সহবাস, স্বপ্নদোষ, ইচ্ছাকৃত বীর্যপাত ও নারীদের হায়েজ-নেফাসের পর গোসল করা ফরজ। এসব কারণে কারো শরীর অপবিত্র হলে যতদ্রুত পারা যায় গোসলের মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করা উচিত। কারণ, রাব্বুল আলামিন পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন মানুষদের ভালোবাসেন।
কোরআনে বলা হচ্ছে, ‘সেখানে এমন লোক আছে, যারা উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন করতে ভালোবাসে। আর আল্লাহ পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালোবাসেন।’(সুরা তাওবা : ১০৮)
গোসল ফরজ অবস্থায় নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য ৫টি কাজ নিষিদ্ধ। এ ছাড়া অন্যসব কাজ স্বাভাবিকভাবে করা যাবে। চলুন, জেনে নিই নিষিদ্ধ কাজ কী কী—
নামাজ আদায় করা
আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে ইমানদাররা, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তোমরা সালাত আদায় করো না, যতক্ষণ না পর্যন্ত তোমরা বুঝতে পারো যে, তোমরা নামাজে কী বলছো। তাছাড়া বড় নাপাকি হয়ে গেলে গোসল না করে সালাত আদায় করো না।’ (সুরা নিসা : ৪৩)
কোরআন স্পর্শ করা
অপবিত্র শরীর নিয়ে কোরআন স্পর্শ করা যাবে না। ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা সম্পূর্ণ পবিত্র তারা ছাড়া অন্য কেউ তা স্পর্শ করে না’ (সুরা ওয়াকিয়া : ৭৯)। ইবনে ওমর রা. বর্ণনা করেন যে, ‘পবিত্র না হয়ে কোরআন কারীম স্পর্শ করবে না।’ (দারে কুতনী)
কোরআন তিলাওয়াত করা
আলী (রা.) বলেছেন , ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সব সময় আমাদেরকে কোরআন পড়িয়েছেন, তবে যখন বড় নাপাকি অবস্থায় থাকতেন সে সময় ছাড়া।’ (তিরমিজি )
মসজিদে অবস্থান করা
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘হায়েজ হয়েছে এমন নারী ও গোসল ফরজ এমন অপবিত্র ব্যক্তির জন্য মসজিদে যাওয়া বৈধ করি না। (আবু দাউদ)
কাবা ঘর তাওয়াফ করা
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহর ঘর কাবায় তাওয়াফ করা নামাজ আদায়ের সমান। তাই গোসল ফরজ অবস্থায় তাওয়াফ করা যাবে না। (নাসাঈ)
মন্তব্য করুন