নারী শিক্ষা, নারী অধিকার, নারীর আর্থ সামাজিক উন্নয়ন, পল্লী উন্নয়ন এবং নারী জাগরণে উদ্বুদ্ধকরণ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও গৌরাবোজ্জ্বল ভূমিকা পালনে স্বীকৃতিস্বরূপ রোকেয়া পদক পাচ্ছেন পাঁচ বিশিষ্ট নারী। মনোনীত পদকপ্রাপ্ত ৫ বিশিষ্ট নারী হলেন- নারী শিক্ষায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপচার্য খালেদা একরাম, মরণোত্তর (ঢাকা জেলা)। নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় ডা. হালিদা হানুম আখতার (রংপুর জেলা)। নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কামরুন্নেছা আশরাফ দিনা, মরণোত্তর (নেত্রকোনা জেলা)। নারী জাগরণে উদ্বুদ্ধকরণে নিশাত মজুমদার (লক্ষীপুর জেলা) এবং পল্লী উন্নয়নে রনিতা বালা (ঠাকুরগাঁও জেলা)।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতরের সম্মেলনকক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, নারীর শিক্ষা, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, নারী অধিকার, নারীর ক্ষমতায়ন ও সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় বেগম রোকেয়া দিবস নারীর অগ্রযাত্রায় অন্তহীন প্রেরণার উৎস। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৩০ সালে কর্মস্থলে নারীর অংশগ্রহণ ৫০:৫০ উন্নীত করার ঘোষণা করেছেন। সে অঙ্গীকার বাস্তবায়নে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ৩৫ টি বিভিন্ন ট্রেডে ৭ লক্ষ নারীকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। শিক্ষা, চাকুরি, ব্যবসা ও আত্মকর্মসংস্থান সকল ক্ষেতে নারীর আজ সফল অগ্রযাত্রা। নারীরা দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশে আজ নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বে রোল মডেল। সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় সর্ব শীর্ষে এবং নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বিশ্বে ৭ম।
সংবাদ সম্মেলনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিবুজ্জামান ও প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. শাহেনুর মিয়াসহ গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৯ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেগম রোকেয়া দিবস ও বেগম রোকেয়া পদক প্রদান করবেন। পদক প্রাপ্তদের আঠারো ক্যারেট মানের পঁচিশ গ্রাম স্বর্ণ নির্মিত একটি পদক, পদকের রেপ্লিকা, প্রত্যেক চার লাখ টাকার চেক ও সম্মাননাপত্র প্রদান করা হবে।
মন্তব্য করুন