

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলির করার সঙ্গে তার পেছনের রিকশায় ছিলেন মো. রাফি। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি পুরো ঘটনার বিবরণ জানিয়েছেন।
মো. রাফি বলেন, ‘জুমার নামাজ শেষে রিকশায় আমরা হাইকোর্টের দিকে আসছিলাম। বিজয়নগরে আসতেই একটা মোটরসাইকেলে করে দুজন এসে হাদি ভাইয়ের ওপর গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। আমি ভাইয়ের পেছনের রিকশায় ছিলাম।’
সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদিকে ‘লাইফ সাপোর্ট’ দেওয়া হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে হাদির সর্বশেষ তথ্য জানান ঢাকা মেডিকেলের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘‘হাদির অবস্থা ক্রিটিক্যাল (আশঙ্কাজনক)। তাকে ‘লাইফ সাপোর্ট’ দেওয়া হয়েছে। বুলেটটি (গুলিটি) তার মাথার ভেতরে রয়েছে।”
এদিকে হাদিকে দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে যান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। সেখানে তোপের মুখে পড়েন তিনি। শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে এলে ‘ভুয়া, ভুয়া’ বলে স্লোগান শুরু করেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য ও হাদির সমর্থকরা। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা মির্জা আব্বাসকে নিরাপত্তা দিয়ে হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করার সুযোগ করে দেন। এ সময়ে ইনকিলাব মঞ্চের নেতাকর্মীরা আরও নানা স্লোগান দিতে থাকেন।
এর আগে দুপুরে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় রাজধানীর বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকায় হাদির ওপর গুলি চালানো হয়।
জুলাই ঐক্যের অন্যতম সংগঠক ইস্রাফিল ফরায়েজি জানান, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে আনা হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক বলেন, ‘দুপুর আড়াইটার পরপরই হাদিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার বাম কানের নিচে গুলি লেগেছে, অবস্থা আশঙ্কাজনক।’
ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আমরা শুনেছি, বিজয়নগর এলাকায় তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তবে বিষয়টি আমরা নিশ্চিত নই, আমাদের টিম পাঠিয়েছি। টিম আমাদের কনফার্ম করলে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারব।’
মন্তব্য করুন