আইপিএল ফেরত মোস্তাফিজকে নিয়ে যা বলছেন তাসকিন
চলমান ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) দুর্দান্ত খেলছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। তবে পুরো আসরে খেলা হলো না তার। জিম্বাবুয়ের সিরিজের জন্য কাটার মাস্টারকে ফিরিয়ে এনেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। শেষ দুই টি-টোয়েন্টির জন্য ঘোষিত দলে রাখা হয়েছে বাঁহাতি এ পেসারকে। চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সিতে পুরো মৌসুম না খেললেও মোস্তাফিজের অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে বলে মনে করছেন বাংলাদেশের আরেক ফাস্ট বোলার তাসকিন আহমেদ। চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম তিন ম্যাচ জিতে এরই মধ্যে সিরিজ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। শুক্রবার সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুদল। এই ম্যাচের আগে গণমাধ্যমে কথা বলতে আসেন তাসকিন। জিম্বাবুয়ে সিরিজের বদলে তার কাছে আইপিএল নিয়ে বেশি প্রশ্ন ছিল গণমাধ্যম কর্মীদের। মোস্তাফিজ প্রসঙ্গে তাসকিন বলেন, ‘দেখুন, আল্লাহর রহমতে মোস্তাফিজ অনেক ভালো করেছে আইপিএলে। সে (মোস্তাফিজ) আসছে। আমার যতটুকু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, তাকে আনার কারণ হচ্ছে যাতে সে আমাদের দলের পরিকল্পনা ও সংস্কৃতির সঙ্গে মানিয়ে দ্রুত এগিয়ে যেতে পারে। একই সঙ্গে কয়েকদিন বিশ্রামের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। কারণ সে আমাদের অন্যতম সেরা বোলার। নিশ্চিতভাবে তার আইপিএল অনেক ভালো কেটেছে। যথেষ্ট অভিজ্ঞতা সে সেখান থেকে নিয়েছে।’ আইপিএলে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন তাসকিন। ২০২২ সালে ইংলিশ পেসার মার্ক উড ইনজুরিতে পরলে, এ ফাস্ট বোলারকে খেলার প্রস্তাব দেয় লখনৌ সুপার জায়ান্টস। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের সিরিজ থাকা তাকে ছাড়তে রাজি হয়নি বিসিবি। সুযোগ পেয়ে খেলতে না পারার আফসোস নেই তাসকিনের। তিনি বলেন, ‘যে জিনিসটা চলে গেছে, সেটা তো আর নিয়ন্ত্রণে নেই। ইনশাআল্লাহ সামনে খেলব। অবসর সময় পাব। শুধু আইপিএল না, আরও অনেক লিগ আছে। নীতি প্রায় একই। একেকজনের দেহের গড়ন একেক রকম। এজন্য বোর্ড সতর্ক থাকে। ফাস্ট বোলার যাদের দেখছেন, সবারই কোনো না কোনো চোট মানিয়ে চলতে হচ্ছে। হয়তো আমার দেহের গড়ন বা বোলিংয়ের ধরন ভিন্ন, তাই আমি এবার যেতে পারিনি।’ এ সময় তাসকিন আরও যোগ করেন, ‘আমার তো টেস্ট খেলারও কথা ছিল। শেষ মুহূর্তে কাঁধের চোট ম্যানেজ করতে আমি বিরতিতে গিয়েছি...হয়ত ভবিষ্যতে খেলব ইনশাআল্লাহ। আফসোস নেই কোনো। শুধু দোয়া কইরেন।’
০৯ মে, ২০২৪

আইপিএল অভিজ্ঞতা কাজে দেবে বিশ্বমঞ্চে?
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) শেষ করে বৃহস্পতিবার রাতে চেন্নাই থেকে অনেকটা  ‘ম্যান ইন ব্ল্যাক’-এর বেশে ঢাকায় ফেরেন মোস্তাফিজুর রহমান। রানবন্যার এবারের আসরটি কেমন উপভোগ্য ছিল? মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতাই বা কেমন- এমন অনেক প্রশ্ন নিয়ে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন গণমাধ্যমকর্মীরা। ‘সব ভালো’ বলে এগিয়ে যান গণমাধ্যমকর্মীদের। তবে তার ‘সব ভালো’ বলার ধরন ছিল, আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। অনেকদিন ধরেই নিজেকে খুঁজে ফিরছিলেন কাটার মাস্টার। সবশেষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩ ম্যাচে শিকার করেছিলেন মাত্র ২ উইকেট। ওভারপ্রতি রান দেন ১০.৯১। আর শেষ ১০ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তার উইকেট মাত্র ৭টি। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও (বিপিএলে) ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। তবে আইপিএলের এবারের আসরে বদলে যান বাঁহাতি পেসার। চেন্নাই সুপার কিংসের হলুদ জার্সিতে আরও একবার নিজেকে প্রমাণ করলেন বিশ্বমঞ্চে। দীর্ঘদিন স্মৃতিতে ধরে রাখা মতো শেষ করলেন আইপিএল আসর। ১৪ উইকেট নিয়ে যৌথ্যভাবে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকার শীর্ষে থেকে দেশে ফিরেছেন তিনি। আইপিএল থেকে অর্জিত আত্মবিশ্বাস আর পরিপূর্ণ অভিজ্ঞতা নিয়ে দেশের জার্সিতে নামার অপেক্ষায় বাঁহাতি এ পেসার। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ধারালো এই মোস্তাফিজকে বড্ড প্রয়োজন বাংলাদেশ দলের। নৈপুণ্য ও কার্যকারিতার বিবেচনায় টাইগার পেসারকে এবারের মৌসুমে আরও পরিণত ও দলগত কৌশলী বোলার হিসেবে দেখে গেছে। চলতি আসরে চেন্নাইয়ের জার্সি মাত্র ৯টি ম্যাচ খেলেছেন বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি। চলতি আসরে ৯.২৬ ইকোনমির পাশাপাশি তার গড় ২২.৭১। ৩৪.২ ওভারে শিকার করেছেন ১৪ উইকেট। রান খরচ করেছেন ৩১৮। সেরা বোলিং ২৯ রানে ৪ উইকেট। এর আগে ২০১৬ সালের অভিষেক আসরে ১৬ ম্যাচে ১৭ উইকেট শিকারে জিতেছিলেন সেরা উদীয়মান ক্রিকেটারের পুরস্কার। সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে জেতান প্রথম আইপিএল শিরোপা। এরপর ২০২১ সালে মৌসুমে রাজস্থান রয়্যালসের জার্সিতে ১৪ ম্যাচে নেন ১৪ উইকেট। দেশে ফিরলেও আপাতত বিশ্রামে থাকবেন তিনি। টানা খেলার ধকল কাটাতে তাকে কয়েকদিনের ছুটি দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের শেষ দুই টি-টোয়েন্টি খেলবেন তিনি। এরপর যুক্তরাষ্ট্রে সিরিজেও খেলার কথা তার। আইপিএল থেকে মোস্তাফিজের অর্জিত জ্ঞান, অভিজ্ঞতা আর আত্মবিশ্বাসের সুফল পাবে বাংলাদেশ দলও। বিশ্বকাপের বড় মঞ্চে কাটার মাস্টার বেশ কার্যকর হবেন বলে বিশ্বাস টাইগার দলপতি নাজমুল হোসেন শান্তর। প্রতিপক্ষের শক্তি বিবেচনা করে কীভাবে বোলিং করতে হয়, তা চেন্নাই ও ধোনির কাছ থেকে ভালোভাবেই শিখে এসেছেন মোস্তাফিজ। যেমনটা শিখে ২০১৯ বিশ্বকাপে নিজেকে মেলে ধরে ছিলেন সাকিব আল হাসান। সেই জ্ঞান, অভিজ্ঞতা আর আত্মবিশ্বাস দিয়ে এবার বিশ্বমঞ্চে নিজেকে আরও একবার প্রমাণের পালা কাটার মাস্টারের।
০৩ মে, ২০২৪

হার দিয়ে আইপিএল শেষ মোস্তাফিজের
