Sun, 19 May, 2024
সোশ্যাল মিডিয়া
মোবাইল অ্যাপস
আর্কাইভ
কনভার্টার
EN
আজকের পত্রিকা
ই-পেপার
ম্যাগাজিন
ঈদ সংখ্যা ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৩
সারাবেলা ম্যাগাজিন
টি ২০ ম্যাগাজিন
আর্কাইভ
সোশ্যাল মিডিয়া
ফেসবুক পেজ
Kalbela
Kalbela Online
Kalbela News
kalbela.com
Kalbela World
Kalbela Sports
Kalbela Entertainment
ইউটিউব চ্যানেল
Kalbela News
image/svg+xml
Kalbela World
image/svg+xml
Kalbela Entertainment
Kalbela Sports
টিকটক
Kalbela News
টিকটক
Kalbela Entertainment
টুইটার
Kalbela
ইনস্টাগ্রাম
Kalbela
লিঙ্কডইন
Kalbela
টেলিগ্রাম
Kalbela
লাইকি
Kalbela News
সাউন্ডক্লাউড পডকাস্ট
Kalbela News
গুগল নিউজ
Kalbela
ইমু
Kalbala
হোয়াটসঅ্যাপ
Kalbala
থ্রেডস
Kalbela News
বাংলা কনভার্টার
ঢাকায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের মিছিল শেষে শিক্ষার্থী খুন
৯ ঘণ্টা আগে
মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকে আল্টিমেটাম
১০ ঘণ্টা আগে
অবশেষে লালমনিরহাটে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি
১০ ঘণ্টা আগে
সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় মামলা
১০ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত
১১ ঘণ্টা আগে
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
ভিডিও
অডিও
রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
| ১৯ মে ২০২৪
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ভিডিও
অডিও
রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
সদ্যপ্রাপ্ত
পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে বাবর আলীর মাউন্ট এভারেস্ট জয়।
অনুসন্ধান
যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ নিয়ে মুখ খুললেন বাইডেন
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ নিয়ে নীরবতা ভাঙলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ প্রথম তিনি সরাসরি আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ করে কথা বলেছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২ মে) হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া এক টেলিভিশন বিবৃতিতে বাইডেন বিক্ষোভকারীদের নিয়ে মন্তব্য করেন। জো বাইডেন বলেন, আমেরিকা কর্তৃত্ববাদী জাতি নয়, যেখানে জনগণকে চুপ করিয়ে দেওয়া বা ভিন্নমত দমন করা হয়। তবে মনে রাখতে হবে যুক্তরাষ্ট্র আইনহীন দেশ নয়। ক্যাম্পাসগুলোতে অবশ্যই শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলন করার অধিকার আছে। কিন্তু অরাজকতা তৈরির অধিকার নেই। সবার শিক্ষাগ্রহণের অধিকার আছে, ডিগ্রি পাওয়ার অধিকার আছে। ভয় ও আক্রমণের শিকার হওয়ার আশঙ্কা ছাড়াই নিরাপদে ক্যাম্পাসের প্রতিটি স্থানে শিক্ষার্থীদের যাওয়ার অধিকার আছে।’ এসব অধিকার ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীরা নষ্ট করছে বলে ইঙ্গিত করেন বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ায় গেল মঙ্গলবার মধ্যরাতে ইসরায়েলপন্থি ও ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে বুধবার গভীর রাতে ক্যাম্পাসে পুলিশ অভিযান চালায়। সেখান থেকে ২০৯ জন বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনার পরই বাইডেন শিক্ষার্থী বিক্ষোভ নিয়ে মুখ খুললেন। ইউসিএলএর চ্যান্সেলর জিন ব্লক বলেছেন, প্রায় ৩০০ জন বিক্ষোভকারী স্বেচ্ছায় ক্যাম্পাস থেকে চলে গেছেন। বাকি বিক্ষোভকারীরা পুলিশের আদেশ উপেক্ষা করেছেন। তাদের ওপর হামলা করে গ্রেপ্তার করা হয়। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে গেল কয়েক সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। কোনো কোনো ক্যাম্পাসে পুলিশের সঙ্গে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। কোথাও সংঘর্ষ হয়েছে ইসরায়েলপন্থি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গেও। