ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসকে নির্মূলে ছয় মাস ধরে গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এই হামলায় এরই মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৩ হাজারেরও বেশি মানুষ। নির্বিচার প্রাণহাণি ও গাজাবাসীর দুর্দশার জন্য বিশ্বজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে তেলআবিব।
এমন পরিস্থিতিতে গাজার বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষায় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার নেতানিয়াহুকে ফোন দেন বাইডেন। হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, গাজার বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা না করলে, বদলে যাবে ইসরায়েলের প্রতি মার্কিন নীতি।
শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্স জানিয়েছে, বাইডেন ইসরায়েলের আজীবন সমর্থক। বৈশ্বিক চাপের মুখেও গাজায় হামলা অব্যাহত রাখা দেশটিতে সাহায্য বা অস্ত্রের চালান বন্ধ করেননি তিনি। কিন্তু গেল সোমবার ইসরায়েলি হামলায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা -ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের ৭ জন কর্মী মৃত্যু হয়। মূলত ওই ঘটনার জেরেই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীকে ফোন দেন বাইডেন।
জানা যায়, বাইডেন ও নেতানিয়াহুর ফোন কলটি প্রায় ৩০ মিনিট স্থায়ী ছিল। উভয় নেতার ফোন কল সম্পর্কে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন ‘স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, গাজার ইস্যুতে মার্কিন নীতি ঠিক কী হবে, তা নির্ধারণ করা হবে ইসরায়েল সেখানে কী করছে তা পর্যালোচনার ওপর।
রয়টার্স আরও জানায়, ওয়াশিংটন ইসরায়েলের শীর্ষ অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ এবং বাইডেন প্রশাসন এতদিন বেশিরভাগ সময়ই জাতিসংঘে ইসরায়েলকে কূটনৈতিক ঢালের মাধ্যমে রক্ষা করে এসেছে।
এদিকে বৃহস্পতিবারের এই ফোনকলের পরে এক ব্রিফিংয়ে কথা বলেন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি। অবশ্য সেখানে ইসরায়েল এবং গাজার প্রতি মার্কিন নীতিতে কোনো ধরনের সুনির্দিষ্ট পরিবর্তন আসবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে অস্বীকার করেছেন তিনি।
এদিকে গাজার বেসামরিক মানুষকে রক্ষার বিষয়ে হোয়াইট হাউসের কথারই পুনরাবৃত্তি করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।
তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরায়েলের কাছ থেকে কোনো পরিবর্তন না দেখে, তবে মার্কিন নীতিতে পরিবর্তন হবে।
অন্যদিকে মার্কিন নীতিতে সম্ভাব্য পরিবর্তন সম্পর্কে জানতে চাইলে নেতানিয়াহুর মুখপাত্র তাল হেনরিচ ফক্স নিউজকে বলেছেন, ‘আমি মনে করি, এটি এমন কিছু যা ওয়াশিংটনকে ব্যাখ্যা করতে হবে’।
মন্তব্য করুন