রাজধানীর তিন থানার পৃথক ১০ মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন গ্রহণ করে আইনানুযায়ী তা নিষ্পত্তি করতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে (সিএমএম) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের একই বেঞ্চ রাজধানীর নিউমার্কেট ও ধানমন্ডি থানায় করা পৃথক দুই মামলায় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানীর জামিন আবেদন গ্রহণ করে আইনানুযায়ী তা নিষ্পত্তি করতেও ঢাকার সিএমএমকে নির্দেশ দিয়েছেন।
রোববার (২১ জানুয়ারি) মির্জা আব্বাস ও শহীদ উদ্দীনের করা পৃথক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর পল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে এসব মামলা দায়ের করে পুলিশ। এর মধ্য রমনা, পল্টন মডেল থানায় ও ঢাকা রেলওয়ে পুলিশ স্টেশনে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে করা ১০ মামলা এবং নিউমার্কেট ও ধানমন্ডি থানায় দুই মামলায় শহীদ উদ্দীনের জামিন চেয়ে আবেদন করা হলে গত ১০ জানুয়ারি তা গ্রহণ করেননি সিএমএম আদালত। পরে এসব মামলায় তাদের জামিন আবেদন গ্রহণ করে তা নিষ্পত্তির নির্দেশনা চেয়ে ১৫ জানুয়ারি পৃথক রিট করেন তারা।
আজ আদালতে বিএনপির দুই নেতার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও আইনজীবী সগীর হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।
পরে আইনজীবী সগীর হোসেন বলেন, রাজধানীর শাজাহানপুর থানার এক মামলায় গত ২৯ অক্টোবর মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই থেকে তিনি কারাগারে। এটি ছাড়া তার বিরুদ্ধে আরও ১০টি মামলা আছে। এসব মামলায় তার জামিন আবেদন করা হয়, যা ১০ জানুয়ারি নিম্ন আদালত গ্রহণ করেননি। এ অবস্থায় ১০ মামলায় জামিন আবেদনগুলো গ্রহণ করে আইন অনুসারে নিষ্পত্তির নির্দেশনা চেয়ে মির্জা আব্বাস একটি রিট করেন। তিনি আরও বলেন, গত বছরের ৫ অক্টোবর ধানমন্ডি থানার এক মামলায় শহীদ উদ্দীনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই থেকে তিনি কারাগারে। এটি ছাড়া শহীদ উদ্দীনের বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা আছে। দুই মামলায় তার জামিন আবেদন করা হয়, যা ১০ জানুয়ারি নিম্ন আদালত গ্রহণ করেননি। এ অবস্থায় দুই মামলায় তার জামিন আবেদনগুলো গ্রহণ করে আইন অনুসারে নিষ্পত্তির নির্দেশনা চেয়ে শহীদ উদ্দীন আরেকটি রিট করেন। পৃথক রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ১০ মামলায় মির্জা আব্বাসের এবং দুই মামলায় শহীদ উদ্দীনের জামিন আবেদন গ্রহণ করে আইন অনুসারে ১৫ দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করতে সিএমএম আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন