কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৩ জুন ২০২৫, ১০:৩২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বিয়ের জন্য ঋণ দরকার, মানতে হবে যেসব শর্ত

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বিয়ের উপযুক্ত বয়স হয়েছে, ভালো আয়ের ব্যবস্থাও আছে, অথচ বিয়ে করার জন্য পর্যাপ্ত টাকা নেই। কারো কাছে চাওয়ারও উপায় নেই। এ অবস্থায় দুশ্চিন্তা ঘিরে ধরে দেশের অধিকাংশ মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের। এসব মানুষের কথা ভেবে তাদের সহযোগিতায় ‍ম্যারেজ লোন বা বিবাহ ঋণ দিচ্ছে দেশের কয়েকটি ব্যাংক।

বিয়ের জন্য ২৫ হাজার টাকা থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিচ্ছে ব্যাংকগুলো। এই ঋণ মাসিক কিস্তির মাধ্যমে পরিশোধ করা যায়। ঋণ পরিশোধে সময় পাবেন সর্বোচ্চ ৫ বছর।

ব্যাংকগুলোর ওয়েবসাইটে এ ধরনের ঋণের বিষয়ে তথ্য দেওয়া হয়েছে। যেসব ব্যাংক এ বিবাহ ঋণ দিচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে উত্তরা ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, সীমান্ত ব্যাংক, ইউসিবি, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ইত্যাদি। এ ছাড়া বেশির ভাগ ব্যাংক থেকে ব্যক্তিগত ঋণ সুবিধায় বিবাহ ঋণ নেওয়া যায়। তবে এই ঋণ পাওয়ার জন্য বেশ কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে।

বিয়ের ঋণের পরিমাণ নির্ভর করে আবেদনকারীর মাসিক আয়, চাকরির ধরন ও চাকরির অভিজ্ঞতার ওপর। যারা ভালো বেতনের চাকরি করে বা মাসে ভালো আয় করেন ঋণ পাওয়ার দৌড়ে তারা এগিয়ে থাকবেন।

বিয়ের জন্য সর্বোচ্চ ঋণ পাওয়া যায় ন্যাশনাল ক্রেডিট এন্ড কমার্স (এনসিসি) ব্যাংক থেকে। ঋণের সীমা ১ লাখ টাকা থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত। চাকরিজীবী, জমির মালিক, ব্যবসায়ীরা এই ঋণ পাবেন। ১ থেকে ৫ বছরের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে হয়। চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে মাসে কমপক্ষে ৩০ হাজার টাকা আয় হতে হবে। বাকিদের ক্ষেত্রে এর পরিমাণ কমপক্ষে ৪০ হাজার টাকা।

বেসরকারি ব্যাংক উত্তরা ব্যাংক থেকে সর্বনিম্ন ২৫ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত বিয়ের জন্য ঋণ পাওয়া যায়। ঋণ পরিশোধের সময়সীমা সাধারণত এক থেকে তিন বছর দেওয়া হয়।

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক থেকে বিয়ের জন্য ২ লাখ টাকা থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যায়। ২১ থেকে ৬৫ বছর বয়সী চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীরা এই ঋণ পাওয়ার উপযোগী।

একইভাবে ইউসিবি বিয়ের জন্য ঋণ দেয়। এই ব্যাংক থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যায়। করিজীবী, চিকিৎসক, ব্যবসায়ী, জমির মালিকসহ নানা পেশার লোকজন এই ঋণ পেতে পারেন।

বিয়ের জন্য ঋণ পেতে জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট সাইজ ছবি, চাকরির প্রমাণপত্র (যেমন আইডি কার্ড, নিয়োগপত্র), সর্বশেষ ৩ থেকে ৬ মাসের পে-স্লিপ, ব্যাংক হিসাবের বিবরণী, কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) সনদ এবং কিছু ক্ষেত্রে অনাপত্তি সনদ (এনওসি) প্রয়োজন হয়। এছাড়া কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিয়ের কার্ড ও চিকিৎসার কাগজ বা ভ্রমণ পরিকল্পনার কপি দিতে হতে পারে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভূমিকম্পের সময় কী করা উচিত, জানাল ফায়ার সার্ভিস

নর্দান ইউনিভার্সিটির নতুন ভিসি অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান

বিএনপি বিনামূল্যে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা চালু করবে : আমীর খসরু

এমপি হলে সৎপথে ব্যবসার লাইন দেখিয়ে দেব : আজহারুল ইসলাম মান্নান

হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া

কমনওয়েলথ মহাসচিবের সঙ্গে এনসিপি নেতাদের সাক্ষাৎ

ইসলামবিরোধী আইন মেনে নেওয়া হবে না : মাওলানা রাব্বানী

বাবার ঋণের দায়ে ছেলেকে অপহরণ, স্বপ্নভঙ্গ পরীক্ষার্থীর

ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমিরে জামায়াতের বৈঠক

ফাইনালে টস জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ

১০

সাপের কামড়ে কৃষকের মৃত্যু

১১

প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ওয়ানডেতে নতুন অধিনায়ক নিয়ে নামবে ভারত

১২

ভারত / মাতৃদুগ্ধে মিলেছে ইউরেনিয়াম, দাবি গবেষকদের

১৩

ভারত থেকে ‘পুশ ইন’ / সেই সখিনা বেগমের জামিন

১৪

চট্টগ্রাম বন্দর লিজ দেওয়ার এখতিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের নেই : ড. রেদোয়ান

১৫

৪৭তম বিসিএস পেছানোর দাবিতে আবারো রেল অবরোধ রাবি শিক্ষার্থীদের

১৬

কুষ্টিয়ায় গ্রামীণ ব্যাংকের অফিসে আগুন

১৭

হাসপাতালের উদ্দেশে খালেদা জিয়া

১৮

খামেনিকে হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্র, অভিযোগ দুই দেশের বিরুদ্ধে

১৯

ইন্টারপোল সম্মেলনে যোগ দিতে মরক্কো গেলেন আইজিপি

২০
X