কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:৪১ এএম
অনলাইন সংস্করণ
বিডস‘র ওয়েবিনারে বক্তারা

সংসদ ভেঙে সুষ্ঠু নির্বাচনের সুযোগ এখনও আছে

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ আয়োজিত আসন্ন নির্বাচন ও ভবিষ্যতের পথরেখা শীর্ষক ওয়েবিনারে যোগ দেওয়া প্যানালিস্টবৃন্দ। ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ আয়োজিত আসন্ন নির্বাচন ও ভবিষ্যতের পথরেখা শীর্ষক ওয়েবিনারে যোগ দেওয়া প্যানালিস্টবৃন্দ। ছবি : সংগৃহীত

বর্তমান জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের সুযোগ এখনও আছে। তাছাড়া বাংলাদেশের চলমান ভয়ের সংস্কৃতিতে সরকার বিরোধী আন্দোলন সফল করতে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামতে হবে বলে মনে করেন দেশের বিশিষ্টজনরা। তারা বলেন, বর্তমান আন্দোলন শুধু বিএনপি কেন্দ্রিক। আন্দোলন সফল করতে সরকার বিরোধী সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামার তাগিদ দিয়েছেন তারা।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ আয়োজিত আসন্ন নির্বাচন ও ভবিষ্যতের পথরেখা শীর্ষক ওয়েবিনারে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তারা।

বিডস আয়োজিত ওয়েবিনারে প্যানালিস্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি ড. বদিউল আলম মজুমদার, ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির ডিস্ট্রিংগুইসড প্রফেসর ড. আলী রীয়াজ, ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ডের পরামর্শক জ্যোতি রহমান। ওয়েবিনারটি সঞ্চালনা করেন রবার্ট মরিস ইউনিভার্সিটির পিএইচডি শিক্ষার্থী ইমরান আনসারী।

ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, যে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর আওতায় সরকার নির্বাচন আয়োজন করছে, এটি অবৈধ। এ ছাড়া সংসদ না ভেঙ্গে আরেকটি সংসদের নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য। তিনি মনে করেন, এখনো সময় আছে সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সকল দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করার।

ড. আলী রীয়াজ বাংলাদেশের নির্বাচনে বিদেশী হস্তক্ষেপের বিষয় তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের শুরুতেই নির্বাচনে আমরা বিদেশী হস্তক্ষেপ লক্ষ করি। রাশিয়া, চীন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ কমবেশি সব নির্বাচনে দেখা গেছে। তবে ২০১৪ , ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে ভারতের হস্তক্ষেপ লক্ষ্য করার মতো। এটি সরকারের মন্ত্রীদের বিভিন্ন বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে।

তিনি মনে করেন, ৭ জানুয়ারি একতরফা নির্বাচনের পর অর্থনৈতিক স্বার্থে সরকারকে চীনমূখী হতে হবে। তবে ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনই শেষ কথা নয়। জনবিক্ষোভের মাধ্যমেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায় হবে বলে মনে করেন ড. আলী রীয়াজ। আর এ জন্য দেশের ডান বাম মধ্যপন্থী সকল দলকে একই প্লাটফরমে এসে আন্দোলন করতে হবে বলে মনে করেন তিনি। আর এতে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলেও মনে করেন তিনি।

অর্থনীতিবিদ জ্যোতি রহমান মনে করেন, একতরফা নির্বাচনের পর দেশ চরম মাত্রায় অর্থনৈতিক সংকটে নিপতিত হবে। যা গণবিস্ফোরণে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সবাইকে নিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব: নীরব

‘হামজা আমার দলে হলে বেঞ্চেই বসে থাকত’

লন্ডনে টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়রের সঙ্গে বাসস চেয়ারম্যানের মতবিনিময়

আফগানদের কাছে হারার পর যা বললেন মিরাজ

অল্প পুঁজি নিয়ে আফগানদের সাথে পারল না বাংলাদেশ

‘দেশের সার্বিক উন্নয়নে প্রবীণদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে হবে’

রাবেতাতুল ওয়ায়েজীনের সঙ্গে সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত পরিষদের মতবিনিময়

ডিএনসিসি এলাকায় টাইফয়েডের টিকা পাবে ১৩ লাখ শিশু

অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে রেমিট্যান্স এসেছে ৬৯ কোটি ডলার

৭ বছর পর শহীদ জিয়ার মাজার জিয়ারত করলেন খালেদা জিয়া

১০

ফার্মগেটে ককটেল বিস্ফোরণ

১১

কালবেলার সংবাদের পর স্বপ্নের রঙিন ঘরে শাহারবানু

১২

আখিরাতের কল্যাণ নিশ্চিতে কাজ করছে জামায়াত : মুজিবুর রহমান

১৩

রাজধানীতে তারেক রহমানের সাক্ষাৎকারের রেকর্ডেড ভিডিও প্রদর্শন

১৪

জবাব দিতে পিএসসিকে আলটিমেটাম

১৫

অসদাচরণের অভিযোগে বদলি চিকিৎসক দম্পতি

১৬

সড়কের পাশে ময়লার ভাগাড়, দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ মানুষ

১৭

শহীদ জিয়ার মাজারে দোয়া করলেন খালেদা জিয়া

১৮

নোয়াখালী বিভাগ চাইলেন ‘কাবিলা’

১৯

বেথ মুনির রেকর্ডে অস্ট্রেলিয়ার দুর্দান্ত জয়

২০
X