

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সুইমিংপুলে সাঁতার কাটতে গিয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সায়মা হোসেনের মৃত্যুকে ‘অবহেলাজনিত হত্যা’ আখ্যা দিয়ে বিক্ষোভ করেছেন তার সহপাঠীরা।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি পালন করেন।
এ সময় তারা অবহেলায় যুক্ত সবার বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত ও বিচারসহ চার দফা দাবি জানান এবং আগামী তিন দিন ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন।
সায়মা হোসেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং মন্নুজান হলের আবাসিক ছিলেন। তার বাড়ি কুষ্টিয়া জেলায়।
শিক্ষার্থীদের দাবির মধ্যে রয়েছে- সায়মার মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের তদন্তসাপেক্ষে শাস্তি প্রদান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া, বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রের সংস্কার ও উন্নতসেবা নিশ্চিতকরণে রোডম্যাপ ঘোষণা এবং সুইমিংপুলের একটি অংশের গ্যালারি সায়মার নামে নামকরণ।
সমাবেশে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফজল বলেন, সায়মার মৃত্যুর সময় তিনজন প্রশিক্ষক সুইমিংপুলের ভেতরেই উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু কেউ তার অনুপস্থিতি লক্ষ্য করেননি। পরে যখন তারা বুঝতে পারেন সায়মা ডুবে গেছেন, তখন জিমনেসিয়াম থেকে লোক এনে তাকে উদ্ধার করা হয়। প্রশ্ন হলো, তারা কেমন প্রশিক্ষক? একজন শিক্ষার্থী ডুবে আছেন, তারা কিছুই টের পান না। প্রশাসন তাদের কীভাবে নিয়োগ দিয়েছে, সেটিও তদন্ত করা দরকার।
আরেক শিক্ষার্থী নিশাত জান্নাত বলেন, কয়েকজনের দায়িত্বে অবহেলার কারণেই আমরা আজ সায়মাকে হারিয়েছি। এ মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। দোষীদের বিচারসহ আমাদের চার দফা দাবি অবশ্যই মেনে নিতে হবে।
বিক্ষোভে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। তারা জানান, প্রশাসন দাবিগুলো না মানা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।
মন্তব্য করুন