও মেয়েকে ছুরি অথবা অন্য কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে হত্যা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন