

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী অ্যাকাডেমিক ভবনের ছাদে নাট্যকলা বিভাগের পুরোনো সরঞ্জামে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বালতি ভর্তি পানি দিয়ে প্রাথমিকভাবে আগুন নিভিয়ে ফেলেন। পরে ফায়ার সার্ভিস গিয়ে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনে। এর মধ্যে আগুন লাগা পুরোনো সরঞ্জামের অধিকাংশই পুড়ে যায়।
মঙ্গলবার (০৯ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ভবনের অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রে পর্যাপ্ত গ্যাস না থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লেগেছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাদের ধারণা, কেউ আগুন লাগায়নি। কারও জ্বলন্ত সিগারেটের আগুন থেকে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাদের এক কোণে থাকা কাঠ, খড়কুটো, কাগজ-বোর্ডসহ নাট্যকলার বিভিন্ন পুরোনো সরঞ্জামে আগুন ধরে যায়। ধোঁয়া দেখে শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা দৌড়ে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন এবং আগুন নেভাতে সক্ষম হন। তবে ভবনের অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রে পর্যাপ্ত গ্যাস না থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগে। পরে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট গিয়ে প্রায় আধঘণ্টায় আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনে। এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শিক্ষার্থী ও বিভাগের শিক্ষকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী নীরব বলেন, আগুনের ধোঁয়া দেখামাত্রই ওপরে উঠে বালতি ভর্তি পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি এবং নিভে যায়। গ্যাস সিলিন্ডারগুলোয় তেমন কোনো গ্যাস ছিল না, কোনোটাতে নেই, কোনোটাতে হালকা পরিমাণ গ্যাস ছিল। আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিসকে ফোন দেওয়া হলে তারা এসে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আরিফ হায়দার বলেন, আমি যখন ক্লাস নিয়ে নিচে গেছি, তখন হঠাৎ নিচ থেকে দেখতে পাই ওপরে ধোঁয়া উড়ছে। এক ছাত্রের ফোন পেয়ে ওপরে উঠে দরজা আটকানো দেখতে পাই। পরে চাবি এনেও ভেতরে ঢোকা যাচ্ছিল না। আগুনের লেলিহান শিখা অনেক ওপরে উঠে গিয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, পরে স্টুডেন্টরা বালতি ভর্তি পানি এনে, আগুননির্বাপক সিলিন্ডার এনে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে এবং মোটামুটি আগুন নিভে যায়। এরপর ফায়ার সার্ভিস এসে পুরাপুরি নেভায়।
আরিফ হায়দার বলেন, ‘আমার ধারণা কেউ আগুন লাগায়নি। হয়তো কেউ সিগারেট খেয়ে ফেলে রেখে গেছে, সেখান থেকে হয়তো আগুন লেগেছে।’
ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের রাবি শাখার পরিচালক মো. ওয়ালিদ হোসেন বলেন, আগুন লাগার খবর শুনে দুটি ইউনিট নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। এরপর পাইপের মাধ্যমে ছাদ পর্যন্ত পানি নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি।
মন্তব্য করুন