ঢাকাসহ সারা দেশে গভীর রাতে বিএনপি ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার ও বাসাবাড়িতে অভিযানকে স্বৈরশাসকের চূড়ান্ত পতনের ইঙ্গিত উল্লেখ করে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, সরকার বাহাদুর গণগ্রেপ্তার করে গণভবনে শান্তিতে থাকতে বা ঘুমাতে পারবেন না। মনে রাখবেন আমরা আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের লক্ষ্যে আন্দোলন করে যাচ্ছি। চূড়ান্ত বিজয় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ হবে আমাদের ঘরবাড়ি এবং কারাগার হবে আমাদের ঠিকানা। কিন্তু ১২ দলীয় জোট কোনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করবে না।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকের সামনে অবরোধ সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল শেষে জোটের শীর্ষ নেতারা এসব কথা বলেন।
জোট নেতারা দেশের সর্বস্তরের জনগণকে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, রাষ্ট্রের মালিক জনগণ। সুতরাং জনগণের মালিকানা আমরা আর বিদেশি কৃতদাস সরকারের হাতে তুলে দিতে পারি না। তাই জনগণের এবারের শ্লোগান ‘আমরা শেখ হাসিনাকে চাই না- আমরা বাঁচতে চাই। আমরা স্বৈরশাসক চাই না- আমরা গণতন্ত্র চাই এবং আমরা আমাদের ভোটাধিকার চাই।’
নেতারা বলেন, ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদাসহ বিএনপি, জামায়াতের বন্দি নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দিন অন্যথায় পতনের চূড়ান্ত আওয়াজ গণভবনে পৌঁছাবে।
এ সময় বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করে বক্তব্য রাখেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সিনিয়র সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত মহাসচিব আবদুল্লাহ আল হাসান সাকিব, জাহিদুর রহমান, বাংলাদেশ এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এম এ বাশার, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান সারোয়ার আলম, প্রচার সম্পাদক বেলায়েত হোসেন শামীম, শামসুল আহাদ, আবুল মনসুর, ইসলামী ঐক্যজোটের যুগ্ম মহাসচিব ইলিয়াস রেজা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি জাকির হোসেন, আতাউর রহমান, যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় ছাত্রসমাজের সভাপতি কাজী ফয়েজ আহমেদ, সভাপতি দক্ষিণ মো. ফাহিম হোসাইন, ছাত্র জমিয়তের সভাপতি নিজাম উদ্দিন আল আদনান প্রমুখ।
মন্তব্য করুন