নিপুন অসুস্থ, তাকে মানসিক ডাক্তার দেখানো জরুরি : জায়েদ খান
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নাসরিন আক্তার নিপুন। রিটে মিশা-ডিপজলের নেতৃত্বাধীন কমিটির দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির তিনবারের সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। নিপুনকে বয়কট করার দাবি জানিয়ে তিনি কালবেলাকে বলেন, ‘নিপুন অসুস্থ। তাকে মানসিক ডাক্তার দেখানো জরুরি। পেছনে থেকে মোহাম্মদ হোসেন ইন্ধন দিচ্ছে। চলচ্চিত্রের যত ঝামেলা সৃষ্টি করে এই মোহাম্মদ হোসেনই। তাকেও বিচারের আওতায় আনা দরকার। নিপুনের জন্য এসব হচ্ছে। এতে চলচ্চিত্রের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। গত নির্বাচন থেকে নিপুন এমন নোংরামি করে যাচ্ছে। এরপর থেকেই দর্শকদের কাছে চলচ্চিত্রের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। চলচ্চিত্রের স্বার্থে শিল্পী, কলাকুশলী সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিপুন-হোসেনদের বয়কট করা উচিত।’ গত বুধবার (১৫ মে) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়েছে। নিপুনের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট পলাশ চন্দ্র রায় এ রিট করেন। নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে এ ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে। পাশাপাশি নতুন করে নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনে জয়ী হয়েছে মিশা-ডিপজল প্যানেল। গত ২০ এপ্রিল শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু।  
১৬ মে, ২০২৪

জরুরি বিভাগে ডাক্তার অনুপস্থিত, রোগীর মৃত্যু
হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক না থাকায় একই হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারী মারা যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রোববার (১২ মে), সকালে নোয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। কর্মচারী মৃত্যুর প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক কর্মবিরতি ঘোষণা করে হাসপাতালের কর্মচারীরা।  মারা যাওয়া কর্মচারী শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডাক্তার শহীদুল ইসলামকে হাতিয়ার ২০ শয্যাবিশিষ্ট ভাসানচর হাসপাতালে বদলি করেছে কর্তৃপক্ষ।   হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত দু-দিন ধরে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ছিল হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হানিফ। রোববার সকালে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়। ঢাকা নেওয়ার পথে তিনি বেশি অসুস্থতা বোধ করলে তাকে পুনরায় সকাল ৯টা ১০মিনিটের দিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে নিয়ে আসা হয়।  এ সময় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শহীদুল ইসলাম সৈকত ইমার্জেন্সিতে না থাকায় বিনা চিকিৎসায় মারা যান হানিফ। পরে অন্য আরেকজন ডাক্তার এসে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কর্তব্যরত চিকিৎসকের দায়িত্বে গাফিলতির অভিযোগ এনে তখনই আধা ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা।      মৃত মো.হানিফ (৫৫) ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ছিলেন। তিনি নোয়াখালী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের হরিনারায়ণপুর এলাকার মসজিদ বাড়ির মান্নাছ মিয়ার ছেলে। নিহতের মেয়ে ঝুমুর অভিযোগ করে বলেন, আমার বাবাকে হাসপাতালে নেওয়া হলেও সেখানে ডাক্তার ছিল না। ফলে তিনি উপযুক্ত চিকিৎসা পাননি।   ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম বলেন, সকালে হানিফকে ঢাকা নেওয়ার পথে তার অবস্থা খারাপ দেখে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তখন জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তার ছিল না। এরপর তাকে দ্রুত ওয়ার্ডে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।   ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, রোগীকে ঢাকা নেওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে তার অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। পরে তাকে ঢাকা না নিয়ে পুনরায় হাসপাতালে নিয়ে আসে স্বজনরা। তখন তাকে ইমার্জেন্সিতে আনা হলেও সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার ছিল না। তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার মো. হেলাল উদ্দিন আরও বলেন, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী মৃত্যুর ঘটনায় ৫ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে জরুরিভাবে অভিযুক্ত ডাক্তারকে হাতিয়ার ২০ শয্যাবিশিষ্ট ভাসানচর হাসপাতালে বদলি করা হয়েছে। পরে তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৩ মে, ২০২৪

হাসপাতালে ডাক্তার না পাওয়া গেলে ব্যবস্থা : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
হাসপাতালগুলোতে ডাক্তাররা কেন থাকেনা সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া ১০০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডাক্তার সংকট এক দিনের সমস্যা নয়, এটা বহুদিনের সমস্যা। জনবল সংকট কাটাতে ইতোমধ্যে স্ট্যান্ডার্ড সেট আপের অনুমোদন হয়েছে। হাসপাতালগুলোতে কেন ডাক্তার থাকে না, এ ব্যাপারে ডিজি ও মন্ত্রণালয়ের সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।অনেককে শোকজ করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, টুঙ্গীপাড়া ১০০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইতোমধ্যে ২১ জন ডাক্তার পদায়ন করা হয়েছে। আমি খেয়াল রাখব তারা আসেন কি না। না এলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়াও এই গরমে কোল্ডকেসগুলো ভর্তি না রেখে ইমার্জেন্সি রোগীদের জন্য হাসপাতালগুলোতে বেড খালি রাখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী টুঙ্গীপাড়ায় পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ প্রার্থনা করেন। এ সময় স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পরে তিনি গিমাডাঙ্গা কমিউনিটি ক্লিনিক, শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান এবং অ্যাসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের প্ল্যান্ট পরিদর্শন করেন। এ সময় গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম, সিভিল সার্জন জিল্লুর রহমানসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফেরার পথে একই পরিবারের চারজন নিহত
ঢাকা-চট্টগ্রামের মহাসড়কে ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফেরার পথে একই পরিবারের চারজন নিহত হয়েছেন। সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মালিখিল বাসস্ট্যান্ডে রাস্তা পারাপারের সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামের বাসিন্দা। দাউদকান্দি হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। নিহত ব্যক্তিরা হলেন, কুমিল্লার তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামের দিলবর নেছা (৫৫), তার পুত্রবধূ স্ত্রী শাহীনুর আক্তার (২৪), নাতনি সায়মা আক্তার (৬) ও রাইসা আক্তার (২)। শাহীনুরের স্বামী সৌদি আরব প্রবাসী। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, সোমবার রাত ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে মহাসড়কের এক পাশ থেকে আরেক পাশে যাচ্ছিলেন এক শিশুসহ তিন নারী। এ সময় নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী একুশে পরিবহনের একটি বাস তাদের চাপা দেয়। তাদের  উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তিন নারীকে মৃত ঘোষণা করেন। তাদের সঙ্গে থাকা শিশুটিকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকায় নেওয়া হচ্ছিল। পথে তারও মৃত্যু হয়। তিনি আরও বলেন, নিহতদের পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে । ঘাতক বাসটি পালিয়ে গেলেও একই কোম্পানির অন্য একটি বাস আটক করা হয়েছে।  
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

ডাক্তার দেখিয়ে ফেরার পথে বাসচাপায় নিহত মা-মেয়ে-দুই নাতনি
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার দাউদকান্দির মালিখিল বাসস্ট্যান্ডে বাসচাপায় একই পরিবারের চারজন নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার রাতে কুমিল্লা থেকে ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামের বাসিন্দা। দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। নিহতরা হলেন কুমিল্লার তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামের দিলবর নেছা (৫৫), তার পুত্রবধূ শাহীনুর আক্তার (২৪), নাতনি সায়মা আক্তার (৬) ও রাইসা আক্তার (২)। শাহীনুরের স্বামী সৌদি প্রবাসী। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, সোমবার রাত ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে দাউদকান্দির মালিখিল বাসস্ট্যান্ডে মহাসড়কের এক পাশ থেকে আরেক পাশে যাচ্ছিলেন এক শিশুসহ তিন নারী। এ সময় নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী একুশে পরিবহনের একটি বাস তাদের চাপা দেয়। তাদের উদ্ধার করে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন। তাদের সঙ্গে থাকা শিশু রাইসাকে গুরুতর আহত অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছিল। পথে দাউদকান্দি উপজেলার শহীদনগর এলাকায় তারও মৃত্যু হয়। নিহত শাহীনুরের শ্বশুর আবদুর রশিদ মোল্লা ও ভাই মো. ফরিদ সাংবাদিকদের বলেন, কুমিল্লায় ডাক্তার দেখানোর জন্য দুপুরে দিলবর নেছা ও শাহীনুর আক্তার বাড়ি থেকে বের হন। ডাক্তার দেখানোর পর রাতে বাড়ি ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ওসি জানান, ঘাতক বাসটি পালিয়ে গেলেও একই কোম্পানির অন্য একটি বাস জব্দ করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের ডাক্তার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দিলবর নেছার মাথা থেঁতলে গেছে। শাহীনুর আক্তার, সায়মা আক্তার ও রাইছা আক্তারের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। খবর পেয়ে দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আরাফাতুল আলম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে যান। তিনি বলেন, পালিয়ে যাওয়া বাসটি তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আটকের চেষ্টা চলছে।
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের কার্যনির্বাহী সদস্য হলেন ডা. আশীষ
বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের কার্যনির্বাহী সদস্য হলেন ডাক্তার আশীষ কুমার চক্রবর্তী। এরই মধ্যে সংগঠনটির ২০২৪-২৫ সালের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদের শপথ ও দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরের সভাকক্ষে এই অভিষেক অনুষ্ঠান হয়। ডাক্তার আশীষ কুমার চক্রবর্তী রাজধানীর ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন । তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা উপকমিটির সদস্য।  তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের কৃতি সন্তান ও ঢাকাস্থ সরাইল সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-১। এ ছাড়া ডা. আশীষ দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও বৃত্তিমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত রয়েছেন। 
০৩ এপ্রিল, ২০২৪

