চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো হচ্ছে গুচ্ছ পরীক্ষা
চাঁদপুরের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চাঁবিপ্রবিতে) অস্থায়ী ক্যাম্পাসে প্রথমবারের মতো গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে পরীক্ষার প্রাথমিক সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে আগামী ২৭ এপ্রিল ‘এ’ ইউনিট, ৩ মে ‘বি’ ইউনিট এবং ১০ মে ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষায় ‘এ’ ইউনিটে ২৯৫ জন, ‘বি’ ইউনিটে ২৯৬ জন ও ‘সি’ ইউনিটে ১৭৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে। পরীক্ষার আগে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনকৃত মোবাইল নম্বরে এসএমএস পাঠিয়ে আসন বিন্যাস সংক্রান্ত তথ্য জানিয়ে দেওয়া হবে। এ ছাড়া প্রয়োজনীয় সব তথ্য জিএসটি এর ওয়েবসাইটে (https://gstadmission.ac.bd/) পাওয়া যাবে। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ও চাঁবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নাছিম আখতার বলেন, উপাচার্য  হওয়ার পর গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল উপ-কমিটির কনভেনার হিসেবে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছি। বিগত দিনগুলোতে আমার ক্যাম্পাস ছিল না এবং পরীক্ষা নেওয়ার পরিবেশও ছিল না। বর্তমানে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে পরীক্ষা নেওয়ার মতো জায়গা হয়েছে। এখন আমরা পরীক্ষায় নিরাপত্তা দিতে সক্ষম। তাই এ বছর আমি গুচ্ছের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে আবেদন করি পরীক্ষা নেওয়ার অনুমতির জন্য এবং কমিটি সেটি গ্রহণ করে। তিনি আরও বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষার কারণে চাঁদপুরে বসবাসকারী  শিক্ষার্থীদের সুবিধা হলো। প্রথম উপাচার্য হিসাবে আমার তত্ত্বাবধানে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা চাঁদপুরে শুরু হওয়ায় আমি আনন্দিত। এটি এ জেলার ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে। উল্লেখ্য, এবার দেশের ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় জিএসটি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
০৭ এপ্রিল, ২০২৪

চাঁদপুর আ.লীগের সম্মেলন দ্রুত করার নির্দেশ
চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয় না দীর্ঘদিন। এ ছাড়া এই জেলায় সংগঠন কোন্দল ও নানা সমস্যায় জর্জরিত হওয়ায় দ্রুত সম্মেলনের তাগিদ দিয়েছে আওয়ামী লীগ। গতকাল রোববার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় আওয়ামী লীগ নেতা, দলীয় ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়। সভায় তৃণমূলের নেতারা জেলা আওয়ামী লীগের কোন্দলের পেছনে স্থানীয় মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় এক নেতার জড়িত থাকার অভিযোগ করেন। জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় তালাবদ্ধের পেছনে তার ভূমিকা রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তারা। যদিও বৈঠকে উপস্থিত সেই মন্ত্রী এর কোনো জবাব দেননি। এ ছাড়া কুমিল্লার উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কুমিল্লা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদকে তার পদ থেকে অব্যাহতির বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়। এ বিষয়ে সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, তাকে অব্যাহতি জেলা আওয়ামী লীগ দিতে পারে না, সুপারিশ করতে পারে। কেন্দ্র থেকে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে, তিনি জবাব দিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেবে অথবা নির্দোষ হলে তিনি ক্ষমা পাবেন। কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা বলেন, উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকায় দলে কোন্দল বাড়ছে এবং নিয়ন্ত্রণ করা দুরূহ হয়ে যাচ্ছে। তারা নির্দিষ্ট কাউকে দলের পক্ষ থেকে সমর্থন দেওয়ার দাবি জানান। অন্যদিকে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা সম্মেলন নিয়ে আরও কিছুদিন সময় চান। কেন্দ্রীয় নেতারা দ্রুত সম্মেলনের তাগিদ দিয়ে বলেন, বাকি শাখার সম্মেলন পরবর্তী কমিটির নেতারা করবেন। এ সময় চট্টগ্রামের নেতারা প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানান। বৈঠকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নেতারাও নানা অভিযোগ ও অনুযোগ তুলে ধরেন।
