গত ৮ এপ্রিল রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের চর মজলিশপুর এলাকায় ভুট্টাক্ষেত পরিচর্যাকালে সাঈদুল শেখ নামের এক কৃষককে সাপে ছোবল দেয়। এর সাত দিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এর কয়েকদিন আগে ২৯ মার্চ গোয়ালন্দের দেবীপুর চরে ময়না বেগম নামের এক শ্রমিককে সাপে ছোবল দেয়। পরে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফেরার ১৪ দিন পর ময়না বেগমের মৃত্যু হয়।
এ দুটি ঘটনার শিকার ব্যক্তিরা রাসেল ভাইপারের দংশনের শিকার হয়েছিল বলে উপসর্গ দেখে নিশ্চিত করেছেন চিকিৎসকরা।
অন্যদিকে গত ১ মার্চ দুপুরে মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের চরে ভুট্টা ক্ষেতে পানি দেওয়ার রাসেল ভাইপারের আক্রমণের শিকার হন শেখ লাল মিয়া। হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পরও ছয় দিন পর তার মৃত্যু হয়।
একই দিনে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পদ্মা নদীতে মাছ ধরছিলেন ভাটা ব্যবসায়ী তারিক শেখ। এ সময় রাসেল ভাইপার তাকে কামড় দেয়। পরে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাঁচ দিন পর তার মৃত্যু হয়।
আবার গত ৭ মার্চ ফরিদপুরের চর ভদ্রাসনের চর শালেপুরে সরিষা কাটতে গিয়েছিলেন কৃষক বিশা প্রামাণিক। ওই দিন দুপুর ১২টার দিকে তাকে রাসেল ভাইপারে কামড় দেয়।
এরপর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং সর্বশেষ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। সাপে কামড় দেওয়ার ৩৬ দিন পর ১৩ এপ্রিল তার মৃত্যু হয়।
সর্বশেষ চলতি মাসের ৬ তারিখে রাসেল ভাইপার সাপের দংশনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীরও মৃত্যু হয়েছে।
মন্তব্য করুন