শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে রাজনৈতিক সংলাপ ও সমঝোতার বিকল্প নেই বলে মনে করেন দক্ষিণ এশিয়ার নির্বাচন বিশেষজ্ঞগণ। তাদের মতে, সংঘাত, বিশৃঙ্খলা, সন্ত্রাস ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে সাধারণ মানুষের সমর্থন অর্জন করা সম্ভব নয়। নির্বাচন ও ভোটাধিকার প্রয়োগে সচেতন হওয়াই হচ্ছে সরকার পরিবর্তনের একমাত্র উপায়। নির্বাচন ব্যতিত অন্য কোনো উপায়ে সরকার পরিবর্তন করতে চাইলে তা হবে গণতন্ত্র পরিপন্থি।
ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের উদ্যোগে শনিবার অনুষ্ঠিত ‘দক্ষিণ এশিয়ার নির্বাচন ব্যবস্থা : প্রেক্ষিত বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন’ শীর্ষক সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা এমন অভিমত জানান।
ফোরামের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ আবেদ আলীর সভাপতিত্বে বারিধারা এসকট প্যালেস হোটেলে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন ভারতের সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এস ওয়াই কোরাইশি, মালদ্বীপ নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান ফুয়াদ তৌফিক, শ্রীলঙ্কা নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান আরএমএএল রথনায়েক, নেপাল নিবার্চন কমিশনের কমিশনার সাগুন শামসের জেবি রানা, নেপালের সাবেক নির্বাচন কমিশনার ইলা শারমা, ঢাকায় নিযুক্ত মালদ্বীপের হাইকমিশনার শিরুজিমাথ সামির, ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত লিউ টিটু এল অসান জেআর, শ্রীলঙ্কার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার রুয়ানতি দিপাতিয়া, ঢাকার রাশিয়ান দূতাবাসের প্রতিনিধি মি. ওলেগ কোজিন।
সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন। আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি ছিদ্দিকুর রহমান মিয়া, বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহফুজুল ইসলাম, মেজর জেনারেল তোহিদ, বুয়েটের উপউপাচার্য ড. আব্দুল জব্বার খান, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ, কৃষিবিদ ড. আজাদুল হকসহ আরও অনেকে।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করা ভিয়েনা কনভেনশনের কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহিভূর্ত। বিদেশি কূটনৈতিকদের অযাচিত মন্তব্যের সুযোগ করে দিচ্ছেন এদেশের কিছু রাজনৈতিক দল। এতে জনগণের প্রতি রাজনীতিবিদদের আস্থাহীনতার বহিঃপ্রকাশ ঘটে এবং দেশের সম্মান ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়।
অংশগ্রহণমূলক, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রত্যাশা জানিয়ে তারা আরও বলেন, বিদ্যমান আইন ও বিধিমালার সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারে। এজন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক দলগুলোর স্বদিচ্ছা ও সহযোগিতা। অনেক সংগ্রাম ও ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণই সিদ্ধান্ত নিবে কীভাবে ভোট হবে? কী ধরনের হবে? আর কারা দেশ পরিচালনা করবে।
মন্তব্য করুন