দেশের উন্নয়নের জন্য শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, যে কোনো জাতির ভাগ্য উন্নয়নে মানবসম্পদ অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। মানুষই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকে বাংলাদেশের যে পরিবর্তন তাতে মূল ভূমিকা পালন করেছে। তাই শিক্ষিত, দক্ষ ও সচেতন নাগরিকরাই পারে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা পালন করতে। সেজন্য বর্তমান সরকার শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষা খাতে বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
সোমবার (৬ নভেম্বর) কুমিল্লার লাকসামে নওয়াব ফয়জুন্নেছা সরকারি কলেজ ও লাকসাম উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এ সময়ে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের যুগোপযোগী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বর্তমান সময়ে টিকে থাকতে হলে প্রযুক্তিগত জ্ঞান আরোহনের কোনো বিকল্প নেই। তিনি শিক্ষার্থীদের এ সময় কঠোর পরিশ্রম করে ব্যক্তিগত লক্ষ্য অর্জনের সাথে সাথে দেশ ও দশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করার জন্য আহবান জানান।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এ সময় বিএনপির আন্দোলন সম্পর্কে বলেন, দেশের মানুষ বিএনপি আমলের দুর্নীতি ও অরাজকতার কথা ভুলে যায়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন আজ সারা বিশ্বে স্বীকৃত, মানুষের সক্ষমতা বেড়েছে যদিও করোনা এবং নানা ধরনের যুদ্ধের কারণে আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রগতি বিঘ্নিত হয়েছে। তারপরও সব সংকট কাটিয়ে আজ আমরা সারা বিশ্বের বুকে সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত।
মো. তাজুল ইসলাম এ সময় ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতা গ্রহণ করে তখন বাংলাদেশের জিডিপির আকার ৪৭ বিলিয়ন ডলার ছিল উল্লেখ করে বলেন, বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশের জিডিপির আকার ৫০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। উন্নয়নের এই সুফল দেশের প্রত্যেকটি মানুষ ভোগ করছে দাবি করে তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত আন্দোলনের নামে দেশকে অরাজকতার দিকে ঠেলে দিতে চাচ্ছে। দেশে যথাসময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ এখন নির্বাচনমুখী এবং বিচ্ছিন্ন সহিংসতা করে বিএনপি নির্বাচন ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন মজুমদার, কুমিল্লার জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান, পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান, লাকসাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউনুছ ভূঁইয়া, ওয়াকফ প্রশাসক গিয়াস উদ্দিন এবং এতে সভাপতিত্ব করেন নওয়াব ফয়জুন্নেছা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর (মেজর) মিতা সফিনাজ। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, কুমিল্লা ও নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি কলেজ, লাকসাম।
এদিকে, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী আজ পরবর্তীতে কুমিল্লার লাকসামে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের শাখা হিসেবে নবাব ফয়জুন্নেছা জমিদার বাড়ি জাদুঘরের শুভ উদ্বোধন করেন। মহীয়সী নারী নবাব ফয়জুন্নেছা লাকসামসহ সারা দেশের নারী শিক্ষা প্রসারে ঐতিহাসিক ভূমিকা এই জাদুঘর স্থাপনের উদ্যোগের ফলে জানতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
মন্তব্য করুন