বাংলাদেশের পেসার মোস্তাফিজুর রহমানের আইপিএল শেষ হওয়ার কথা ছিল একদিন আগেই তবে পরের দিনই চেন্নাইয়ের ম্যাচ থাকায় তার অনাপত্তিপত্রের মেয়াদ আরেকদিন বাড়ায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এবারের আইপিএলে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি এই পেসারের ইচ্ছে ছিল জয় দিয়ে আইপিএলকে বিদায় বলার তবে সেটি আর হলো না। আইপিএলে নিজের শেষ ম্যাচে পরাজয় স্বীকার করে নিতে হয়েছে কাটার মাস্টারের।  বুধবার (০১ মে) ফিজের কাছে জয়ের পাশাপাশি আইপিএলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় এককভাবে শীর্ষে ওঠার সুযোগ ছিল তবে চেন্নাইয়ের চিদম্বরম স্টেডিয়ামে মোস্তাফিজ এদিন ছিলেন উইকেটশূন্য। পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ম্যাচে কিপটে বোলিংয়ে ৪ ওভারে ১ মেডেনে ২২ রান দিলেও কোন উইকেট পাননি বাঁহাতি এই পেসার। তার দল চেন্নাই সুপার কিংসও ১৬২ রানের পুঁজি নিয়ে ১৩ বল আগে ৭ উইকেটে হেরেছ। ১৬৩ রানের টাগের্টে মোস্তাফিজকে তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ের আনেন চেন্নাই অধিনায়ক ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। শুরুটা ভালোই করেন তিনি পাওয়ার প্লের দুই ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৩ রান দিয়ে উইকেট না পেলেও চাপে রেখেছিলেন ব্যাটারদের। এরপর ম্যাচের ১৫তম ওভারে যখন বোলিংয়ে আসলেন ততক্ষণে ম্যাচে চেন্নাইয়ের জয়ের কোন আশাই নেই। রাইলি রুশো ও জনি বেয়ারস্টোর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে জয়ের দ্বারপ্রান্তে তখন পাঞ্জাব। মোস্তাফিজের তৃতীয় ওভারের সময় পাঞ্জাবের দরকার মাত্র ২৮ রান হাতে ৬ ওভার। ফিজ অবশ্য বোলিংয়ে এসে আক্রমণাত্মক ব্যাটার শাশাঙ্ক সিংয়ের কাছ থেকে মেইডেন নেন। তার স্লোয়ার ও কাটারে রীতিমতো চোখে শর্ষে ফুল দেখছিলেন শাশাঙ্ক। তবে ততক্ষণে ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে গেছে চেন্নাই। নিজের শেষ ওভারে মোস্তাফিজ কোনো বাউন্ডারি হজম না করলেও ৪ ওয়াইড দিয়ে ব্যবধান আরো কমিয়েছেন। তারপরও ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে মোস্তাফিজ ছিলেন চেন্নাই বোলারদের মধ্যে সেরা। এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করে চেন্নাই। দুই উদ্বোধনী ব্যাটার রাহানে ও ঋতুরাজ গায়কোয়ড়ি ৮.২ ওভারে ৬৪ রান তোলেন। তবে এরপর ৬ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। একমাত্র গায়কোয়াড় বলার মতো ৪৮ বলে ৬২ রান করেন। তবে তাদের রান তোলার ধীরগতিতে বড় স্কোর থেকে দূরে সরে যায় চেন্নাই। শেষ দিকে ধোনির ১৪ রানে ১৬২ রানের লড়াকু পুঁজি পায় চেন্নাই। শেষ বলে ২ রান নিতে গিয়ে রান আউট হন ধোনি। এবারের আইপিএলে এবারই প্রথম আউট হন বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়ক। উল্লেখ্য আইপিএলে নিজের প্রথম আসরে সেরা উদীয়মান ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতে নেন মোস্তাফিজ। সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদকে শিরোপা জেতাতে বড় ভূমিকা ছিল তার ১৭ উইকেটের। আইপিএলে এখন পর্যন্ত এটাই তার সেরা সাফল্য। তবে এবার পুরো মৌসুম খেলতে পারলে নিশ্চিতভাবেই আগের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু জাতীয় দলের সিরিজ থাকায় তাকে ফেরত আনছে বিসিবি। বৃহস্পতিবারই তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
০২ মে, ২০২৪

কোচের ভূমিকায় বলিউড বাদশা