‘যেখানেই যাই, শুনতে পাই হাসপাতালে ডাক্তার থাকে না’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, জাতীয় সংসদে গেলে সংসদ সদস্যরা আমাকে বলেন, তার এলাকায় চিকিৎসক থাকে না। যেখানেই যাই সেখানেই হাসপাতালে ডাক্তার থাকে না শুনতে পাই। এগুলো তো ভালো কথা না। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাজধানীর শাহবাগে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব কনভেনশন হলে বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরো সার্জনস কর্তৃক আয়োজিত ১০তম জাতীয় নিউরোলজি কনফারেন্স উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসকদের নানারকম সমস্যা ও প্রতিকূলতা যে আছে তা আমি জানি। কিন্তু মানুষকে চিকিৎসা তো দিতে হবে। উপজেলা হাসপাতালে যদি ডাক্তার থাকতে না চায়, তাহলে গ্রামের মানুষ কোথা থেকে ভালো চিকিৎসা পাবে। আমি বারবার বলেছি; চিকিৎসা খাতে সুনাম ফিরিয়ে আনতে হলে আমাদেরকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের রুট লেভেল পর্যন্ত ভালো চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে হবে।  তিনি বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে যারা চিকিৎসা সেবা দিতে যাবে, তাদের জন্য কী কী ইনসেনটিভ রাখা যায় সেগুলো নিয়ে আমি কাজ শুরু করেছি। আমি চিকিৎসকদের সুবিধা যেমন দিব, চিকিৎসকদেরও রোগীদেরকে সেবা বুঝিয়ে দিতে হবে। চিকিৎসকরা গ্রামে গিয়ে মানুষকে শুধু সেবা দিক, আমি তাদের সুযোগ-সুবিধাগুলো বাড়িয়ে দিব। সামন্ত লাল সেন বলেন, নিউরো চিকিৎসায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বের যে কোনো দেশের তুলনায় কোনো অংশেই কম নেই। গত ১০ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউরো হাসপাতালকে ৩০০ বেড থেকে বৃদ্ধি করে ৫০০ বেডে নিয়ে এসেছেন। নিউরো হাসপাতালের সক্ষমতা এখন বিশ্বের যে কোনো উন্নত দেশের সঙ্গে তুলনার যোগ্য করে তুলেছেন। দিন দিন নিউরো রোগীদের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে পাওয়া যাচ্ছে। সোসাইটি অব নিউরোলজিস্ট অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক মো. বদরুল আলমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাচিপের সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, স্বাচিপ মহাসচিব ডা. কামরুল হাসান মিলন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক টিটু মিয়া প্রমুখ বক্তব্য দেন।
০৫ মার্চ, ২০২৪

সিলেটে ফ্রি চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন ইউরোপের ৫০ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার
অসহায় দরিদ্র মানুষের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিতে ইউরোপ থেকে ৫০ জনের একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টিম সিলেটে এসেছেন। লন্ডন থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের চিকিৎসকদের সমন্বয়ে তাদের বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে তাফিদা রাকিব ফাউন্ডেশন।  গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সিলেটে পৌঁছান এই বিশেষজ্ঞ দলটি। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, হার্ট ফাউন্ডেশন বার্ড চক্ষু হাসপাতালসহ বিভিন্ন জায়গাতে সাত দিনব্যাপী চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, ফাউন্ডেশন থেকে চিকিৎসার মেডিসিনসহ বিভিন্ন সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে।  প্রতিদিন সকাল থেকে অপারেশন কার্যক্রম চলছে। সিলেটের বিভিন্ন গ্রাম থেকে স্বেচ্ছাসেবী দ্বারা রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে  চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের ডাক্তার এবং বিদেশি ডাক্তারদের সমন্বয়ে চলছে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প। ক্যাম্পে গাইনি, ফিজিক্যাল মেডিসিন, নাককান গলা, সার্জারিসহ ৭টি বিষয়ে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার ব্যাপারে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। শ্বাসতন্ত্র, ইউরো, রক্তনালী, ভাস্কোলার সার্জনসহ বিভিন্ন রোগের ডাক্তাররা চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। চিকিৎসকদের দলে আছেন ফ্রান্সের স্বনামধন্য কার্ডিয়াক সার্জন অধ্যাপক ফিলিপ মেনাশে, ইংলান্ডের অধ্যাপক ম্যাথিয়াস ও অধ্যাপক কুমারান। এ ছাড়াও যুক্তরাজ্য থেকে এনেসথেসিয়া বিভাগের ৫ জন ডাক্তার, কার্ডিওলজি বিভাগের ৩ জন ডাক্তার, ইমার্জেন্সি মেডিসিন বিভাগের ৯ জন ডাক্তার, ইউএনটি বিভাগের ১ জন ডাক্তার, নিউরো ফিজিওথেরাপিস্ট ১ জন, আমেরিকা থেকে নিউরোলজিস্ট ১ জন, যুক্তরাজ্য থেকে ৩ জন এবং ফ্রান্স থেকে ১ জন, চক্ষুরোগবিশেষজ্ঞ ৬ জন, যুক্তরাজ্য থেকে অর্থোপেডিক্স ১ জন, ইতালি থেকে অর্থোপেডিক্স ১ জন, ফ্রান্স থেকে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ১ জন এবং যুক্তরাজ্য থেকে ২ জন, ফার্মাসিস্ট ১ জন, পূর্ণবাসন বিষয়ে কনসাল্টটেন্ট এর জন্য ২ জনসহ ৫০ জন। বাংলাদেশে এই ৫০ জন বিশেষজ্ঞ মেডিকেল ডাক্তারদের আনা-নেওয়া বাবদ প্লেনের টিকিট ভাড়া অ্যামিরেটস এয়ারলাইন্স বিনা পয়সায় দিয়েছে। স্থানীয় হোটেল তাদের থাকা-খাওয়া বাবদ খরচ ডিসকাউন্ট দিচ্ছে। এ ছাড়াও টমি মিয়া ইন্সটিটিউট এর পক্ষ থেকে খাবারের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।  তাফিদা রাকিব ফাউন্ডেশন-এর সভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা শেলিনা বেগম কালবেলাকে বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটি অভূতপূর্ব সুযোগ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শীর্ষস্থানীয় চিকিৎসকদের একত্রিত করার মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের অগণিত অসহায় দরিদ্র মানুষের চিকিৎসার কার্যক্রমে অংশ নিতে পারছি।’ ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই মেডিকেল ক্যাম্পেনিং চলবে আগামী ৪ মার্চ পর্যন্ত । মেডিক্যাল ক্যাম্প শেষে ৬ মার্চ বাংলাদেশ ছাড়বেন ইউরোপের এই চিকিৎসক দলটি। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসেন মিলি বেগম। চিকিৎসকের পরামর্শ পেয়ে তিনি কালবেলাকে বলেন, 'মনো করছিলাম একজন ডাক্তর রোগী দেখবা। কিন্তু আইয়া দেখি, বাক্কা ডাক্তার আইচইন। ভালা  করি দেখচইন ওষুধ লেইক্কা দিচইন। কিছু ওষুধপাতি ফ্রিও দিসইন, আমি খুব খুশি অইছি আমার পোয়ারে ডাক্তার দেখাইতে পারিয়া, তারা হকলের লাগি মন থাকি দোয়া করি।’ চিকিৎসা নিতে আসা আরেক রোগীর অভিবাবক মোক্তার মিয়া বলেন, ‘যেখানে সরকারি হাসপাতালে আসলে আমরা ডাক্তারদের খোঁজ পাই না, সেখানে আমরা বিদেশি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের দ্বারা আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসাসেবা নিতে পেরেছি। আশা করব ভবিষতেও এই রকম মহৎ কাজ অব্যাহত থাকবে।’ সুনামগঞ্জ থেকে আসা শ্বাসকষ্টের রোগী আঞ্জুমারা ডাক্তারদের সেবা পেয়ে কালবেলাকে বলেন, ‘আমরা গরীব মানুষ, এত নামিদামি ডাক্তারদের দ্বারা চিকিৎসাসেবা নিতে পেরে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি।’ তাফিদা রাকিব ফাউন্ডেশনের প্রজেক্ট ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকির চৌধুরী বলেন, ‘আমরা এই ট্রিটমেন্ট বাংলাদেশে কনটিনিউ করে যাব, আপনারা সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আমাদের পরিকল্পনা, গ্রাম অঞ্চলের গরিব অসহায় মানুষকে চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাওয়া। সিলেটে ওসমানী মেডিকেল, হার্টফাউন্ডেশনসহ শহরের বিভিন্ন জায়গায় ফ্রি ক্যাম্পেনিং এর মাধ্যমে রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশে বিদেশি চিকিৎসকদের এত বড় মেগা মেডিক্যাল ক্যাম্প এর আগে আর হয়নি বলেও জানান তিনি। সংগঠক মোহি আহাদ কালবেলাকে বলেন, ‘আমাদের ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠার পরপরই আমাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল, বিশ্বের সর্বত্র অসহায়দের চিকিৎসাসেবা দেওয়া। আমরা শুরু করেছি বাংলাদেশ থেকে। বাংলাদেশে যাদের চিকিৎসার প্রয়োজন এবং যাদের চিকিৎসার খরচ চালানো সম্ভব না, মূলত তাদের জন্যই আমরা ৫০ এর বেশি ডাক্তার নিয়ে এসেছি এবং সিলেটে ক্যাম্প করেছি।  