দর্শক খরায় শো চলেনি ‘পটু’ ও ‘শ্যামা কাব্য’র 
মুক্তির প্রথম দিনেই ধাক্কা খেল ‘পটু’ সিনেমাটি। দর্শক না থাকায় সিনেমাটির শো-ই চালানো হয়নি একঝাঁক তরুণ শিল্পীর এই সিনেমাটির। ‘পটু’ নির্মাণ করেছেন সংগীত পরিচালক আহমেদ হুমায়ূন। এটি পরিচালকের প্রথম সিনেমা।  শুক্রবার (১০ মে) কেরানীগঞ্জ লায়ন সিনেমাসে বেলা ২টা ৫০ মিনিটের শোয়ের কোনো দর্শক না থাকায় কর্তৃপক্ষ সিনেমাটির প্রদর্শন বন্ধ রাখে বলে কালবেলাকে নিশ্চিত করেছে।  এদিকে একই ঘটনা ঘটেছে নির্মাতা বদরুল আনাম সৌদের সরকারি অনুদানের সিনেমা ‘শ্যামা কাব্য’র ক্ষেত্রেও। গেল শুক্রবার (৩ মে) সিনেমাটি মুক্তি পায়। কিন্তু শুরু থেকেই দর্শক টানতে ব্যর্থ হয়েছে সিনেমাটি।  সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার ঘরানার সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন সোহেল মণ্ডল, নীলাঞ্জনা নীলা, ইন্তেখাব দিনার, জেনী, শাহাদাৎ হোসেন, সাজু খাদেম ও এ কে আজাদ।  জাজ মাল্টিমিডিয়ার ‘পটু’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন ইভান সাইর, তামিম তপু, দিলরুবা দোয়েল, আফরা শাইয়ারাসহ নতুন অভিনয় শিল্পীরা। রাজশাহীর চরখানপুরে সিনেমাটির শুটিং হয়েছে।  ভীষণ দুর্গম এলাকায় শুটিং হওয়া চলচ্চিত্রটি অনেকটা দক্ষিণী ঘরানার অ্যাকশন দৃশ্য দেখা গেছে।
১০ মে, ২০২৪

আইপিএলে বলের আঘাতে রক্তাক্ত দর্শক
সাধারণত ক্রিকেটকে ব্যাট-বলের খেলা বলেই সাধারণ দর্শকরা চিনে থাকে তবে এবারের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) শুধু ব্যাটেরই খেলা হচ্ছে। বিশেষ করে দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম। এবারের আইপিএলে এই স্টেডিয়ামে হওয়া তিন ম্যাচে রীতিমতো ছক্কার বৃষ্টি হয়েছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হওয়া দিল্লি ও মুম্বাইয়ের মধ্যকার ম্যাচও এর ব্যতিক্রম ছিল না। দিল্লির ব্যাটিং সহায়ক পিচে দিল্লি ও মুম্বাইয়ের ব্যাটারদের ব্যাটিং তাণ্ডবে বেশিরভাগ দর্শকদের পয়সা উসুল হলেও এক দর্শকের হয়নি। অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে ব্যাটারদের ছয়ের বৃষ্টিতে আহত হয়েছেন এক দর্শক। শনিবার (২৭ এপ্রিল) দিল্লি ও মুম্বাইয়ের মধ্যকার আইপিএলের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ২৫৭ রানের বিশাল স্কোর দাড় করায় দিল্লি। তাদের এই রানবন্যায় সহায়তা করেছে ২২টি চার ও ১৭টি ছক্কা। দিল্লির মতোনই ঝোড়ো ব্যাটিং করেছে মুম্বাইও।  সল্প রানে মুম্বাইয়ের টপ অর্ডারে ফিরলেও তিলক ভর্মা ও টিম ডেভিড ম্যাচটিতে মুম্বাইকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যান। তাদের এই ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে চার-ছয়ের ফুলঝুড়ি দেখা যাচ্ছিল অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে। আর তাদের এক ছক্কা স্টেডিয়ামে বসে থাকা এক দর্শককে করেছে রক্তাক্ত। A fan got injured due to Tim David's six. pic.twitter.com/qR14bnHNWW — Mufaddal Vohra (@mufaddal_vohra) April 27, 2024 মুম্বাইয়ের ইনিংসের ১৪তম ওভারের ঘটনা এটি। খলিল আহমেদের করা ওভারের পঞ্চম বলে ছয় হাঁকান মুম্বাইয়ের টিম ডেভিড। ডেভিডের ছয়টি স্ট্যান্ডে থাকা এক দর্শক ক্যাচ ধরতে যান তবে ক্যাচ ধরতে না পারায় বলটি তার মুখে আঘাত করে। যাতে মুহূর্তের মধ্যেই রক্তাক্ত হন সেই দর্শক। পরে স্টেডিয়ামের নিরাপত্তাকর্মীরা আহত দর্শককে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। Wishing a speedy recovery to that fan though — Delhi Capitals (@DelhiCapitals) April 27, 2024 এদিকে বলের আঘাতে দর্শক রক্তাক্ত হওয়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে দিল্লি ক্যাপিটালস। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক্সে তারা আহত হওয়া দর্শকের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে পোস্ট করে। এছাড়াও সাবেক ভারতীয় অলরাউন্ডার ইরফান পাঠানও আহত দর্শকের সুস্থতা কামনা করেন।   I hope the fan is ok at the delhi stadium. My good wishes to him. — Irfan Pathan (@IrfanPathan) April 27, 2024 উল্লেখ্য, রানবন্যার এই ম্যাচ কাছে গিয়েও জিততে পারেনি মুম্বাই। ২৫৮ রানের টার্গেটে তাদের ইনিংস থামে ২৪৭ রানে।     
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

শাকিবের সিনেমা দেখে জ্ঞান হারালেন দর্শক
ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খান। একের পর এক সিনেমা দিয়ে বলা যায় জনপ্রিয়তার শীর্ষে এই চিত্রনায়ক। প্রত্যেক ঈদে সিনেমা দিয়ে দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন তিনি। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।  এবার ঈদে দেশের সিনেমা হলগুলোতে চলছে সুপার হিট সিনেমা ‘রাজকুমার’। যা দেখতে দলে দলে ভিড় করেছেন ভক্তরা। আর হল থেকে বেরিয়ে প্রশংসা করছেন অনেকেই।  শাকিব খানের সিনেমা দেখে প্রশংসা করা নতুন কিছু না। অনেকে তার সিনেমা দেখে কাঁদতে কাঁদতে বের হয়েছেন এমনও ঘটনা ঘটেছে। এবারের ঘটনা ভিন্ন, সিনেমা দেখতে গিয়ে হলেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন এক ভক্ত। এমন একটি ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে দেখা যায় একজন দর্শক হলের মেঝেতে পড়ে আছেন। ভিডিওতে আরও দেখা যায় সিনেমা হলের পর্দা, সেই পর্দায় রাজকুমার ছবিটির শেষাংশ। ভিডিওতে বলতে শোনা যাচ্ছে সিনেমার শেষ এক ঘণ্টা শুধু ওই ব্যক্তি কেঁদেই গেছেন। শাকিব খানের পরিণতি তিনি মেনে নিতে পারেননি, তাই কাঁদতে কাঁদতে অজ্ঞান হয়ে গেছেন তিনি। ভিডিওতে আরও দেখা যায়, পানি এনে ওই ব্যক্তির চোখে মুখে ছেটানো হচ্ছে। পরে তার জ্ঞান ফিরে আসে এবং পুনরায় কাঁদতে শুরু করেন।   জানা গেছে দেশের ১২৬টির মতো সিনেমা হলে চলছে ‘রাজকুমার’। দেশের ২১২টি সিনেমা হলের মধ্যে এই সিনেমা রেকর্ড পরিমাণ রেন্টালে চারভাগের তিন ভাগ হল পেয়ে রেকর্ড কয়েক কোটি টাকা বুকিং মানি (টেবিল কালেকশন) তুলেছে।
১৬ এপ্রিল, ২০২৪

‘রাজকুমার’র দর্শক সাড়ায় আমি অভিভূত : আরশাদ আদনান 
সিঙ্গেল স্ক্রিন ও মাল্টিপ্লেক্সে ঈদের দিন থেকেই হাউসফুল যাচ্ছে ‘রাজকুমার’। ঈদের দ্বিতীয় দিনে অসংখ্য সিনেমাপ্রেমী টিকিট না পেয়ে ফিরে গেছেন। এমন অবস্থায় বলাই যায় প্রিয়তমাকে ছাড়িয়ে ইতিহাস গড়বে রাজকুমার। শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে কালবেলাকে বললেন প্রযোজক আরশাদ আদনান।  এর আগে শাকিবকে নিয়ে প্রিয়তমা দিয়ে বাজি ধরেছিলেন বাংলা সিনেমার হালের প্রতাপশালী প্রযোজক আদনান। প্রিয়তমার চেয়ে অনেক বেশি বাজেটে রাজকুমার নির্মাণ করেছেন তিনি।  রাজকুমারের কাছে সিনেমা হল দখলের লড়াইয়ে ধরাশায়ী হয়েছে বাকি ১০টি সিনেমা। এ ব্যাপারে আরশাদ আদনান বলেন, দেখুন আমরা কত হল পাব এসব ভেবে সিনেমা বানাইনি। আমরা আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তির লক্ষে সিনেমা নির্মাণ করেছি। শাকিব খানকে দিয়ে বিশ্ববাজার ধরতে চেয়েছি আমরা। বাংলা সিনেমা আর পিছিয়ে নেই, এটি প্রমাণ করতে চাই। দেশের মতো বিদেশেও বাণিজ্যিক সফলতা পাবে রাজকুমার। আমি শতভাগ আত্মবিশ্বাসী।  তিনি আরও বলেন, মানুষ এখন স্মার্টফোনেই বিশ্বের উন্নত কনটেন্ট দেখতে পান। তাই অন্য যারা প্রযোজনার সঙ্গে যুক্ত সবার প্রতি আমার আহ্বান থাকবে আপনারা বড় বাজেটের সিনেমা নির্মাণ করুন। দর্শক অনেক স্মার্ট। তাদের ভালো কনটেন্ট দিয়েই হলে ফেরাতে হবে। আমরা বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিকে সবাই মিলে অনেক দূর এগিয়ে নিতে চাই।  ভার্সেটাইল মিডিয়ার ব্যানারে ‘রাজকুমার’ সিনেমা নির্মাণ করেছেন হিমেল আশরাফ। সিনেমায় শাকিবের বিপরীতে রয়েছেন মার্কিন নায়িকা কোর্টনি কফি। বাংলাদেশ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, লন্ডন, মধ্যপ্রাচ্য, কানাডা, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হবে সিনেমাটি। দেশের পাবনা, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, সাজেক এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে সিনেমাটির শুটিং হয়েছে।  
১৩ এপ্রিল, ২০২৪

দর্শক হৃদয় জয় করছে বায়োপিক ‘বব মার্লে : ওয়ান লাভ’
মুক্তির আগেই দর্শকদের আগ্রহের কেন্দ্র ছিল কালজয়ী শিল্পী বব মার্লের বায়োপিক ‘বব মার্লে : ওয়ান লাভ’। এরপর ১৪ ফেব্রুয়ারি মুক্তির পর থেকেই সিনেমাটি দখল করে নিয়েছে হলিউড বক্স অফিসের শীর্ষ স্থান। তিন দিনে সিনেমাটির আয় ছাড়িয়ে গেছে ২৫ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলার। যা এখনো চলমান। মুক্তির পর থেকেই সিনেমাটি দর্শক মহলে ব্যাপক প্রশংসিত হচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন মার্লে আবার যেন মৃত্যুর চুয়াল্লিশ বছর পর ফিরে এসেছেন। সম্প্রতি মার্কিন সাময়িকী ভ্যারাইটি সিনেমাটি নিয়ে একটি রিভিউ প্রকাশ করেছে। যেখানে উল্লেখ কর হয়েছে সিনেমাটির গুণগত মান ও অভিনয়শিল্পীদের পারফর্মমেন্স। তাদের মতে নির্মাতা রেইনাল্ডো মার্কাস গ্রিন ও মার্লে চরিত্রে মার্লের ভূমিকায় অভিনয় করা কিংসলে বেন-আদির অত্যান্ত যত্নের সঙ্গে নিজেদের ফুটিয়ে তুলেছেন। তাই আশা করা হচ্ছে সিনেমাটি বেশকিছু পুরস্কারের পাশাপাশি বক্স অফিসেও ব্যাপক সফল হবে। তবে ৭০ মিলিয়ন ডলার খরচে নির্মিতি সিনেমাটির লাভের মুখ দেখতে আরও এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে বলেও উল্লেখ করে ভ্যারাইটি।  ‘বব মার্লে : ওয়ান লাভ’ নির্মাণ করার পাশাপাশি এর চিত্রনাট্যও লিখেছেন রেইনাল্ডো মার্কাস গ্রিন। প্রধান চরিত্রে কিংসলে বেন-আদির ছাড়াও সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন লাশানা লিঞ্চ, জেমস নর্টন প্রমুখ। সিনেমাটি পরিবেশনা করছে প্যারামাউন্ট পিকচারস।
১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

টিকিটের চড়া দামে দর্শক পাবে তো বিপিএল?
আগামী ১৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দশম আসর। ইতোমধ্যেই প্রতিযোগিতার টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। গতবারের চেয়ে এবারের আসরের টিকিটের দাম কিছুটা বাড়িয়েছে সংস্থাটি। আর তাতেই শঙ্কা জেগেছে আসন্ন বিপিএল আশা অনুযায়ী দর্শক পাবে তো? বিগত কয়েক মৌসুমে বিপিএলে দর্শকদের অনীহা ছিল চোখেপড়ার মতো। অনেক সময় দেখা গেছে মাইকিং করেও টিকিট বিক্রি করতে পারেনি বিসিবি। এমন অভিজ্ঞতা সত্ত্বেও টিকিট মূল্য বাড়িয়েছে আয়োজকরা। তাই বিপিএলের দশম আসরেও দর্শকদের খেলার দেখার আগ্রহ কতটা থাকবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। এবারের আসরে ঢাকা পর্বে টিকিটের দাম ধরা হয়েছে সর্বনিম্ন ২০০ টাকা। ইস্টার্ন স্ট্যান্ডে বসে এই মূল্যে খেলা দেখতে পারবেন দর্শকরা। তবে সর্বোচ্চ ২৫০০ টাকা মূল্য রাখা হয়েছে গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডের টিকিটের জন্য। যা গত আসরেও ছিল ১৫০০ টাকা। এ ছাড়া নর্থ ও সাউথ স্ট্যান্ডের টিকিটের দাম ধরা হয়েছে ৪০০ টাকা। যা আগের আসরে ছিল ৩০০ টাকা। অন্যদিকে ক্লাব হাউসের টিকিট মূল্য গত আসরে ছিল ৫০০ টাকা। এবার মূল্য বাড়িয়ে ৮০০ টাকা নির্ধারণ করেছে বিসিবি। এ ছাড়াও ১৫০০ টাকা মূল্য ধরা হয়েছে ভিআইপি স্ট্যান্ডের টিকিট মূল্য। আগে বছর যার মূল্য ছিল ১০০০ টাকা।
১৬ জানুয়ারি, ২০২৪

দর্শক প্রত্যাশা বাড়াল ফাইটারের ট্রেলার
অবশেষে সিনেমাপ্রেমীদের অপেক্ষার অবসান হলো। প্রকাশ হলো হৃতিক রোশন-দীপিকা পাড়ুকোন জুটির ‘ফাইটার’ সিনেমার ট্রেলার। তাতে চমৎকার এক অ্যাকশন প্যাকেজের পূর্বাভাস পেয়েছে দর্শকরা। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) প্রকাশ্যে এসেছে ট্রেলারটি। তিন মিনিট দৈর্ঘ্যের টানটান উত্তেজনাপূর্ণ এই ট্রেলারে নজর কেড়েছেন দীপিকা পাড়ুকোন ও অনিল কাপুর। অ্যাকশন ও দুরন্ত সংলাপে ট্রেলারেই বাজিমাত করেছে ‘ফাইটার’। ছবিতে স্কোয়াড্রন লিডার শমসের পাঠানিয়া ওরফে প্যাটির চরিত্রে অভিনয় করেছেন হৃতিক। স্কোয়াড্রন লিডার হিসেবেই দেখা যাবে দীপিকাকে। পর্দায় তার নাম মিনাল রাঠোর মিন্নি। এ ছাড়া গ্রুপ ক্যাপ্টেন রাকেশ জয় সিং রকির চরিত্রে অভিনয় করেছেন অনিল কাপুর। সিনেমায় দেশসেরা ফাইটার পাইলটদের নিয়ে একটি টিম গঠন করা হয়। রকি থাকেন সেই টিমেরই ক্যাপ্টেন। ‘ফাইটার’ সিনেমা পরিচালনা করেছেন সিদ্ধার্থ আনন্দ। এর আগে ‘ব্যাং ব্যাং’ ও ‘ওয়ার’ সিনেমায় সিদ্ধার্থের পরিচালনায় কাজ করেছেন হৃতিক। ‘ফাইটার’-এ হৃতিক, দীপিকা, অনিল কাপুর ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন করণ সিং গ্রোভার, অক্ষয় ওবেরয়, সনজিদা শেখ, তালাত আজিজ, সঞ্জীব জয়সওয়াল। ২৫ জানুয়ারি মুক্তি পাবে ‘ফাইটার’।
১৫ জানুয়ারি, ২০২৪

দর্শক উপস্থিতির দিক দিয়ে ভারত বিশ্বকাপের রেকর্ড  
