কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ৩০ জুন ২০২৫, ১০:০৭ পিএম
আপডেট : ৩০ জুন ২০২৫, ১০:১২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ডিসি-এসপিদের কর্তৃত্ব বাদ, ক্ষমতা পেলেন ইসি কর্মকর্তারা

ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স
ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র স্থাপনে ভোটকেন্দ্র স্থাপনে জেলা প্রশাসন (ডিসি) ও পুলিশ সুপারের (এসপি) কর্তৃত্ব বাদ দিয়ে নিজস্ব কর্মকর্তাদের হাতে ক্ষমতা দিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সোমবার (৩০ জুন) ইতোমধ্যে ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন এবং ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০২৫’ গেজেট আকারে প্রকাশ করে এমন সংশোধনী এনেছে সাংবিধানিক সংস্থাটি।

এতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) জন্য কক্ষ নির্ধারণের বিষয়টিও তুলে দেওয়া হয়েছে।

ভোটকেন্দ্র স্থাপন ইসির কাজ। এত দিন ইসির কর্মকর্তারাই এটি করে আসছিলেন। কিন্তু ২০২৩ সালের ভোটকেন্দ্র নীতিমালায় ভোটকেন্দ্র নির্ধারণের ক্ষেত্রে ডিসি ও এসপিদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করেছিল কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন।

এ কমিটির মাধ্যমেই ভোটকেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এ নিয়ে সে সময়ই অনেক সমালোচনা হয়। এমনকি ইসি কর্মকর্তাদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়।

আউয়াল কমিশনের সময় করা নীতিমালায় বলা হয়েছিল, কোথায় কোথায় ভোটকেন্দ্র হবে, তার খসড়া তালিকা তৈরির জন্য উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) আহ্বায়ক করে একটি পাঁচ সদস্যের কমিটি থাকবে। জেলা পর্যায়ে থাকবে ডিসির নেতৃত্বে সাত সদস্যের কমিটি। উপজেলা কমিটির তৈরি করা ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকা মহানগর বা জেলা কমিটিতে পাঠানো হবে। এই কমিটি দৈবচয়নের ভিত্তিতে ভোটকেন্দ্র সরেজমিন তদন্ত করে মতামত দেবে। এই মতামতসহ খসড়া তালিকা নির্বাচন কমিশনে পাঠাবেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।

ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, বর্তমান কমিশনের অধীন করা নতুন নীতিমালায় উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে কমিটি করার বিধান বাদ দেওয়ায় ভোটকেন্দ্র স্থাপনের কাজটি ইসির মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের হাতে ফিরল।

গত ২১ মে পঞ্চম কমিশন সভায় বিষয়টি তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় এএমএম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন কমিশন।

ওই সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ভোট কেন্দ্র স্থাপনে যে কমিটি ছিল এবার তা বিলুপ্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া ইভিএমের বিষয়টিও আমরা বাদ দিয়েছি।

এবারের নীতিমালায় আগের মতোই গড়ে তিন হাজার ভোটারের জন্য একটি কেন্দ্র এবং ৫০০ পুরুষের জন্য একটি কক্ষ ও ৪০০ নারীর জন্য একটি কক্ষ রাখা হয়েছে।

২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ৪২ হাজারের বেশি ভোটকেন্দ্র ছিল। এবার ভোটার সংখ্যা পৌনে ১৩ কোটির কাছাকাছি পৌঁছতে পারে। তাই বাড়তে পারে ভোটকেন্দ্রও।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গোল করে, করিয়ে দলকে জেতালেন মেসি

জেনে নিন আজকের স্বর্ণের বাজারদর

বিএনপিতে সন্ত্রাসী-দুষ্কৃতকারীদের জায়গা নেই : বিজিএমইএ সভাপতি 

অনূর্ধ্ব-২০ ফিফা বিশ্বকাপ / বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা

গাজায় নিশ্চিহ্ন মসজিদ, ধ্বংসস্তূপ থেকেই ভেসে আসছে আজান

সন্ত্রাস করে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া যায় না : জালাল উদ্দীন

টিভিতে আজকের যত খেলা

সীমান্তে আটক ১৬ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর

দেড় মাস পর ফের একই জায়গায় মিলল মরদেহ

লোকবল নেবে আরএফএল

১০

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

১১

রাকসু নির্বাচনী বিতর্ক অনুষ্ঠানে ভিপি প্রার্থীদের নানা প্রতিশ্রুতি

১২

দুটি ছাড়া ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের সব সেনাঘাঁটি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে

১৩

১২ অক্টোবর : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

১৪

স্ত্রীর মৃত্যুর ৫ ঘণ্টা পর মারা গেলেন স্বামীও

১৫

ইফাদ গ্রুপের গৌরবময় ৪০ বছর উদ্‌যাপন, সমৃদ্ধির পথে একসাথে

১৬

রোববার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

১৭

১২ অক্টোবর : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৮

জুতা পরে জানাজার নামাজ পড়া কি জায়েজ?

১৯

প্রতিদিনের সাধারণ যে অভ্যাসেই কমে যাচ্ছে আপনার মোবাইলের আয়ু

২০
X