বিশ্বের অন্যতম বড় সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি হিসেবে ধরা হয় বলিউডকে আর এই বলিউডের বাদশা হিসেবে বিবেচিত হন ভারতীয় সিনেমার সবচেয়ে বড় নাম শাহরুখ খানকে। নিজের লম্বা ক্যারিয়ারে কম চরিত্রে অভিনয় করেননি কিং খান। এমনকি হকি কোচের ভূমিকাতে ‘চাক দে ইন্ডিয়া’ চলচ্চিত্রে তিনি দেখিয়েছেন তিনি কত বড় মাপের অভিনেতা। কোচ কবির সিংয়ের চরিত্রটি আজও দর্শক মনে চিরসবুজ হয়ে আছে। তবে এবার আর সিনেমা নয় বাস্তবেই মাঠে কোচিং করাতে দেখা গেল শাহরুখকে। কলকাতা নাইট রাইডার্সের ঘরের মাঠ ইডেনে নিজের ছোট ছেলে আব্রাম খানকে ক্রিকেট অনুশীলন করান শাহরুখ খান। রোববার (২৮ এপ্রিল) কলকাতার দলীয় অনুশীলনে হঠাৎ করে হাজির হন দলটির কর্ণধার শাহরুখ খান। ছেলে আব্রাম খানকে নিয়ে সময় কাটান কলকাতার ক্রিকেটারদের সঙ্গে। ছেলেকে নিজের হাতে কোচিং করান তিনি। ছেলেকে ক্রিকেটের কিছু সাধারণ নিয়মকানুন শেখান তিনি। সেসময় শাহরুখকে বলতে শোনা যায়, ‘আব্রাম, হচ্ছে না। তুমি বুঝতে পারছো না। হাই ক্যাচ ধরার সময় শরীরকে বলের কাছে আনার চেষ্টা করো। ব্যাট আর পায়ের পজিশন এ শট খেলার সময় এ রকম থাকবে। আমি যা করছি, দেখে রাখো! তুমিও ট্রাই করো, পারবে।’ এসময় শাহরুখকে নিজেদের দলীয় অনুশীলনে পেয়ে উচ্ছ্বসিতও হয়েছিলেন কলকাতার ক্রিকেটাররা। জানা যায়, কোনো পূর্ব পরিকল্পনা নয় একেবারে হঠাৎ করেই অনুশীলনে হাজির হন তিনি। তবে তার ছেলে আব্রাম না কি বেশ কিছুদিন ধরেই ক্রিকেট খেলতে চাইছিল। ছেলের ইচ্ছেপূরণে এবং সময় কাটাতে ইডেনে চলে আসেন শাহরুখ। এদিকে এবারের আইপিএলে বেশ শক্ত অবস্থানে শাহরুখ খানের দল কেকেআর। এখন পর্যন্ত ৮টি ম্যাচ খেলে ৫ জয়ে পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দলটি। তাই শাহরুখ খানও নিজের দল নিয়ে এবার বেশ আশাবাদী। সেই সঙ্গে ব্যস্ত রয়েছেন নিজের আসন্ন সিনেমার শুটিংয়ে। মেয়ে সুহানা খানের সঙ্গে সুজয় ঘোষের আগামী চলচ্চিত্রে দেখা যাবে শাহরুখকে।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

আইপিএল / রানবন্যায় বিরক্ত সৌরভ, বোলারদের বাঁচানোর আকুতি অশ্বিনের
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট আসর বলে পুরো ক্রিকেট দুনিয়ার নজরে থাকে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) খেলা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে সাধারণত রানের খেলা হিসেবেই অভিহিত করা হয়। স্বাভাবিকভাবেই আইপিএলে দর্শকদের রান ফোয়ারা উপহার দিতে চায় দলগুলো। এবারের আইপিএল রানের জোয়ার বইছেও প্রতিটি ম্যাচেই বোলারদের তুলোধুনো করে রান পাহাড় গড়ছে ব্যাটাররা। তবে এত বেশি রানে বিরক্ত ভারতের কিংবদন্তি অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি। আর বোলারদের বাঁচানোর আকুতি ভারতের স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের। এবারের আইপিএলের রানবন্যা অতীতের সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। আইপিএলের ১৬ বছরের ইতিহাসে দলীয় সংগ্রহ ২৫০ পেরিয়েছে মোট ৯ বার যার মধ্যে চলতি আসরে পেরিয়েছে সাত বার। সাধারণত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট আসার পর ২০ ওভারে ২০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করতে পারলেই দলগুলো খুশি থাকত। তবে ২০০ রানের সংগ্রহকে মামুলি সংগ্রহ মনে হচ্ছে এবারের আইপিএলের কারণে। ২২০-২৫ রান করেও দলগুলো ভয়ে থাকছে। কারণ অনায়াসেই সেই রান তাড়া করে ফেলছে দলগুলো। আর শনিবার (২৬ এপ্রিল) ২৬২ রান তাড়া করে রীতিমতো বিশ্বরেকর্ড করে জিতেছে পাঞ্জাব কিংস। তবে ব্যাটারদের এমন একচ্ছত্র আধিপত্যে ক্রিকেট মাঠে বোলারদের ভূমিকা প্রায় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে এনেছে। বোলারদের সাথে এমন বৈষম্যে হতাশ ভারতের সাবেক অধিনায়ক এবং দিল্লি ক্যাপিটালস ফ্র্যাঞ্চাইজির মেন্টর সৌরভ গাঙ্গুলি। বিষয়টির সমাধানের জন্য সাবেক বিসিবি সভাপতি অনুরোধ করেছেন বোর্ডকে।  