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীদের গণহারে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কোথাও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। তবু শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দমে যায়নি। বরং দিনকে দিন স্ফূলিঙ্গের মতোই ছড়িয়ে পড়ছে বিক্ষোভ। ফলে জনমত অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকে ইহুদি-বিদ্বেষ বলে আখ্যা দেয় ইসরায়েলপন্থি মার্কিন নীতিনির্ধারকরা। এদিকে পুলিশের অভিযানের পর ইউসিএলএ কর্তৃপক্ষ বলেছে, ক্যাম্পাসে জরুরি পরিস্থিতির কারণে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ক্লাস হবে অনলাইনে। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ এলাকা এড়িয়ে চলতে বলেছে কর্তৃপক্ষ। অপরদিকে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় পুরোপুরি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়ার পর নতুন করে কাউকে সেখানে জড়ো হতে দেওয়া হচ্ছে না।
০৩ মে, ২০২৪
এবার নেতানিয়াহুকে হুঁশিয়ারি দিলেন বাইডেন
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসকে নির্মূলে ছয় মাস ধরে গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এই হামলায় এরই মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৩ হাজারেরও বেশি মানুষ। নির্বিচার প্রাণহাণি ও গাজাবাসীর দুর্দশার জন্য বিশ্বজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে তেলআবিব। এমন পরিস্থিতিতে গাজার বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষায় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার নেতানিয়াহুকে ফোন দেন বাইডেন। হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, গাজার বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা না করলে, বদলে যাবে ইসরায়েলের প্রতি মার্কিন নীতি। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। রয়টার্স জানিয়েছে, বাইডেন ইসরায়েলের আজীবন সমর্থক। বৈশ্বিক চাপের মুখেও গাজায় হামলা অব্যাহত রাখা দেশটিতে সাহায্য বা অস্ত্রের চালান বন্ধ করেননি তিনি। কিন্তু গেল সোমবার ইসরায়েলি হামলায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা -ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের ৭ জন কর্মী মৃত্যু হয়। মূলত ওই ঘটনার জেরেই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীকে ফোন দেন বাইডেন। জানা যায়, বাইডেন ও নেতানিয়াহুর ফোন কলটি প্রায় ৩০ মিনিট স্থায়ী ছিল। উভয় নেতার ফোন কল সম্পর্কে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন ‘স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, গাজার ইস্যুতে মার্কিন নীতি ঠিক কী হবে, তা নির্ধারণ করা হবে ইসরায়েল সেখানে কী করছে তা পর্যালোচনার ওপর। রয়টার্স আরও জানায়, ওয়াশিংটন ইসরায়েলের শীর্ষ অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ এবং বাইডেন প্রশাসন এতদিন বেশিরভাগ সময়ই জাতিসংঘে ইসরায়েলকে কূটনৈতিক ঢালের মাধ্যমে রক্ষা করে এসেছে। এদিকে বৃহস্পতিবারের এই ফোনকলের পরে এক ব্রিফিংয়ে কথা বলেন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি। অবশ্য সেখানে ইসরায়েল এবং গাজার প্রতি মার্কিন নীতিতে কোনো ধরনের সুনির্দিষ্ট পরিবর্তন আসবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে অস্বীকার করেছেন তিনি। এদিকে গাজার বেসামরিক মানুষকে রক্ষার বিষয়ে হোয়াইট হাউসের কথারই পুনরাবৃত্তি করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরায়েলের কাছ থেকে কোনো পরিবর্তন না দেখে, তবে মার্কিন নীতিতে পরিবর্তন হবে। অন্যদিকে মার্কিন নীতিতে সম্ভাব্য পরিবর্তন সম্পর্কে জানতে চাইলে নেতানিয়াহুর মুখপাত্র তাল হেনরিচ ফক্স নিউজকে বলেছেন, ‘আমি মনে করি, এটি এমন কিছু যা ওয়াশিংটনকে ব্যাখ্যা করতে হবে’।
০৫ এপ্রিল, ২০২৪
বাইডেনের ইসরায়েল সমর্থনের নেপথ্যে কৌশলগত স্বার্থ ও তদবির
অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বোমা হামলায় ইতোমধ্যে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। মানবতার এমন সংকটালগ্নে জাতিসংঘের কর্মকর্তারা যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে আসছেন। এ অবস্থায় ইসরায়েলের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ না করে দেশটির একান্ত মিত্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গাজা অধিবাসীদের মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি না ফিলিস্তিনিরা মৃত্যুর সংখ্যার ব্যাপারে সত্য কথা বলছে। তার এ সমর্থনের নেপথ্যে নিয়ে নানা আলোচনা রয়েছে। গত বছরের অক্টোবরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় বেসামরিক জনগণের হতাহতের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেছিলেন, ‘এটা যুদ্ধ ঘোষণার মূল্য’। গত কয়েক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলিকান উভয় শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের মধ্যে একটা শক্ত বন্ধন তৈরি হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে মার্কিন প্রশাসন ইসরায়েলকে প্রায় ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা করেছে। তবে এমন গুরুতর মানবিক বিপর্যয়ের মাঝেও গাজা যুদ্ধের সময়ে জো বাইডেনের সরকার ইসরায়েলকে অস্ত্র সহায়তা বাড়িয়ে দেওয়ায় মার্কিন বৈদেশিক নীতি চরম রোষাণলে পড়েছে। গত চার মাস ধরে চলা এ যুদ্ধে ২৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ায় জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞরা গণহত্যা ও দুর্ভিক্ষের সতর্কবার্তা দিয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্যের হাজার হাজার জনগণ এ হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছেন, বিক্ষোভ করেছেন মার্কিন দূতাবাসগুলোর সামনে। সম্প্রতি সিরিয়া এবং ইরাকে মার্কিন সেনারা আক্রমণের মুখে পড়েছে। এ ছাড়াও ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা গাজাবাসীদের সমর্থনে লোহিত সাগরে মার্কিন রণতরীতেও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এমন সব পরিস্থিতির মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বর্তমান অবস্থান কী ইঙ্গিত করে? তার বর্তমান কার্যক্রম এবং ইসরায়েলের প্রতি অবিচলিত সমর্থনের বিষয়ে আলজাজিরা বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ, মানবাধিকার কর্মী এবং মার্কিন কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার নিয়েছে। ডেমোক্রেসি ফর আরব ওয়ার্ল্ড নাউ-এর অ্যাডভোকেসি ডিরেক্টর রায়েদ জারার বলেন, ইসরায়েল কেন মার্কিন বৈদেশিক নীতির ব্যতিক্রম সুযোগ নিচ্ছে। এ প্রশ্নের উত্তর সংক্ষেপে দেওয়া সম্ভব না। তিনি বলেন, ইসরাইল মূলত এমন একটা পারিপার্শিক অবস্থা তৈরি করেছে যেখানে গাজায় রক্তপাতের মাঝেও অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক চাপ সহজেই পাশ কাটিয়ে চলতে পারছে। গত ২৭ জানুয়ারি উত্তরপূর্ব জর্দানে তিন মার্কিন সেনাসদস্য ড্রোন হামলায় নিহত হওয়ায় এ অঞ্চলে বিস্তর ভীতি সঞ্চার হয়েছে। এ ঘটনায় বাইডেন ‘ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী’-কে দোষারোপ করে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, তার প্রশাসন এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে যথাসময়ে যথাযথভাবে জবাবদিহিতার আওতায় আনবে। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ড ইউনিভার্সিটির প্রফেসর শিবলে তেলহানি বলেন, গাজায় ঘটমান বিষয়গুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলি সরকারকে যাচ্ছেতাই করার সুযোগ দিয়ে এত বড় পরিসরে একটা সংঘাতে জড়িয়েছে যে বিষয়টা আর মার্কিন সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই।
০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
কত বেতন পান জো বাইডেন?
