ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে কলকাতায় হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার শিলাস্তি রহমানসহ তিনজনকে আদালতে তোলা হয়েছে। আদালতে তোলার সময় ক্যামেরা দেখে মুখ লুকাতে থাকেন শিলাস্তি। পরে তাকে আদালতে ডেকে তোলা হলে কাঁদতে থাকেন।
শুক্রবার (২৪ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথির আদালতে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
সকালে আদালতে হাজির করা হয় অভিযুক্তদের। এ সময় তাদের আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। গ্রেপ্তার তিন আসামি হলেন- আমানুল্লাহ ওরফের শিমুল ভূঁইয়া, শিলাস্তি রহমান ও ফয়সাল আলী ওরফে সাজি।
এর আগে গত ২২ মে শেরেবাংলা নগর থানায় নিহত সংসদ সদস্যের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন বাদী হয়ে অপহরণ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে আনোয়ারুল আজিম আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন উল্লেখ করেছেন, গত ৯ মে আমার বাবা আনোয়ারুল আজিম রাত ৮টায় আমাদের বর্তমান বাসা (সংসদ সদস্য ভবন, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ) থেকে গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা করেন। পরে গত ১১ মে বিকাল আনুমানিক ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে আমার বাবার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বললে বাবার কথাবার্তায় কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর বাবার মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাই। গত ১৩ মে বাবার ইন্ডিয়ান সিম নম্বর থেকে উজির মামার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে একটি মেসেজ আসে- ‘আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি। আমার সঙ্গে ভিআইপি আছে। আমি অমিত সাহার কাছে যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেওয়ার দরকার নাই। আমি পরে ফোন দেব।’ এটি ছাড়াও আরও কয়েকটি মেসেজ আসে। ওই মেসেজগুলো আমার বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা করে থাকতে পারে। পরবর্তীতে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানতে পারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজশে আমার বাবাকে অপহরণ করেছে।
গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ভারতে যান এমপি আনার। ১৩ মে তিনি হোয়াটসঅ্যাপে জানান, দিল্লি যাচ্ছেন। এরপর তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি। এরপর কলকাতার পুলিশ জানায়, আনার খুন হয়েছেন।
আনোয়ারুল আজিম আনার ঝিনাইদহ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য। তিনি ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
মন্তব্য করুন