কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:২৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

শিক্ষাব্যবস্থায় ইসলামবিরোধী এজেন্ডা মেনে নেওয়া হবে না : হেফাজত

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের লোগো। ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের লোগো। ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স

শিক্ষাব্যবস্থায় ইসলামবিরোধী এজেন্ডা মেনে নেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

শুক্রবার (০৫ সেপ্টেম্বর) দলটির আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা সাজেদুর রহমান এক যৌথ বিবৃতিতে এ হুঁশিয়ারি দেন।

বিবৃতিতে তারা সম্প্রতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত নতুন গেজেটে ধর্মীয় শিক্ষক না দিয়ে সংগীত শিক্ষক নিয়োগের বিধিমালাকে ‘ইসলামবিরোধী অ্যাজেন্ডা’ আখ্যায়িত করেন। এ সময় অবিলম্বে এই গেজেট বাতিল করে সংগীত শিক্ষকের পরিবর্তে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের বিধিমালা করা না হলে গণআন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, ইসলামে বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ। তাছাড়া সংগীত কোনো মৌলিক শিক্ষার অন্তর্ভুক্ত নয়। বাংলাদেশের মতো মুসলিম-অধ্যুষিত দেশে মুসলিম অভিভাবকদের মতামত না নিয়ে তাদের ছেলেমেয়েদের প্রাথমিক শিক্ষায় সংগীত শিক্ষা চাপিয়ে দেওয়ার অধিকার কোনো সরকারের নেই। অবিলম্বে এই গেজেট বাতিল করে প্রাথমিক স্তরে সংগীত শিক্ষকের পরিবর্তে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের বিধিমালা করা না হলে আমরা দাবি আদায়ের জন্য প্রয়োজনে রাজপথে গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে। মুসলিম শিশু-কিশোরদের ইসলামি মূল্যবোধ ও ইমান রক্ষার প্রশ্নে বৃহত্তর ইসলামি জনতাকে সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তারা।

তারা আরও বলেন, এলজিবিটি ও গানবাদ্য ঢুকিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলিম শিশু-কিশোরদের ইসলামি মূল্যবোধ থেকে দূরে রাখার ডি-ইসলামাইজেশন প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা পতিত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট আমল থেকেই ছিল। দুঃখজনকভাবে অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্বলতার সুযোগে সেই পুরনো ইসলামবিরোধী অ্যাজেন্ডাগুলো বাস্তবায়নে নেমেছে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চেপে বসা পাশ্চাত্যের উচ্ছিষ্টভোগী কিছু সুশীল এনজিওকর্মী।

নেতারা বলেন, সব ইসলামি দলের পক্ষ থেকে প্রাথমিক শিক্ষায় ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবি অনেক পুরনো। সেটি উপেক্ষা করে উল্টো সংগীত শিক্ষক নিয়োগের বিধিমালা একটি নিশ্চিত ইসলামবিরোধী পদক্ষেপ। তাছাড়া বাংলা, অঙ্ক ও ইংরেজির মতো মৌলিক শিক্ষায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এতটাই দুর্বল যে, অনেক অভিভাবক এখন স্কুল থেকে মুখ ফিরিয়ে তাদের সন্তানদের মাদ্রাসায় ভর্তি করাচ্ছেন। এ নিয়ে কিছু সেক্যুলার মিডিয়ার হা-হুতাশও আমরা দেখেছি। সরকারের উচিত, প্রাথমিক স্তরে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগসহ মৌলিক শিক্ষার মান বাড়াতে সংশ্লিষ্ট দক্ষ ও যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার ব্যবস্থা করা।

নেতারা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অগণিত মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ও আলেম শহীদ হয়েছেন। ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের বিধিমালা করা হলে মাদ্রাসা শিক্ষিতদের কর্মসংস্থান ঘটবে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, ইসলামি মূল্যবোধ ও রাসুল (সা.)-এর সম্মান রক্ষায় যারা জীবন দেয়, তাদের অবদানের প্রতি শ্রদ্ধাস্বরূপ কিছু করণীয় অবশ্যই সরকারের রয়েছে। আমরা আশা করি, সংগীত শিক্ষকের পরিবর্তে সরকার অতিসত্বর প্রাথমিক স্তরে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের নতুন বিধিমালা করবে। আমরা চাই না আলেম-ওলামার সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি তৈরি হোক।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গণতন্ত্রের বাতিঘর খালেদা জিয়ার আপসহীন নেতৃত্বের ইতিহাস

নির্বাচন শান্তিপূর্ণ-নিরপেক্ষ করতে প্রয়োজনীয় সবকিছু করব : প্রধান উপদেষ্টা

লালবাগে প্রয়াত পিন্টুর ভাইয়ের বড় শোডাউন

ফেব্রুয়ারির নির্বাচন নিয়ে এখনো সংশয় রয়েছে : সাইফুল হক

স্টেশনে ঢুকে মেট্রোরেলে না চড়ে বেরিয়ে গেলেও দিতে হবে টাকা!

যুব এশিয়াডে প্রথম পদক কাবাডিতে

কোনো চাঁদাবাজ-গডফাদারকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না : মোস্তফা জামান

কাতারের ভিসা নিয়ে অপপ্রচার, মন্ত্রণালয়ের আহ্বান

গরম পানি না পেয়ে আর্সেনালের বিরুদ্ধে উয়েফাতে অ্যাথলেটিকোর অভিযোগ

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির নতুন প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর হলেন প্রফেসর আরশাদ মাহমুদ চৌধুরী

১০

রাবির দ্বাদশ সমাবর্তনের তারিখ ঘোষণা

১১

আ.লীগ কার্যালয় ভাঙচুরের পর দখলে নিল এনসিপি

১২

ইউএস-বাংলার বহরে তৃতীয় এয়ারবাস

১৩

বার্সার মায়ামি ম্যাচ নিয়ে রিয়ালের অভিযোগ, বিপাকে লা লিগা

১৪

বাড়তি ইনক্রিমেন্ট চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক

১৫

শতবর্ষী পোস্ট অফিসে তালা, অবশেষে উন্মুক্ত

১৬

সুপার ওভারে না জিততে পেরে আক্ষেপ মিরাজের

১৭

বিমানবাহিনীতে বিশাল নিয়োগ, এসএসসি পাসেও আবেদন

১৮

আইসল্যান্ডে প্রথমবারের মতো মশা শনাক্ত, বাড়ছে আশঙ্কা

১৯

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে বড় পতন

২০
X