কত বেতন পান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন? সুপার পাওয়ার তকমা নিয়ে যে রাষ্ট্রটি বিশ্বের তাবত দেশগুলোর ওপর ছড়ি ঘোরায়, সেই দেশটির সর্বেসর্বার দায়িত্ব পালন করে রাষ্ট্রের কাছ থেকে নিশ্চয়ই মোটা বেতন পেয়ে থাকেন প্রেসিডেন্ট। অন্তত এমনটিই ধারণা করে থাকেন কৌতূহলী সবাই। সম্প্রতি জো বাইডেন ও তার স্ত্রী জিল বাইডেনের আয়কর রিটার্ন থেকে পাওয়া গেছে এসব প্রশ্নের উত্তর। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জনগণের সামনে স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য ২৫ বছরের আয়কর রিটার্ন প্রকাশ করেছেন জো বাইডেন। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কর ফাঁকি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার পর এমন পদক্ষেপ নিলেন বাইডেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন উদ্যোগ বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে আমেরিকার সাধারণ জনগণের মধ্যে। আয়কর রিটার্নে দেওয়া তথ্যানুযায়ী, আগের বছরের তুলনায় ২০২২ সালে বাইডেন দম্পতির আয় কমেছে ৩০ হাজার ডলার। গত বছর মোট ৫ লাখ ৭৯ হাজার ৫১৪ ডলার আয় করেছেন জো ও জিল বাইডেন। বাইডেন দম্পতির বার্ষিক আয়ের বেশির ভাগ এসেছে প্রেসিডেন্ট হিসেবে পাওয়া জো বাইডেনের বেতন থেকেই। মার্কিন জনগণের অর্পিত রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনের বিনিময়ে প্রতিবছর চার লাখ ডলার বেতন পান বাইডেন। তার এ বেতন নির্ধারণ করে দিয়েছে মার্কিন কংগ্রেস। তবে প্রেসিডেন্ট হলেও আয়ের একটি অংশ আয়কর হিসেবে দিয়ে দিতে হয় তাকেও। গত বছর আয়ের ২৩ দশমিক ৮ শতাংশ কেন্দ্রীয় সরকারকে দিয়েছেন বাইডেন দম্পতি। এ ছাড়া নিজ অঙ্গরাজ্য ডেলাওয়ারে ২৯ হাজার ২৩ ডলার আয়কর দিয়েছেন তারা। এর মধ্যে জিল বাইডেন আয়কর দিয়েছেন ৩ হাজার ১৩৯ ডলার। ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন শিক্ষকতা করেন আমেরিকার নর্দার্ন ভার্জিনিয়া কমিউনিটি কলেজে। যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডিদের মধ্যে জিলই প্রথম ব্যক্তি, যিনি হোয়াইট হাউসে আসার পরও চাকরি করছেন। কলেজে পড়িয়ে তিনি বছরে বেতন পান ৮২ হাজার ৩৩৫ ডলার। এ ছাড়া গেল বছর দাতব্য কাজে ২০ হাজার ডলারেরও বেশি দান করেছেন বাইডেন দম্পতি। এর মধ্যে বাউ বাইডেন ফাউন্ডেশনেই দান করেছেন পাঁচ হাজার ডলার তারা। বাউ বাইডেন হচ্ছেন এই দম্পতির ছেলে। ২০১৫ সালে ক্যান্সারে মারা যান বাউ। প্রেসিডেন্ট হিসেবে বছরে চার লাখ ডলার বেতন খুব বড় একটি অঙ্ক নয়। আমেরিকায় এমন লাখো মানুষ আছেন, বছরে যিনি প্রেসিডেন্টের চেয়েও বেশি আয় করেন। তবে বেতনের পাশাপাশি ক্ষমতা, প্রভাব এবং আভিজাত্যে পরিপূর্ণ যে জীবন ভোগ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্টরা, নিশ্চিতভাবেই তা অনেকের কাছে কল্পনার বাইরে।
২১ নভেম্বর, ২০২৩
বৈঠকের পরই শিকে স্বৈরাচার বললেন বাইডেন
এক বছর পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে ঐতিহাসিক এ সাক্ষাতের মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে ‘স্বৈরাচার’ সম্বোধন করেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে আলোচনায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের টানাপড়েন সমাধানে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। উচ্চ-স্তরের সামরিক যোগাযোগ পুনঃস্থাপন, ফেন্টানাইলের বিরুদ্ধে লড়াই এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে সংলাপ বাস্তবায়নের চুক্তির কথা তুলে ধরেন তিনি। তিনি বলেন ‘আমি বিশ্বাস করি এটি আমাদের মধ্যে সবচেয়ে গঠনমূলক এবং ফলপ্রসূ আলোচনা ছিল। বাইডেন বুধবার সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, তীব্র চাপের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থিতিশীল করার লক্ষ্যে এ শীর্ষ সম্মেলন। এখানে আমরা গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি সাধন করতে পেরেছি বলে আমার বিশ্বাস।’ চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চীন এ আলোচনাকে গভীর মতবিনিময় বলে দেখছে। চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কোনো একটি দেশের সাফল্য অন্য দেশের জন্য একটি সুযোগ। তবে শুধু একপক্ষের দ্বারা অন্য আরেকটি পক্ষকে পুনর্নির্মাণ অসম্ভব। চীন আরও জানায়, তাইওয়ানের প্রশ্নটি সবচেয়ে সংবেদনশীল এবং স্পর্শকাতর সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম। বাইডেন বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনের সাথে প্রবলভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা পোষণ করেছে। তবে আমরা সেই প্রতিযোগিতাটি দায়িত্বের সাথে পরিচালনা করব। যাতে কোনো সংঘর্ষ বা দুর্ঘটনাজনিত সংঘাত না ঘটে।’ তবে সংবাদ সম্মেলনের শেষে বাইডেন শিকে ‘স্বৈরশাসক’ অভিহিত করেন। উল্লেখ্য, গতবছর চলতি বছরের শুরুতে বাইডেনের এমন মন্তব্য আলোচনার ঝড় তুলেছিল। বাইডেন বলেন, ‘দেখুন, এই অর্থে তিনি একজন স্বৈরশাসক যে একটি কমিউনিস্ট দেশ পরিচালনা করেন। এটা আমাদের চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা ধরনের সরকারব্যবস্থা।’ এ সময় মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলোতে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হামলা বন্ধে চীনের সহায়তা চান বাইডেন। আহ্বান করেন ইরানের সঙ্গে চীনের সম্পর্কের প্রভাব ব্যবহার করার। মূলত গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে চলমান হামলা মোকাবিলায় চীনের দ্বারস্থ হতে একপ্রকার বাধ্য হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, পৃথিবী দুইটি রাষ্ট্রের সফলতা অর্জনের জন্য যথেষ্ট বড়। এ সময় তিনি জলবায়ু পরিবর্তন ও অর্থনীতি নিয়ে চীনের সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। জানান, দুই দেশের প্রতিদ্বন্দ্বিতা কখনোই সংঘাতে রূপ নেওয়া প্রত্যাশিত নয়। পাশাপাশি বিরোধপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়েও জিনপিংয়ের সঙ্গে সফল আলোচনা হয়েছে বলে জানান বাইডেন।
১৬ নভেম্বর, ২০২৩
‘বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি ইসরাইলের এজেন্ট’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয়ে বক্তব্য দেওয়া ব্যক্তি ইসরাইলের এজেন্ট বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। রোববার (২৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় বিএনপি অফিসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয়ে বক্তব্য দেওয়া ব্যক্তি ইসরাইলের এজেন্ট। মার্কিন দূতাবাস ইতোমধ্যে পরিষ্কার করেছে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা নন। মার্কিন দূতাবাস তাকে চেনেই না। বিএনপি জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করছে। গতকাল শনিবার (২৮ অক্টোবর) মহাসমাবেশে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর হঠাৎ নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন দলটির নেতা ইশরাক হোসেনসহ কয়েকজন। সেখানে মিয়ান আরাফি এক বিদেশি নাগরিকও বক্তব্য দেন। যিনি নিজেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্বাচনি উপদেষ্টা হিসেবে পরিচয় দেন। এ ঘটনায় মার্কিন দূতাবাস একটি বিবৃতি দিয়ে নিন্দা জানিয়েছে। পাশাপাশি ভিসানীতির বিষয়টি আবারও স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেছে, সম্ভাব্য ভিসা নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে সব সহিংস ঘটনা পর্যালোচনা করা হবে। এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সহিংসতার নিন্দা তো সবাই জানাতে পারে। আমরাও নিন্দা জানাচ্ছি। আশা করব যারা পুলিশ মেরেছে, পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে, জাজেস কমপ্লেক্সে হামলা করেছে, হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে এবং প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা চালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ভিসানীতি প্রয়োগ হবে। একটি দল সরাসরি গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে, বিষয়টি আপনারা কীভাবে দেখছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর যে হামলা চালিয়েছে, সেটার তীব্র নিন্দা জানাই। কোনো দলের পক্ষ হয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা সেখানে যাননি। তারা সেখানে সংবাদ সংগ্রহে গেছেন। তাদের ওপর কেন হামলা হলো? যাদের ওপর হামলা হয়েছে, তারা বিএনপি বিটের সাংবাদিক। এটি গণমাধ্যমকর্মীর ওপর হামলা ও গণমাধ্যমের ওপর হস্তক্ষেপের শামিল। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং এর বিচার হবে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণ সমাবেশের কথা বলে ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছিল। সরকার, প্রশাসন, পুলিশ এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছে। তারা যেখানে সমাবেশ করতে চেয়েছে, সেখানে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, এর আগে কখনো প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা হয়নি। বাংলাদেশের ৫২ বছরের ইতিহাসে হাজার হাজার মিছিল এই বাসভবনের সামনে দিয়ে গেছে। কাকরাইল মোড়ে অনেক সময় অনেক গণ্ডগোল হয়েছে, কিন্তু কখনো প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা হয়নি। কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালিয়ে ১৯টি গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে, অ্যাম্বুলেন্সসহ ভাঙচুর করেছে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ইসরাইলি বাহিনী গাজায় হামলা চালিয়ে ৮০০ মানুষকে হত্যা করলেও এ বর্বরতার বিরুদ্ধে একটি শব্দ উচ্চারণ করেনি বিএনপি ও জামায়াত। বরং ইসরাইলি বাহিনীর অনুকরণে তারা শনিবার হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। নাইটিংগেল মোড়সহ বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে একজন পুলিশকে পিটিয়ে পরে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। একশর বেশি পুলিশ সদস্য আহত, দুজনের অবস্থা গুরুতর এবং আনসারের ২৫ জন সদস্য আহত হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, আপনারা টেলিভিশনে দেখিয়েছেন। দেখে মনে হচ্ছিল যেন কোনো জায়গায় যুদ্ধ হচ্ছে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী রাজারবাগে হামলা চালিয়েছিল। শনিবার বিএনপি-জামায়াত রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে।
২৯ অক্টোবর, ২০২৩
‘বাইডেনের উপদেষ্টা’ নিয়ে জেনারেল সারওয়ার্দীর প্রতারণা, মুখ খুললেন ইশরাক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয়ে মিয়ান আরাফি নামের এক ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে হঠাৎ বিএনপির পল্টন কার্যালয়ে আসেন অবসরপ্রাপ্ত লেফটেনেন্ট জেনারেল হাসান সারওয়ার্দী। পুলিশ-বিএনপির সংঘর্ষের পরপরই শনিবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ওই ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে পল্টন কার্যালয়ে আসেন জেনারেল হাসান সারওয়ার্দী। এ সময় সংঘর্ষে আহত বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন ওই ব্যক্তি। সংঘর্ষে আহত কিছু নেতাকর্মী বিএনপি কার্যালয়ে অবস্থান নেওয়ায় তাদের খোঁজখবর নিতে সে সময় বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনও আগে থেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন। জেনারেল হাসান সারওয়ার্দী ওই ব্যক্তিকে নিয়ে বিএনপি কার্যালয়ে প্রবেশ করে এবং তাকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা বলে পরিচয় দেন। পরে সেখানে থাকা সাংবাদিকদের সঙ্গেও কথা বলেন ওই রহস্যজনক ব্যক্তি। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তবে, তিনি তার পরিচয় বা তিনি আদৌ জো-বাইডেনের উপদেষ্টা কি না সেটি নিশ্চিত করতে পারেননি ইশরাক। বিষয়টি নিয়ে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেন, সংঘর্ষের পর অনেক নেতাকর্মী আহত হয়। হাসপাতালে আমি তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করি এবং অন্যদেরও খোঁজখবর নিই। পরে আরও কিছু নেতাকর্মী আহতাবস্থায় বিএনপি কার্যালয়ে অবস্থান নিয়েছে শুনে তাদের খোঁজখবর নিতে সেখানে যাই। তার পরপরই সাবেক সেনা কর্মকর্তা অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল হাসান সারওয়ার্দী