

তিন দফা দাবিতে কর্মবিরতিতে থাকার প্রাথমিক স্কুলের সহকারী শিক্ষকদের কাজে যোগদানের নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে চলমান বার্ষিক পরীক্ষায় নেওয়ার ক্ষেত্রে কেউ বাধা দিলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের কয়েকটি সংগঠন গত ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া কর্মবিরতি এবং আজ থেকে ঘোষিত কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির বিষয়ে অবগত রয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। দাবি পূরণে মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন প্রদানের দাবিসহ ১০ ও ১৬ বছর চাকরি সমাপনান্তে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা নিরসন এবং প্রধান শিক্ষক পদে সহকারী শিক্ষকদের মধ্য হতে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির বিষয়ে ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। গণশিক্ষা উপদেষ্টা অর্থ উপদেষ্টা এবং বেতন কমিশনের সভাপতির সঙ্গে দাবি বাস্তবায়নের বিষয়ে ব্যক্তিগতভাবে আলোচনা করেছে।
এর আগে গত ৭ আগস্ট সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১৩তম গ্রেড হতে ১১তম গ্রেডে উন্নীত করতে জাতীয় বেতন কমিশন-২০২৫-কে অনুরোধ জানিয়েও চিঠি দেন উপদেষ্টা। নভেম্বরের ১০ তারিখে অর্থ বিভাগের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আমাদের জানানো হয়, পে-কমিশনের প্রতিবেদন পাওয়ার পরপরই অর্থ বিভাগ বেতন স্কেল উন্নীতকরণের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এতো উদ্যোগ গ্রহণের পরও দেখা যাচ্ছে সহকারী শিক্ষকদের কয়েকটি সংগঠন চলমান বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণ না করে বিভিন্নভাবে পরীক্ষা গ্রহণে বাধা বিঘ্ন সৃষ্টি করেছে। এমনকি কোথাও কোথাও পরীক্ষা গ্রহণে ইচ্ছুক শিক্ষকদের ওপর হামলা ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনাও ঘটেছে।
মন্ত্রণালয় এই ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত কর্মসূচিকে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দেওয়া এবং সরকারি চাকরি আইন, আচরণ বিধিমালার পরিপন্থি ও ফৌজদারি আইনে বিবেচ্য বলে উল্লেখ করেছে। এ পরিস্থিতিতে দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকগণকে অবিলম্বে কাজে যোগদান করে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার জন্য শিক্ষকদের নির্দেশ দেওয়া হয়।
মন্ত্রণালয় এই কঠোর সতর্কতা যারা অমান্য করবে তাদের বিরদ্ধে শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যক্রম আচরণ বিধিমালা ও ফৌজদারি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন