কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৩৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নেত্রকোনায় ৯০ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য

নেত্রকোনা জেলার ম্যাপ। ছবি : কালবেলা
নেত্রকোনা জেলার ম্যাপ। ছবি : কালবেলা

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় ১৮২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে পূর্ণ মর্যাদার প্রধান শিক্ষক নেই ৯০ বিদ্যালয়ে। এ ছাড়া উপজেলা শিক্ষা অফিসে ১৩টি পদের মধ্যে ৮টি পদই খালি। শুধু তিনজন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও দুজন অফিস সহায়ক দিয়ে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। এতে করে পাঠদানসহ অন্যান্য কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষক না থাকায় সহকারী শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এতে করে একসঙ্গে দুই দায়িত্ব পালন করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। তাই শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে হলে শিগগিরই এসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ পূরণ করা দরকার বলে মনে করছেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, কেন্দুয়া উপজেলায় ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ১৮২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। যার মধ্যে ৯০ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য। ৪৭টি বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষককে চলতি দায়িত্ব দিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কাজ চালানো হচ্ছে। ৪৩টি বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

তা ছাড়া বিভিন্ন বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে। সহকারী শিক্ষা অফিসারের সংকট থাকায় ৭টি ক্লাস্টারের কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে। আর ৯২টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সরাসরি বা পদোন্নতি পেয়ে প্রধান শিক্ষক হয়েছেন।

পোড়াবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) আব্দুস সাকি জানান, তাদের বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষকের পদটি শূন্য রয়েছে। বর্তমানে প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) হিসেবে পালন করে আসছি আমি। বিদ্যালয় এবং অফিসের কাজ সামলাতে বেশি চাপে থাকতে হচ্ছে। তাই দ্রুত একজন স্থায়ী প্রধান শিক্ষকের দাবি জানাচ্ছি।

কেন্দুয়া প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জহুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. জামিরুল হক জানান, উপজেলার ৯০টি প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। আর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারসহ ৮টি পদ শূন্য থাকায় বিদ্যালয়ে পাঠদানসহ অফিসের কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। শিগরিই এসব পদ পূরণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম বলেন, প্রায় বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষকের সংকট রয়েছে। এভাবে চললে শিক্ষার গুণগত মান ক্ষুণ্ণ হবে। আমি এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি।

কেন্দুয়া উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, উপজেলার ১৮২টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ৯০টিতে স্থায়ী প্রধান শিক্ষক নেই। অফিসে ১৩টি পদের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারসহ ৮টি পদই শূন্য। যার ফলে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

তিনি বলেন, শূন্য পদগুলো পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ করা হবে। এটির একটি প্রক্রিয়া চলছে। নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না, তবে শূন্য পদগুলো তাড়াতাড়ি পূরণ হবে বলে আশা করছি।

তা ছাড়া অফিসিয়াল পদগুলো শিগরিই পূরণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে ভারতপন্থিদের তীব্র সংঘর্ষ, নিহত ১২

কবরস্থানের গাছ বিক্রির অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে 

​​​​​​​ট্রাম্প যুদ্ধ থামিয়েছেন, অস্বীকার করছে ভারত

গায়ক নোবেল গ্রেপ্তার

আন্দোলনকারীদের নতুন নির্দেশনা দিলেন ইশরাক

রাতে স্ত্রীকে খুন, ভোরে আত্মসমর্পণ করলেন স্বামী

জামিন পেলেন নুসরাত ফারিয়া

উড্ডয়নের পরই তার্কিশ এয়ারলাইন্সের ইঞ্জিনে আগুন

ধাক্কাধাক্কির জেরে কিশোরকে কুপিয়ে হত্যা

পাকিস্তানকে সমর্থন করায় মুসলিম দেশের পণ্য বয়কট ভারতের

১০

আইসিইউ থাকলেও চিকিৎসক নেই ৩ বছর

১১

স্টারলিংকে খরচ কত পড়বে?

১২

পর্যটকশূন্য টেংরাগিরি ইকোপার্ক, নেপথ্যে কী এই সেতু?

১৩

ফ্রিতে হজের আমন্ত্রণ জানাল সৌদি আরব

১৪

দেশে যাত্রা শুরু করেছে স্টারলিংক

১৫

ভারতের বিভিন্ন ব্যক্তি-সংস্থার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

১৬

ক্যানসার আক্রান্ত বাইডেন আছেন আর মাত্র দুই মাস!

১৭

ইসরায়েলের ওপর চড়াও পশ্চিমের তিন শক্তিশালী দেশ

১৮

ভারতের নিষেধাজ্ঞায় আখাউড়ায় রপ্তানি বাণিজ্যে স্থবিরতা

১৯

দুপুরের মধ্যে ৫ জেলায় ঝড়ের শঙ্কা

২০
X