দুজন ব্যক্তিকে নিয়ে আসেন। তিনি আরও বলেন, তার (হাসান সারওয়ার্দীর) সঙ্গে আসা একজন নিজেকে মার্কিন প্রেসিডিন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা বলে পরিচয় দেন। আহতদের সঙ্গে কথাও বলতে চান। আহতরা সে সময় কার্যালয়ের নিয়মিত ব্রিফিং কক্ষেই অবস্থান করছিলেন। তাই তাদের সঙ্গে কথা বলার পর সেখানে থাকা সাংবাদিকদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। এ সময় তাদের সঙ্গে আমাকেও বসতে বললে সে পরিস্থিতিতে তাদের সঙ্গে আমিও অংশ নেই। এর বাইরে ওই ব্যক্তি সম্পর্কে আমি আর তেমন কিছু জানি না। এদিকে সন্ধ্যায় এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র স্টিফেন ইবেলি বলেন, ‘এ ধরনের তথ্য পুরোপুরি অসত্য।’ তিনি বলেন, ‘ওই ভদ্রলোক যুক্তরাষ্ট্র সরকারের হয়ে কথা বলেন না। তিনি সরকার সংশ্লিষ্ট কেউ নন।’ এ ঘটনায় রাতেই বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলা হয়েছে, আজ নয়াপল্টনে মহাসমাবেশে পুলিশের হামলা, টিয়ারগ্যাস ও গুলির পর সন্ধ্যায় বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা হিসেবে পরিচয় দিয়ে যিনি সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য রেখেছেন তা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দৃষ্টি গোচরে এসেছে। এতে আরও বলা হয়, তিনি জানিয়েছেন এ বিষয়ে বিএনপি একেবারেই অবগত নয় এবং এই ব্যক্তির বিষয়ে দূতাবাস থেকে কোনো রকম পূর্বধারণা মহাসচিবকে অবগত করা হয়নি, বিধায় বিএনপি তার বক্তব্যের বিষয়ে কোনোভাবেই অবহিত নয়। এর আগে সন্ধ্যার পর কয়েকটি গণমাধ্যম বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন ও ওই ব্যক্তির একটি ভিডিও নিয়ে খবর প্রকাশ করে। ভিডিওতে দেখা যায়, গোলাপি রঙের শার্ট পরিহিত এক ব্যক্তি ইংরেজিতে কথা বলছেন। পাশে বসে আছেন ইশরাকসহ আরও কয়েকজন। ওই ব্যক্তি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্বাচনী উপদেষ্টা বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে তার নাম মিয়ান আরাফি বলে দাবি করা হয়।
২৮ অক্টোবর, ২০২৩
রাশিয়া ও ফিলিস্তিনিদের জিততে না দেওয়ার ঘোষণা বাইডেনের
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে গণতন্ত্রের জন্য ধ্বংসকারী উল্লেখ করে তাদের জিততে না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বৃহস্পতিবার ( ১৯ অক্টোবর) রাতে হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিস থেকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। বিবিসির এক প্রতিবেদেন এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, হামাস ইসরায়েলে আক্রমণ ও রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসনের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশে গণতন্ত্র ধ্বংস বা নস্যাতের চেষ্টা করেছে। দুটি দেশই গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে চায়। তিনি বলেন, আমরা রাজনীতিতে পক্ষপাতিত্ব হতে দিতে পারি না। রাজনীতিতে বিদ্বেষের পথ বন্ধ করা মহান জাতি হিসেবে আমাদের করণীয়। এখন পুতিনকে থামানো না গেলে তাকে ইউক্রেনে সীমাবদ্ধ করা যাবে না। এ ছাড়া ইসরায়েল ও ইউক্রেনকে জয়ী করা আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তার জন্য অত্যাবশ্যক। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, সন্ত্রাসী ও স্বৈরশাসকদের মূল্য দিতে হবে। আমরা আগের চেয়ে শক্তিশালী। আমেরিকা এখনও বিশ্বের কাছে একটি আলোকবর্তিকা। বক্তব্যে ঘৃণা বিদ্বেষ নিয়েও কথা বলেন বাইডেন। তিনি বলেন, সব আমেরিকানকে ইসলামফোবিয়া ও ইহুদিবিদ্বেষ পরিত্যাগ করতে হবে। মহান জাতিরা এমনটাই করে। আর মহান জাতি হিসেবে আমাদের এটাই করণীয়। এ সময় তিনি ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষায় সহায়তারও ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, তিনি কংগ্রেসে দ্রুত ইসরায়েলকে আকাশপথে প্রতিরক্ষার জন্য সহায়তা চেয়ে অনুরোধ করবেন। ইসরায়েলের ক্ষেত্রে আমাদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে তাদের নিজেদের জনগণকে তাদের