সৌরভ রানবন্যায় বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, 'বোলারদের পক্ষে খেলাটা খুব কঠিন হয়ে যাচ্ছে। মাঠের চারদিকে ওদের বল উড়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে বিষয়টা নজরে আনা দরকার। ব্যাটিং এবং বোলিংয়ে একটা ভারসাম্য আনা দরকার।'    সৌরভের সঙ্গে একই সুরে কথা মিলিয়েছেন ভারতীয় দলের তারকা স্পিনার রবিনচন্দ্র অশ্বীনও। টেস্টের এক নম্বর বোলার সামাজিক মাধ্যমে আকুতি জানিয়েছেন বোলারদের বাঁচানোর জন্য।  Save the bowlers someone plsss #KKRvsPBKS #IPL2024 — Ashwin (@ashwinravi99) April 26, 2024 নিজে বোলার হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই বোলারদের পরিস্থিতি বোঝেন তিনি। তাই তাদের পাশে দাড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’–এ গতকাল রাতে তিনি পোস্ট করেন, ‘অনুগ্রহ করে কেউ “বোলারদের বাঁচান”।’ অশ্বিন কথাটা লেখার পাশাপাশি ‘এসওএস’ শব্দটিও তিনবার লিখেছেন। এই ইংরেজি শব্দের অর্থ—‘সেভ আওয়ার সোলস।’ অর্থাৎ আমাদের জীবন বাঁচাও। কলকাতা–পাঞ্জাব ম্যাচ নিয়ে আরও পোস্ট করেছন অশ্বিন। সেঞ্চুরি করা জনি বেয়ারস্টো এবং ৬৮ রানে অপরাজিত থাকা শশাঙ্ক সিংয়ের ঝড়ে দুই ওভার থাকতেই লক্ষ্যের কাছে পৌঁছায় পাঞ্জাব। অশ্বিন তখন বিস্ময় নিয়ে পোস্ট করেন, ‘টি–টোয়েন্টি ম্যাচে ২৬০‍+ রান তাড়া করতে নেমে সর্বশেষ ২ ওভারেই বলে বলে রান উঠেছে। এটা হজম করতেও সময় লাগে।’ পাঞ্জাব–কলকাতা ম্যাচ নিয়ে অশ্বিনের শেষ পোস্ট, ‘ধারাভাষ্যকার এই মাত্র বললেন ইডেন গার্ডেনের বাউন্ডারি সীমানার দৈর্ঘ্য স্বাভাবিক।’ লেখার শেষে হাসির ইমোজি ব্যবহার করেছেন অশ্বিন।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

আইপিএল থেকে এখনো শিখছেন মুস্তাফিজ
‘আইপিএল খেলে তার (মুস্তাফিজের) শেখার কিছু নেই। মুস্তাফিজের শেখার সময় শেষ। বরং মুস্তাফিজের কাছ থেকে সেখানকার অনেক খেলোয়াড় শিখতে পারে’—কদিন আগেই কথাগুলো বলেছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস। তার এমন বক্তব্যের পর বিসিবিকে এক হাত নিলেন ভারতীয় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে। এবার সেই বিতর্কেই যেন ঘি ঢেলে দিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। চেন্নাই সুপার কিংসের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ২৮ বছর বয়সী বাঁহাতি এ পেসার বলেছেন, ‘অন্য যে কোনো টুর্নামেন্টের চেয়ে আইপিএলে সব তারকা থাকে; সব দেশের। এখানে সফল হলে অন্য জায়গায় (পারফর্ম করা) আমার জন্য সহজ হবে, আমার কাছে মনে হয়।’ গতকাল প্রকাশিত ভিডিওতে আইপিএলে খেলার উপকারিতা নিয়ে বাঁহাতি এ পেসার আরও বলেছেন, ‘বেশ ভালো লাগা কাজ করে, যখন আমি বড় দলের বিপক্ষে খেলি। আর বড় দলের বিপক্ষে আপনি যখন পারফর্ম করবেন, তখন সেটা হাইলাইটও হয় বেশি।’ ২০১৬ সাল থেকে প্রায় নিয়মিত আইপিএলে খেলছেন মুস্তাফিজ। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, রাজস্থান রয়্যালস, দিল্লি ক্যাপিটাল থেকে শুরু করে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলছেন তিনি। তবে চেন্নাইয়ে খেলার স্বপ্ন নাকি শুরু থেকেই দেখতেন তিনি। তার মুখেই শুনুন সে গল্প, ‘এটা চেন্নাইয়ে আমার প্রথম মৌসুম। যখন আমি খেলা শুরু করেছি, বিশেষ করে আইপিএলে ২০১৬ সালে, তারপর থেকেই চেন্নাই দলে খেলা আমার স্বপ্ন ছিল। আমি যখন ডাক পাই, ওই রাতে আমার ঘুম আসছিল না।’ আইপিএলের চলতি আসরের নিলামে মুস্তাফিজকে ২ কোটি ভিত্তিমূল্যে কিনেছিল চেন্নাই। সেদিন রাতে নিউজিল্যান্ডে থাকায় খবরটি বন্ধুদের মেসেজের মাধ্যমেই জানতে পেরেছিলেন তিনি। আইপিএলে গিয়ে নতুন করে কী শিখছেন, সেটা জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘মাহি ভাই কিছু ফিল্ড সেটআপ দেখিয়েছেন, ব্রাভো ডেথ ওভারে কীভাবে বোলিং করতে হয়... (সেটা শিখিয়েছেন)। এসব ইনপুট খুব মূল্যবান।’ বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের পরিচালক শেখার কিছু নেই বললেও মুস্তাফিজ বলছেন অনেক কিছুই শিখছেন তিনি। যদিও আগামী ১ মে চেন্নাইয়ের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন তিনি।
২৬ এপ্রিল, ২০২৪

দেশের জন্য আইপিএল ছাড়ছেন রাজা
বর্তমানে বিশ্বের যে কোনো ক্রিকেটারের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট আসর আইপিএলে খেলা রীতিমতো সবচেয়ে বড় স্বপ্ন। আকর্ষণীয় এই লিগে খেললে আসে কড়ি কড়ি টাকা যা জাতীয় দলে পাওয়া সম্ভব না। তাইতো অনেক খেলোয়াড় জাতীয় দলের খেলা থাকলেও আইপিএল ছাড়তে চান না। চলমান পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড সিরিজে যা বেশি দেখা গেলো। যেখানে আইপিএলের খেলা থাকায় কিউইদের মূল দলের অধিকাংশ খেলোয়াড় দলের সঙ্গে পাকিস্তান সফরে যাননি। তবে আইপিএলের খেলা থাকলেও দেশকে গুরুত্ব দেন অনেকে। এমন একজন হলেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার সিকান্দার রাজা।  ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) খেলতে এই মুহূর্তে ভারতে অবস্থান করছেন সীমিত ওভারে জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। তবে পাঞ্জাব কিংসের হয়ে এই আসরের সবগুলো ম্যাচ খেলতে পারবেন না তিনি। কারণ পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে আগামী ২৮ এপ্রিল বাংলাদেশে আসবে জিম্বাবুয়ে দল। যেখানে দলকে নেতৃত্ব দিবেন রাজা। জিম্বাবুয়ের এই অলরাউন্ডার সবসময়ই বলে এসেছেন তার কাছে জাতীয় দল সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বিশ্বের যে লিগেই খেললেও সেই সময়ে যদি জাতীয় দলের খেলা থাকে তাহলে তিনি দেশের হয়েই খেলবেন। এমনকি নাইজেরিয়ার মতো খর্ব শক্তির দলের বিপক্ষেও যদি সিরিজ থাকে, তাহলেও সেটিই বেছে নেবেন এই অলরাউন্ডার। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে তাকে পাওয়া যাবে কি না এই প্রশ্নে জিম্বাবুয়েভিত্তিক ওয়েবসাইট থ্রি-মোবডটকমকে রাজা বলেন, ‘আমি সেখানে থাকব ইনশাআল্লাহ। (বাংলাদেশ সিরিজের জন্য) আইপিএল ছাড়ছি।’ এরপর রাজা আরও বলেন, ‘আমি জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, দেশের একটা সীমিত ওভারের ম্যাচও আমি মিস করব না। এর কারণে যে লিগকেই ছেড়ে যেতে হোক না কেন।’ ‘জিম্বাবুয়ে যদি এখন আমাকে বলে যে তিন দিন পরই সিরিজ আছে, আর প্রতিপক্ষ নাইজেরিয়া, তাতে আমার কিছু যায়–আসে না। জিম্বাবুয়ে যদি আমাকে দলে নেয়, তাহলে আমি পিএসএল ছেড়ে যাব। যদি আইপিএলের সময় সিরিজ আসে, আমি আইপিএল ছেড়ে যাব। গ্লোবালটি-টোয়েন্টি, সিপিএল, আইএলটি-টোয়েন্টি—যে লিগই হোক না কেন।’