০১ এপ্রিল, ২০২৪

পানি সংকটে কৃষকদের হাহাকার, জমি শুকিয়ে মরুভূমি
প্রথম দেখায় মনে হতে পারে এটি কোনো মরুভূমি অঞ্চলের দৃশ্য। তবে দূরে তাকালে সবুজ অরণ্য দেখলে সেই ভুল ভেঙে যাবে। নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশের কৃষিজমির দৃশ্য এটি। পানির অভাবে ফসলি জমি শুকিয়ে ফেটে গেছে। যার কারণে ফসল উৎপাদন নিয়ে বিপাকে পড়েছে কয়েক হাজার কৃষক। চাঁদপুর সেচ প্রকল্প আওতাভুক্ত ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা উত্তর ইউনিয়নের বারপাইকা, বদরপুর, গাব্দেরগাওসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে পানির এমন সংকট দেখা যায়। সেচ কাজে দ্রুত পানি সরবরাহ না বাড়লে উপজেলার প্রায় ১০ হাজার ৮০ হেক্টর জমির বোরো আবাদ চরম অনিশ্চয়তার মুখে পড়তে পারে। সরেজমিনে দেখা যায়, মাঘ মাসের শুরুতে কৃষকরা বোরো আবাদের জন্য চারা রোপণ করলেও পানির তীব্র সংকটে পড়ে তারা। কিছুদিন পুকুর, ডোবা ও খাল থেকে পানি নিয়ে সংকট নিরসনের চেষ্টা করা হয়। তবে এখন সব ধরনের জলাশয় শুকিয়ে যাওয়ায় পানির জন্য হাহাকার তৈরি হয়েছে। সময় মতো ধান রোপণ করতে পারছেন না অধিকাংশ কৃষক। যারা ধানের চারা লাগিয়েছেন তাদেরও চারাগুলো মরে যাচ্ছে পানির সংকটে। এমন সংকটে পানি উন্নয়ন বোর্ড, সেচ প্রকল্প কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও কোনো সুরাহা পাননি কৃষকরা। ফলে প্রতিদিনই কৃষকের ‘কান্নায় ভিজছে’ ফসলের মাঠ। চাঁদপুর জেলা পা‌নি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশ‌লী জহুরুল ইসলাম জানান, সব কৃষকরা একসঙ্গে পানি তোলার কারণে সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত পানির সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কল্লোল কিশোর সরকার জানান, পানির প্রেসার যে পরিমাণ প্রয়োজন পানি উন্নয়ন বোর্ড তা বাড়াতে পারেনি। খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় এবং কৃষিজমি তুলনামূলক উঁচু হওয়ায় পানি সরবরাহ ব্যহত হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, অধিকাংশ পুকুর, খাল, নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় ঠিকভাবে পানি প্রবাহিত হচ্ছে না। ফলে সেচ সংকট দেখা দেয় কৃষি জমিতে। অবিলম্বে তাই খাল খনন অথবা গভীর নলকূপ স্থাপনের দাবি কৃষকদের।
১০ মার্চ, ২০২৪

লঞ্চের কেবিন থেকে যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার
চাঁদপুরে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একটি লঞ্চের কেবিন থেকে মো. জয়নাল (৩৮) নামের এক যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে চাঁদপুর লঞ্চ ঘাটে অবস্থান করা বোগদাদিয়া-৭ লঞ্চের ১০৩ নাম্বার কেবিন থেকে জয়নালের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। জয়নাল শরীয়তপুর জেলার মোল্লাবাজার এলাকার আবদুল মান্নানের ছেলে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে বোদাদাদিয়া-৭ লঞ্চের কেবিন ইনচার্জ মো. দীপু জানান, সকালে ঢাকা সদরঘাট থেকে আমাদের লঞ্চটিতে জয়নাল নামক একজন যাত্রী ৭০০ টাকায় ১০৩ নাম্বার কেবিনটি ভাড়া নেন। এরপর সকাল সাড়ে ১২টায় লঞ্চটি চাঁদপুর ঘাটে ভিড়লে আমরা অনেক ডাকাডাকি করার পর ভেতর থেকে কোনো সাড়া শব্দ পাইনি। পরে কয়েকজন স্টাফ মিলে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করি। পরে দেখি জয়নাল নামক যাত্রীটি অজ্ঞান হয়ে কেবিনে পড়ে আছেন। এ বিষয়ে চাঁদপুর নৌ থানার কর্তব্যরত এস আই জহির উদ্দিন আহমেদ বলেন, কেবিনের ভেতর থেকে অজ্ঞান অবস্থায় ওই যাত্রীকে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আমরা লঞ্চের স্টাফদের জিজ্ঞাসা করছি কেন এবং কীভাবে যাত্রীটি মারা গেল? এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