সুরক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। সেটা আজ এবং সবসময়। উল্লেখ্য, হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধের মধ্যেই তেলআবিব সফরে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সফরে বিমান থেকে নেমে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হার্জগকে বুকে জড়িয়ে ধরে শুভেচ্ছে বিনিময় করেন বাইডেন। সফরে তিনি গাজায় হাসপাতালে হামলার পরও ইসরায়েলের পক্ষে সাফাই গান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, হাসপাতালে হামলার এ ঘটনায় আমি গভীরভাবে ব্যথিত এবং মর্মাহত। আমি যা দেখেছি তার ওপর ভিত্তি করে মনে হচ্ছে এটি ইসরায়েল নয়, অন্য কোনো টিম এ হামলা করেছে।
২০ অক্টোবর, ২০২৩
শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের পর বাইডেনের সঙ্গে বসবেন মোদি
ভারতের নয়াদিল্লিতে শীর্ষ অর্থনৈতিক জি-২০ সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর)। এর আগের দিন অর্থাৎ আজ শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিকেল সাড়ে ৫টায় লোক কল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। এর পরপরই সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের আগে এই বৈঠককে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
জি-২০ সম্মেলন /
ভারত সফরে আসছেন জো বাইডেন
আসন্ন জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগামী ৭ সেপ্টেম্বর ভারত সফরে যাবেন। এই সফরে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। স্থানীয় সময় গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর এনডিটিভির। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ৮ সেপ্টেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেবেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এরপর ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন তিনি। সম্মেলনে তিনি ও জি-২০-এর অংশীদাররা পরিচ্ছন্ন জ্বালানিতে স্থানান্তর এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইসহ বৈশ্বিক বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলায় যৌথ প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করবেন। এ ছাড়া সম্মেলনে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অর্থনৈতিক ও সামাজিক যেসব প্রভাব সৃষ্টি হয়েছে, সেগুলো প্রশমনের পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করবেন। পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাসহ দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে আরও জোরদার লড়াইয়ের জন্য বিশ্বব্যাংকসহ বহুপক্ষীয় উন্নয়ন ব্যাংকগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হবে। প্রসঙ্গত, জি-২০ সম্মেলন উপলক্ষে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা অবলম্বন করেছে ভারত। তবে এই সম্মেলনে উপস্থিত হবেন না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পরিবর্তে তার প্রতিনিধি সম্মেলনে উপস্থিত হবেন। সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এক ফোনালাপে পুতিন এ কথা জনান। এদিকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংও এই সম্মেলনে আসছেন না বলে জানা গেছে। যদিও এর আগে চলতি মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেন শি জিনপিং। সম্মেলনের ফাঁকে স্বল্প সময়ের জন্য মোদির সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি। এ ছাড়া বৈঠকের আগে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ব্রিকসের মঞ্চে হাত মেলান এবং অভিবাদন জানান। তখনো তারা কিছুক্ষণ কথা বলেন। পরে দুই নেতার মধ্যে বৈঠক হয়। জি-২০ সম্মেলনের আগে মোদির সঙ্গে তার এই কথোপকথন ছিল খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। বৈঠকে উভয় দেশকে সামগ্রিক স্বার্থের কথা মাথায় রাখার পাশাপাশি সীমান্ত সমস্যা ঠিকভাবে মোকাবিলা ও দুই দেশকেই সীমান্ত অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখার বার্তা দেন জিনপিং।
০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
আরও
X