-যোগ করেন তিনি। বাংলাদেশের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম তিনটি ম্যাচ হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। বাকি দুটি হবে মিরপুর শেরেবাংলায়। আগামী ৩ মে শুরু হবে দুই দলের মাঠের লড়াই। চট্টগ্রামে বাকি দুই ম্যাচ হবে ৫ ও ৭ মে। মিরপুরে সিরিজের শেষ দুই টি-টোয়েন্টি হবে ১০ ও ১২ মে।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফিরবেন কি না, জানালেন নারাইন
এবারের আইপিএলে ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত সময় কাটছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের ক্যারিবীয় তারকা সুনীল নারাইনের। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অন্যতম সেরা এই খেলোয়াড় কলকাতার হয়ে একের পর এক মারকুটে ইনিংসে মুগ্ধ করছেন সবাইকে। চলতি আইপিলে এক শতক সহ ২৮৬ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। একই সাথে বল হাতেও ভেলকি দেখিয়ে নিয়ে নিয়েছেন ৯ উইকেট। ব্যাটে-বলে এরকম দুর্দান্ত পারফর্ম করতে থাকা সুনীল নারাইনকে আসন্ন বিশ্বকাপে পেতে মরিয়া উইন্ডিজ। এমনকি ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েলতো সরাসরিই বলেছেন, গত ১ বছর ধরেই নাকি তিনি নারাইনকে জাতীয় দলে ফিরতে বলছেন। অবশ্য এবারের আইপিএল নারাইনের পারফরম্যান্সই এমন, যে তার মতো খেলোয়াড়কে যে কোন অধিনায়কই পেতে চাইবে। চলতি আইপিএলে টুর্নামেন্টের সেরার তালিকায় সবার ওপরে আছেন তিনি। রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে খেলেছেন ৫৬ বলে ১০৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস যে কোন ব্যাটারেরই ঈর্ষার কারণ হবে। বল হাতেও এবারের আসরে তিনি দুর্দান্ত। কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে এবার সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী তিনি। ২২.১১ গড়ে মাত্র ৭.১০ ইকোনমি রেটে ৯ উইকেট নেওয়া এই অলরাউন্ডারকে শিরোপা পুনরুদ্ধারের জন্য চায় উইন্ডিজ। তবে এক্ষেত্রে হতাশ হতে হবে ক্যারিবীয়দের কারণ সুনীল নারাইন জানিয়েছেন, জাতীয় দলে ফেরার জন্য তার দরজা চিরতরে বন্ধ। নিজেই জানিয়ে দিয়েছেন, তাকে জাতীয় দলে ফেরাতে চাইলে নিরাশ হতে হবে। কলকাতা নাইট রাইডার্সের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে নিজের মন্তব্য জানিয়েছেন সুনীল নারাইন। তিনি বলেন ‘আমি সত্যিই খুশি এবং মুগ্ধ হয়েছি যে সম্প্রতি আমার পারফরম্যান্স অনেক লোককে সরাসরি আমাকে অবসর থেকে বেরিয়ে আসার এবং আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করতে অনুপ্রাণিত করেছে।’ আমি সেই সিদ্ধান্তে সম্মানের সঙ্গেই গ্রহণ করছি এবং আমি কখনই হতাশ করতে চাই না। তবে সেই দরজাটি (জাতীয় দলে ফেরা) এখন বন্ধ এবং আমি ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে জুনে যারা মাঠে নামবে তাদের সমর্থন করব।’ সুনীল আশাবাদী ঘরের মাঠে উইন্ডিজের ক্রিকেটাররা তৃতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জয় করবে, ‘ছেলেরা গত কয়েক মাস ধরে কঠোর পরিশ্রম করেছে এবং তারা আরেকটি খেতাব জিততে সক্ষম, সেটা আমাদের অসাধারণ ভক্তদের দেখানোর জন্য যোগ্য। আমি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটারদের শুভকামনা জানাই।’ ২০১৯ সালে জাতীয় দলের হয়ে সবশেষ দেখা গিয়েছিল সুনীল নারিনকে। ২০২৩ সালে তিনি অবসর নেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৫১টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন এই অলরাউন্ডার। তাতে ৪৯ ইনিংসে বল করে পেয়েছেন ৫২ উইকেট। আর ব্যাট হাতে ২৩ ইনিংসে করেছেন ১৫৫ রান।