১৯ জানুয়ারি, ২০২৪

ঘন কুয়াশায় এক রাতেই মুখোমুখি চার লঞ্চ, নিহত ১
ঘন কুয়াশায় এক রাতেই চাঁদপুর নৌপথে চলাচলকারী পৃথক দুই স্থানে মোট চারটি লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। তবে তার নাম পরিচয় জানা যায়নি। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে চাঁদপুরের বন্দর কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বরিশালের ইলিশা থেকে ঢাকাগামী সুরভী-৮ এবং ঢাকা থেকে চরফ্যাশনগামী টিপু-১৪ লঞ্চটি চাঁদপুরের হাইমচরের চরভৈরবী অতিক্রমকালে ঘনকুয়াশায় মুখোমুখি সংঘর্ষের দিকে ধাবিত হয়। গতকাল রাত ১২টার দিকে এই দুর্ঘটনার সময় টিপু-১৪ লঞ্চটির ধাক্কায় সুরভী-৮ লঞ্চের কিনারে থাকা এক যাত্রীর বুকে লঞ্চটির পাইপ ভেঙে জোরে লোহার আঘাত লাগে। এতে ঘণ্টা দেড়েকের মধ্যেই ওই সুরভী-৮ লঞ্চের আহত যাত্রীর মৃত্যু হয়। বন্দর কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, লঞ্চগুলোর তেমন কোনো ক্ষতি না হওয়ায় লঞ্চগুলো চলে যেতে অনুমতি দিয়ে দিয়েছি। যার কারণে চাঁদপুরে কোনো লঞ্চ ঘাটে ভিড়াতে হয়নি। আরেক দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে বন্দর কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বলেন, ঘনকুয়াশার কারণে চাঁদপুর হয়ে ঢাকা-পটুয়াখালী নৌপথে চলাচলকারী এম ভি এ আর খান-১ এবং ঢাকা-চাঁদপুর নৌ পথে চলাচলকারী এম ভি রফরফ-৭ লঞ্চের মধ্যে রাত সাড়ে ৩টার দিকে মোহনপুরে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে রফরফ-৭ লঞ্চের দোতলার টেক্সিন ভেঙে যায়। তবে যাত্রী সাধারণের জানমালের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তিনি আরও বলেন, লঞ্চের মাস্টার ড্রাইভারদেরকে প্রতিনিয়ত দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া এবং ঘন কুয়াশার মধ্যে নৌযান পরিচালনা না করার নির্দেশ দেওয়া ছিল। তারা বন্দর বিজ্ঞপ্তির নির্দেশনা অমান্য করে নৌযান পরিচালনা করার কারণেই এ ধরনের দুর্ঘটনা সংঘটিত হলো বলে আমরা ধারণা করছি।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৩

৮ ডিসেম্বর : চাঁদপুর মুক্ত দিবস আজ
ইতিহাসের পাতায় ইলিশের বাড়ি খ্যাত চাঁদপুর জেলাটি মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে পাকবাহিনীর থেকে ৮ ডিসেম্বর মুক্ত হয়েছিল। ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে সদর থানার সামনে বিএলএফ বাহিনীর প্রধান মরহুম রবিউল আউয়াল কিরণ স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে চাঁদপুর মুক্ত দিবস উদযাপন করেন। জানা যায়, পদ্মা-মেঘনা-ডাকাতিয়া নদীবেষ্টিত জেলা চাঁদপুরে ১৯৭১ সালের ৭ এপ্রিল পাক হানাদার বাহিনী দুটি বিমান থেকে সেলিংয়ের মাধ্যমে প্রথম আক্রমণের সূচনা করে। প্রথম দিনেই হামলায় শহরের বাণিজ্যিক এলাকা পুরান বাজারের এক নারী পথচারী নিহত হয়েছিলেন। পরদিন বিকেলে প্রায় ৫ শতাধিক পাকসেনার একটি বহর চাঁদপুর ঢুকে পড়ে। শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে চাঁদপুর কারিগরি উচ্চ বিদ্যালয়টিতে অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করে পাকিস্তানি সেনারা। আর পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তাদের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিশ্রামাগারটি তখন রাজাকার ও আলবদররা নির্ধারণ করা দিয়েছিল। শহরের মেথারোডের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা জীবন কানাই চক্রবর্ত্তী বলেন, ৮ এপ্রিল রাতেই চাঁদপুরে অবস্থানরত ২ নম্বর সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধারা বিচ্ছিন্নভাবে হানাদার বাহিনীর ক্যাম্পে হামলা চালায়। হামলা দেখে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করে। তখন কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা মারাত্মক আহত হন। ৯ এপ্রিল ভোরে পাকিস্তানি মেলিটারিরা শহরে ঢুকে চাঁদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এবং পরে শহরের হাসান আলী উচ্চ বিদ্যালয় মোড়ে কয়েকজনকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে। সেসব স্মৃতি মনে পড়লে এখনো আমার হৃদয়টা হু হু করে কেঁদে ওঠে। গণি স্কুলের পাশের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা অজিত সাহা বলেন, চাঁদপুরের বড় স্টেশন মোলহেড এলাকায় হানাদার বাহিনীর একটি টর্চার সেল করা হয়। এখানে চাঁদপুর রেলপথ, সড়কপথ এবং নৌপথে যেসব যাত্রীর সন্দেহ হয়েছে। তাদের ধরে এনে অমানুষিক নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণ করা হতো। পরে ওই মরদেহগুলো মেঘনা এবং পদ্মা নদীতে পাকবাহিনী ফেলে দিত। যার সাক্ষী আজও ডাকাতিয়া-পদ্মা-মেঘনা নদীর মোহনা এবং বর্তমান সময়ে নির্মিত রক্তধারাটি বহন করছে। এই বিষয়টি কিন্তু জেলা শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে নির্মিত ‘মধ্য রাতের মোলহেড’ নামের নাটকেও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। পুরানবাজারের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্যাংকার মজিবুর রহমান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষার্থে চাঁদপুর পৌরসভা ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ২০১৩ সালে বড় স্টেশনে ‘রক্তধারা’ নামে বধ্যভূমি নির্মাণ করা হয়। এর আগে চাঁদপুরের প্রথম শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সুশীল, শংকর ও খালেকের নামে ট্রাক রোডে নির্মাণ করা হয় ‘মুক্তিসৌধ’ এবং চাঁদপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে লেকের ওপর দৃশ্যত ভাসমান মুক্তিস্মৃতি সৌধ ‘অঙ্গীকার’ নির্মাণ করা হয়। এ ছাড়া চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে চাঁদপুরের স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের নামের তালিকা সংবলিত একটি স্মৃতিফলক নির্মাণ করা হয়েছে। চাঁদপুর পৌরসভার ৫ রাস্তার মোড়ে পৌরসভার অর্থায়নে নির্মাণ করা হয় ‘শপথ চত্বর’ বর্তমানে এটি ‘জয় বাংলা’ চত্বর নামেও পরিচিত। চাঁদপুরের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে অন্যতম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা বিনয় ভূষণ মজুমদার বলেন, ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানের দোসররা কত লোককে হত্যা করেছে তার কোনো ইয়ত্তা নেই। চাঁদপুর জেলায় (তৎকালীন মহকুমা) সর্বশেষ যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল ৭ ডিসেম্বরে। ওই সময় লাকসাম ও মুদাফ্ফরগঞ্জ মুক্ত হওয়ার পর যৌথ বাহিনী হাজীগঞ্জ দিয়ে ৬ ডিসেম্বর চাঁদপুর আসতে শুরু করে। পরে মুক্তিসেনারা হানাদার বাহিনী প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়। ভারতীয় গার্ডস রেজিমেন্টের নেতৃত্বে ৩১১তম মাউন্টেন ব্রিগেড ও ইস্টার্ন সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধাদের যৌথ আক্রমণ চালানো হয়। দিশা না পেয়ে পাকিস্তান ৩৯ অস্থায়ী ডিভিশনের কমান্ডিং অফিসার মেজর জেনারেল রহিম খানের নেতৃত্বে দুটি জাহাজে করে নৌপথে ঢাকার উদ্দেশে চাঁদপুর থেকে পালিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় মুক্তিবাহিনী, মিত্রবাহিনীর ট্যাংক ও বিমান আক্রমণে নদীতে পাক বাহিনীর চিরকবর রচনা করতে সবাই সক্ষম হয়। চাঁদপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল বলেন, ১৯৯২ সাল থেকে সর্বজনীনভাবে মুক্তিযুদ্ধের বিজয়মেলা হচ্ছে। মূলত হাসান আলীর মাঠে মুক্তিযোদ্ধাদের অনেক স্মৃতি জড়িত থাকায় এ মাঠেই বিজয় মেলা করা হতো, যা বন্ধে রাজাকারের দোসররা ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি সব সময়ই তৎপর থাকে। যদিও শহরের বর্তমান পরিস্থিতিতে এখন এ মেলাটি আউটার স্টেডিয়ামে করা হয়। তরুণ প্রজন্মের সামনে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস গৌরব ও চেতনা তুলে ধরতে বিজয় মেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

