

ট্রিপল-নেগেটিভ ব্রেস্ট ক্যানসার প্রতিরোধে ভ্যাকসিনের সফল প্রয়োগ করেছেন বিজ্ঞানীরা। এ পরীক্ষায় তারা আশাব্যঞ্জক ফল পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। সম্প্রতি একটি সেমিনারে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) এনবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
টেক্সাসে সান অ্যান্টোনিও ব্রেস্ট ক্যানসার সিম্পোজিয়ামে এ-সংক্রান্ত ফলাফল উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ভ্যাকসিনটি নিরাপদ এবং রোগীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ইমিউন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর ক্যারোলাইনার ৩৬ বছর বয়সী চেইস জনসন ২০২১ সালে আক্রমণাত্মক ট্রিপল-নেগেটিভ স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন। দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার পর তিনি রোগমুক্ত হলেও পুনরাবৃত্তির ঝুঁকি বেশি থাকায় ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের ভ্যাকসিন ট্রায়ালে অংশ নেন। ট্রিপল-নেগেটিভ ক্যানসারের ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ রোগীর ক্যানসার ফিরে আসার সম্ভাবনা থাকে।
ভ্যাকসিনটি α-ল্যাক্টালবুমিন নামের একটি প্রোটিনকে লক্ষ্য করে, যা প্রায় ৭০ শতাংশ ট্রিপল-নেগেটিভ স্তন টিউমারে পাওয়া যায়। গবেষকদের লক্ষ্য হলো ইমিউন সিস্টেমকে এমনভাবে কার্যকর করা যাতে টি-সেল এই প্রোটিনযুক্ত ক্যানসার কোষ শনাক্ত করে ধ্বংস করতে পারে।
প্রথম ধাপে ট্রায়ালে তিনটি গ্রুপে ৩৫ জন নারীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৭৪ শতাংশের দেহে ভ্যাকসিনটি ইমিউন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। যদিও এই প্রতিক্রিয়া ভবিষ্যতে ক্যানসার প্রতিরোধ বা পুনরাবৃত্তি কমাতে কতটা কার্যকর হবে, তা এখনও জানা যায়নি।
এনবিসি নিউজ জানিয়েছে, পরীক্ষায় কোনো গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি, শুধু ইনজেকশন স্থানে সামান্য লালচেভাব বা গুটির মতো সমস্যা ছিল।
গবেষক ড. জি. থমাস বাড জানান, আগামী বছর দ্বিতীয় ধাপে ট্রায়াল শুরু হবে, যেখানে প্রথমবারের মতো দেখা হবে ভ্যাকসিনটি সত্যিই পুনরাবৃত্তির ঝুঁকি কমাতে পারে কিনা। সফল হলে ভবিষ্যতে উচ্চ জেনেটিক ঝুঁকিতে থাকা নারীদের জন্য প্রতিরোধমূলক ভ্যাকসিন হিসেবে ব্যবহারের সম্ভাবনা তৈরি হবে।
মন্তব্য করুন