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

আইপিএল খেলার স্বপ্ন শরিফুলের, তবে…
জাতীয় দল, বিপিএলের পর এবার প্রিমিয়ার লিগেও বল হাতে দারুণ ছন্দে শরিফুল ইসলাম। তিন ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়ে আবাহনীকে শিরোপার পথে এগিয়ে নিচ্ছেন তিনি। অথচ এ সময়টা চাইলেই আইপিএলে কাটাতে পারতেন বাঁহাতি এ পেসার। বিশ্বসেরা ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটিতে খেলার জন্য প্রস্তাব পেয়েও যাওয়া হয়নি তার। কারণ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) থেকে পাওয়া অনাপত্তিপত্রে (এনওসি) পুরো সিজনের জন্য সুযোগ মেলেনি শরিফুলের। এতে অবশ্য আক্ষেপ না থাকলেও একদিন আইপিএলে খেলার স্বপ্ন দেখেন তিনি। তবে তাতে আবার বড় বাধা জাতীয় দলের ব্যস্ততা! সেজন্যই সে ব্যস্ততা না থাকুক, এটাও মনে করিয়ে দিলেন ২২ বছর বয়সী এ পেসার। কয়েক মাস আগেই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের সেরা বোলার হয়েছিলেন শরিফুল। তার দল দুর্দান্ত ঢাকা ভালো না করলেও বোলিংয়ে দারুণ ছন্দময় ছিলেন তিনি। জাতীয় দলের হয়ে শ্রীলঙ্কা সিরিজেও তার ছাপ ছিল স্পষ্ট। দারুণ ছন্দময় এই পেসারকে তাই এ আসরে দলে পেতে আগ্রহ দেখিয়েছিল আইপিএলের দল লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্ট। কিন্তু পুরো টুর্নামেন্টের জন্য এনওসি না পাওয়ায় আর যাওয়া হয়নি তার। গতকাল প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ শেষে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে শরিফুলই বলেছেন সে কথা, ‘লক্ষ্ণৌ থেকে আমাকে এসএমএস দেওয়া হয়েছিল, তারা আমাকে চাচ্ছিল। কিন্তু এনওসির সময়টা খুব কম ছিল, যার জন্য তারা আর কোনো উত্তর দেয়নি।’ পুরো সিজনের জন্য হলে সুযোগ হতো বলে বিশ্বাস বাঁহাতি এ পেসারের, ‘হয়তো যদি ফুল এনওসিটা দিত বিসিবি, তাহলে হতো (খেলার সুযোগ)। কিন্তু আমাদের যেহেতু জিম্বাবুয়ে সিরিজ আছে। সেটা চিন্তা করে এনওসিটা ওভাবে দেওয়া হয়েছিল।’ ২০২২ সালে আইপিএলে একই ফ্র্যাঞ্চাইজি থেকে খেলার প্রস্তাব পেয়েছিলেন তাসকিন আহমেদও। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের জন্য সুযোগ মেলেনি তার। এবার একই পরিস্থিতির স্বীকার শরিফুল। আইপিএলে খেলার ইচ্ছার কথা জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘ইচ্ছা তো আছে সুস্থ থাকলে যেভাবে যাচ্ছে এভাবে গেলে ইনশাআল্লাহ একদিন খেলব আইপিএল। যদি তখন কোনো খেলা না থাকে (জাতীয় দলের)। তাই আশা থাকবে, ইচ্ছাও আছে—হয়তো সুযোগ পেলে ভালো কিছু করব ইনশাআল্লাহ।’ শরিফুলের এমন আত্মবিশ্বাসের কারণ তারই স্বদেশি মুস্তাফিজুর রহমান। এবারের আইপিএলে খেলা বাংলাদেশের একমাত্র খেলোয়াড় তিনি। চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে এখন পর্যন্ত ভালোই ছন্দে মুস্তাফিজ। ছন্দের কারণও নাকি শরিফুলের সঙ্গে শেয়ার করেছিলেন মুস্তাফিজ। শরিফুলের মুখ থেকেই শুনুন সে কথা, ‘উনি বলেন যে, ওখানে (আইপিএল) চাপ কম। তার জন্যই হয়তো বাড়তি আত্মবিশ্বাস পাচ্ছে।’ শরিফুলেরও বিশ্বাস, একদিন তিনিও আইপিএলে সুযোগ পেলে ভালো খেলবেন।
১৯ এপ্রিল, ২০২৪
X