চাঁদপুর থেকে সব রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাব কেটে যাওয়ার পর চাঁদপুর থেকে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল শুরুর ঘোষণা দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টা থেকে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর নদীবন্দরের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগ এবং বন্দর ও পরিবহন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক শাহাদাত হোসেন। তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে প্রতিকূল আবহাওয়া অনুকূলে আসায় এবং নদীবন্দরের জন্য কোনো সতর্কতা সংকেত না থাকায় নৌ-নিরাপত্তা ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনাক্রমে প্রায় ২১ ঘণ্টা পর আজ সকাল সাড়ে ৭টায় চাঁদপুর-ঢাকা এবং চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জ নৌপথে পুনরায় নৌযান চলাচল স্বাভাবিকভাবে শুরু হয়েছে। এদিকে চাঁদপুর লঞ্চঘাট সূত্রে জানা যায়, লঞ্চ চলাচল শুরু হওয়ার খবরে রোববার হরতাল থাকায় শনিবার সকাল থেকেই ঘাটে প্রচুর যাত্রী হয় এবং বিপুলসংখ্যক যাত্রী নিয়ে সকাল ৯টায় এমভি ঈগল-৩ লঞ্চটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এর আগে শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে চাঁদপুর থেকে সারাদেশের সঙ্গে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।
১৮ নভেম্বর, ২০২৩

চাঁদপুর-ঢাকা রুটের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা
বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ থেকে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া আর স্থানীয় নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত-২ এর কারণে চাঁদপুর টু ঢাকা নৌপথের সকল নৌযান পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বেলা পৌনে ১১টার দিকে বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুরের বন্দর কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে নৌযান বন্ধের এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় চাঁদপুর টু নারায়ণগঞ্জ নৌপথের সব নৌযান পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধের ঘোষণা দেয় বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুরের বন্দর কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিশ্চিত করে বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুরের উপপরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে সতর্কতা হিসেবে আমরা প্রথমে চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জ রুটের সব নৌযান চলাচল বন্ধ রেখেছিলাম। তবে চাঁদপুর-ঢাকা নৌপথে চলাচলকারী লঞ্চের সময়সূচি স্বাভাবিক রাখলেও এখন সেগুলোও সব বন্ধ করা হয়েছে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির পর মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ায় সবাইকে সতর্ক ও নিরাপদে থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হলো।
১৭ নভেম্বর, ২০২৩

ঘূর্ণিঝড় মিধিলি / চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জ রুটের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা
বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ থেকে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া আর স্থানীয় নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত-২ এর কারণে চাঁদপুর টু নারায়ণগঞ্জ নৌপথের সব নৌযান পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুরের বন্দর কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে নৌযান বন্ধের এ ঘোষণা দেওয়া হয়। বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুরের উপপরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে সতর্কতা হিসেবে আমরা চাঁদপুর নারায়ণগঞ্জ রুটের সব নৌযান চলাচল বন্ধ রেখেছি। তবে চাঁদপুর-ঢাকা নৌপথে চলাচলকারী লঞ্চের সময়সূচি স্বাভাবিক রয়েছে। মুষলধারে বৃষ্টির পর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ায় যাত্রী চলাচল তেমন একটা নেই।
১৭ নভেম্বর, ২০২৩
X