

দুএকটি রাজনৈতিক দল নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা-১২ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাইফুল আলম নীরব। তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্রে উত্তরণের পথ নেই। আজকে ফ্যাসিস্ট নেই, কিন্তু তাদের সহযোগীরা বিদ্যমান। ফ্যাসিস্ট হাসিনার সঙ্গে তার এমপি-মন্ত্রী এমনকি জাতীয় মসজিদের খতিব পর্যন্ত চোরের মতো পালিয়ে গেছে। আজকে আমরা ফ্যাসিস্ট থেকে মুক্ত হয়েছি; কিন্তু তার সহযোগীরা দেশে থেকে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত করছে।’
শনিবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর মগবাজারে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সাইফুল আলম নীরব বলেন, ‘আমরা মনে করি, অন্তর্বর্তী সরকার ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের যে দিনক্ষণ উল্লেখ করেছেন, সেদিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং সেই নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।’
তিনি বলেন, ‘পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার দিনের ভোট রাতে সম্পন্ন করে তাদের প্রার্থীদের নাম বিজয়ী বলে ঘোষণা করেছে। ফলে গত ১৬ বছর জাতীয় সংসদ নির্বাচন, স্থানীয় নির্বাচন এমনকি কোনো সংগঠনের নির্বাচনেও মানুষ ভোট দিতে পারেননি। দিনের ভোট রাতে সম্পন্ন করেছে।’
জামায়াতে ইসলামীকে উদ্দেশ্য করে সাইফুল আলম নীরব বলেন, ‘বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম-যুবসমাজ ভোট দেওয়ার অপেক্ষায় আছে। কিন্তু দেখতে পাচ্ছি, দুএকটি রাজনৈতিক দল ও কয়েকটি গোষ্ঠী নির্বাচন নিয়ে চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র করছে, যারা প্রথমে বললেন সংস্কার ছাড়া নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না। তাদের উদ্দেশ্য বলছি, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। যতদিন পৃথিবী থাকবে, ততদিন সংস্কার চলতেই থাকবে। তাই বাংলাদেশের মানুষ সংস্কার ইস্যু খায়নি। কারণ, সময়ের তাগিদে সংস্কার সব সময় হতে থাকে। আবার নতুন করে শুরু করলেন পিআর পদ্ধতি? যে পদ্ধতি মানুষ বোঝেই না। তাই বাংলাদেশের মানুষ এটাও গ্রহণ করেনি। এখন আবার গণভোট নিয়ে কথা বলছেন। অথচ গণভোট হবে কী হবে না, সেটা সংসদ গঠিত হলে পরবর্তীতে নির্ধারণের বিষয়।’
তিনি বলেন, ‘স্পষ্ট কথা, যদি গণভোট করতে হয়, তাহলে একাত্তরে যারা মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ছিল, যারা লাখো মানুষ হত্যা করেছে, মা-বোনদের সম্ভ্রমহানি করেছে, তাদের বিচারের জন্য গণভোট হবে। আমরা মনে করি, এই দলটি নির্বাচন চায় না বলেই একেক সময় একেক কথা বলছেন। তারা জানেন, নির্বাচন হলে তারা জিততে পারবেন না। এমনকি আজকে তারা ইসলামকে ধ্বংস করার চক্রান্ত ও পাঁয়তারা করছে।’
নীরব বলেন, ‘দীর্ঘ ১৬ বছর আন্দোলন করতে গিয়ে আমাদের অনেক ভাই গুম হয়েছেন, খুন হয়েছেন, অনেকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে গেছেন। তারপরও কিন্তু বিএনপির কোনো নেতাকর্মী ভয় পায়নি। তারা তারেক রহমানের নেতৃত্বে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ থেকে আন্দোলন-সংগ্রাম করে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতন নিশ্চিত করেছে। সবশেষ চব্বিশের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে যারা নিহত হয়েছেন, তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করি।’
মন্তব্য করুন