আমরা সিলেটে ওসমানী মেডিকেল, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন এবং দুটো চক্ষুরোগ হসপিটালের সঙ্গে সমন্বয় করে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। আমরা ইতোমধ্যে ২ হাজারের বেশি রোগীকে চিকিৎসাসেবা দিয়েছি এবং গুরুত্বপূর্ণ কিছু সার্জারিও আমরা সম্পন্ন করেছি। আমরা যেহেতু সিলেটের বিভিন্ন মেডিকেলের সাথে সমন্বয় করে কাজ করছি, সেজন্য কোনো রোগীর ফলোআপ চিকিৎসা সেই হসপিটালের তত্ত্বাবধানেই হবে। আমাদের সঙ্গে যারা স্পন্সরশিপে আছেন তাদেরকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। যারাই আমাদের এই স্বেচ্ছাসেবী কাজে সহায়তা করছেন সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’ সংগঠক মধু জানান, ‘আমরা যারা বিদেশে বাংলাদেশিরা বসবাস করি, আমরা বিদেশ থেকে ভালো ভালো ডাক্তারদের আনার চেষ্টা করি এবং এই দেশের অসহায় হতদরিদ্রদের সেবা দেওয়ার চেষ্টা করতেছি। সিলেট থেকে শুরু হয়েছে। ইনশাল্লাহ, আমরা সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার আশা রাখি।’ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী বলেন, তাফিদা রাকিব ফাউন্ডেশন যুক্তরাজ্য ভিত্তিক একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানটি গত এক মাস যাবত আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারা সিলেট অঞ্চলের অসহায় মানুষদের সেবা করতে চান। যার প্রেক্ষিতে তারা আমাদের এখানে গত ২৬ ফ্রেব্রুয়ারি আসেন এবং ২৭ তারিখ থেকে তারা তাদের চিকিৎসা সেবা শুরু করেন। তাদের মূল উদ্দেশ্য হলো গরীব দুস্থ অসহায়দের চিকিৎসা সহায়তা ও বিনামূল্যে ওষুধপত্র বিতরণ করে সাহায্য করা। তারা এককভাবে চিকিৎসা দিচ্ছেন না। আমাদের সঙ্গে সমন্বয় করে তারা চিকিৎসা দিচ্ছেন। আমাদের ডাক্তাররা তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, আমাদের চিকিৎসক এবং বিদে চিকিৎসকদের মধ্যে উৎসব উৎসব আবহ বিরাজ করছে, একই সঙ্গে এত বেশি রোগী দেখে কেউই অভ্যস্ত না। তারাও আমাদের ডাক্তার থেকে শিখতে পারছেন, আমাদের ডাক্তাররাও তাদের থেকে অনেক কিছু শিখতে পারছে। এরই মাধ্যমে উভয়পক্ষ্যের মধ্যে একটি সুন্দর যোগসূত্র সৃষ্টি হচ্ছে। আমরাও চাই উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে কাজ করতে। তাদেরকে অবশ্যই বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। উল্লেখ্য, তাফিদা রাকিব ফাউন্ডেশন লন্ডনে ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ওই বছর যুক্তরাজ্যের চিকিৎসকরা জটিল রোগে আক্রান্ত তাফিদা রাকিব নামের ৪ বছর বয়সী একটি শিশুর বাঁচার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে লাইফ সাপোর্ট খুলে নিতে বললে চিকিৎসকদের সিদ্ধান্তকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করে তাফিদার পরিবার। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর তাফিদাকে ইতালির জেনোয়াতে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার অনুমতি পায় পরিবারটি। সুস্থ হয়ে ওঠে শিশুটি। এর পরই বিশ্বব্যাপী অসহায় শিশুদের চিকিৎসা সেবায় তাফিদা রাকিব ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন শিশুটির মা সেলিনা বেগম। যা যুক্তরাজ্য ও ইতালিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্রশংসিত হয়।
০২ মার্চ, ২০২৪

ডাক্তার দেখাতে যাওয়ার পথে শ্বশুর-বৌমা নিহত
রাজবাড়ীতে বাস ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে শ্বশুর ও পুত্রবধূ নিহত হয়েছে। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সদর উপজেলার রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের বাগমারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন। নিহতরা হলেন, কালুখালী উপজেলার লস্করদিয়া গ্রামের জাবেদ আলী ও তার পুত্রবধূ খালেদা আক্তার। এ ঘটনায় আটোচালকসহ আরও এক যাত্রী আহত হয়েছেন। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পাংশা হাইওয়ে থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. বাদশা মিয়া কালবেলাকে জানান, খালেদা তার শ্বশুরকে সঙ্গে নিয়ে একটি অটোরিকশায় করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছিলেন। অটোরিকশাটি বাগমারা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা রাবেয়া পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই খালেদা আক্তার মারা যান।  এ ঘটনায় খালেদার শ্বশুর জাবেদ আলীসহ অটোরিকশার তিনজনকে আহতাবস্থায় রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। জাবেদ আলীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। বিকেল ৪টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।  পুলিশ জানায়, ঘটনার পরপরই রাবেয়া পরিবহনের বাসটি পালিয়ে যায়। সেটিকে আটকের চেষ্টা চলছে। খালেদা আক্তারের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 
২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

রোগীদের ব্যবস্থাপত্র না দিয়েই ক্লিনিকে ছুটলেন সরকারি ডাক্তার
পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর রোগীদের ব্যবস্থাপত্র না দিয়েই হাসপাতাল ত্যাগের অভিযোগ উঠেছে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. শাকিল হামজার বিরুদ্ধে। প্রাইভেট প্র্যাকটিসের জন্য বেলা ১১টার দিকে তিনি বেলকুচিতে বেসরকারি ক্লিনিকে গেছেন বলে অভিযোগ রোগীদের। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. শাকিল হামজার চেম্বার খোলা থাকলেও সেখানে কেউ ছিলেন না। বাইরে পরীক্ষার কাগজপত্র নিয়ে রোগী ও স্বজনেরা ভিড় করছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ডা. শাকিল হামজা হাসপাতালে টিকিট কেটে আসা রোগীদের দেখেন। বেশ কয়েকজন রোগীর রোগ নির্ণয়ের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতেও দেন তিনি। কিন্তু পরীক্ষা করিয়ে রিপোর্ট নিয়ে এসে রোগীরা দেখেন ডাক্তার হাসপাতালে নেই। শহরের গোশালার বাসিন্দা মাইকেল চৌধুরী নামে এক রোগী বলেন, সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে আমাকে দেখে কয়েকটি পরীক্ষা করতে দেন ডা. শাকিল হামজা। আমি পরীক্ষা করিয়ে ব্যবস্থাপত্রের জন্য ডাক্তারের চেম্বারে এসে দেখি তিনি নেই। তার মোবাইলে ফোন দিলে তিনি বলেন, কাল সরকারি ছুটি আপনি পরশু আসেন। ডা. শাকিল ১১টার সময় বের হয়ে বেলকুচির বেসরকারি হসপিটাল বেলকুচি ডায়াবেটিক হাসপাতালে প্র্যাকটিস করতে যান। সদর উপজেলার চর সয়দাবাদ গ্রামের মর্জিনা বলেন, আমার স্বামী গোলজার হোসেনকে দেখাতে নিয়ে এসেছি। টিকিট কেটে ডা. শাকিল হামজার কাছে তাকে দেখানো হয়। এরপর পরীক্ষার জন্য নর্থ বেঙ্গল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন ডাক্তার। সেখান থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এসে দেখি ডাক্তার নেই। সয়দাবাদ এলাকার খোদেজাসহ আরও কয়েক রোগী এমন অভিযোগ করেন। তারা বলেন, রোগী দেখার পর বেলা ১১টার দিকেই হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন ডা. শাকিল হামজা। এখন ব্যবস্থাপত্রের জন্য আমরা কার কাছে যাব। তিনি ২২ তারিখে আসবেন। দুদিন বিনা চিকিৎসায় ভুগতে হবে। এ বিষয়ে হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. শাকিল হামজা বলেন, আমি অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেছি। রোগী ছিল না তাই হাসপাতাল ছেড়ে বেলকুচির বাড়িতে চলে এসেছি। এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রতন কুমার রায় বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আগামীকাল সরকারি ছুটি। তাই বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে তদন্ত করে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X