এবারে ভারতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপের শুরু থেকেই দর্শক নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছিল। ৫ অক্টোবর আহমেদাবাদে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের মতো হাইপ্রোফাইল ম্যাচেও গ্যালারি ভর্তি না থাকায় আয়োজক ভারতের সমালোচনাও করেছেন অনেকে। এমন দৃশ্য দেখা গেছে ভারত বিশ্বকাপের বাকি ম্যাচগুলোতেও। তবে ভারতীয়দের দাবি ছিল বিশ্বকাপের প্রত্যেক ম্যাচেই দর্শক আসছে। এবার বিশ্বকাপ শেষে আইসিসির রিপোর্টে ভারতের দাবিই সত্যি প্রমাণিত হলো। আইসিসির রিপোর্ট অনুযায়ী এবারের বিশ্বকাপেই সবচেয়ে বেশি দর্শক মাঠে বসে খেলা দেখেছে। গত কয়েক বছর ধরেই ক্রিকেটাঙ্গনে আলোচনার অন্যতম প্রধান বিষয় ওয়ানডে ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ। বিশ্বকাপ শুরুর পর এই আলোচনা আরও বেগবান হয়েছিল। কারণ, টুর্নামেন্টের শুরুতে গ্যালারির শূন্যতা বেশ ভালোভাবেই চোখে পড়ছিল। যদিও বিশ্বকাপ যত এগিয়েছে, গ্যালারিতে দর্শকের উপস্থিতি কিছুটা বেড়েছে। ওয়ানডে ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা না থামলেও আজ আইসিসি বিশ্বকাপের ত্রয়োদশ আসরের দর্শক সংখ্যা নিয়ে রিপোর্টে জানিয়েছে, দর্শক উপস্থিতিতে অন্য সব আইসিসি ইভেন্টকে ছাড়িয়ে গেছে ভারত বিশ্বকাপ। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপজুড়ে গ্যালারিতে বসে ব্যাটে-বলের উন্মাদনা উপভোগ করেছেন ১ কোটি ২ লাখ ৫০ হাজার ৩০৭ জন দর্শক। আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টে এর আগে সবচেয়ে বেশি দর্শক উপস্থিতি ছিল ২০১৫ বিশ্বকাপে। তাসমান সাগর পাড়ের দুই প্রতিবেশি অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের যৌথ আয়োজনের সেই বিশ্বকাপে মাঠে বসে খেলা দেখেছেন ১ কোটি ১ লাখ ৬ হাজার ৪২০ জন দর্শক। উল্লেখ্য যে দুইটি টুর্নামেন্টেরই শিরোপা জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। ভারত বিশ্বকাপের ফাইনালে ধারণা করা হচ্ছিল, ১ লাখ ৩০ হাজারের বেশি দর্শকের জনসমাগম ঘটবে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে। এই বিশাল সংখ্যাক দর্শক যে ভারতের পক্ষেই গলা ফাটাবেন সেটা নিয়েও বেশ আলোচনা হচ্ছিল। কিন্তু আইসিসি জানিয়েছে, ৯০ হাজারের কিছু বেশি দর্শকের উপস্থিতি ছিল নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে। ভারত বিশ্বকাপ শুধু দর্শক উপস্থিতির রেকর্ডই ভাঙেনি। সম্প্রচার এবং ডিজিটাল মাধ্যমেও অন্য সব আইসিসি টুর্নামেন্টকে ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে আইসিসি। যদিও সংখ্যা প্রকাশ করেনি নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
২১ নভেম্বর, ২০২৩

ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ / তৃতীয় বিশ্বের শাসকরা মস্ত বড় জাদুকর না কি জনগণ আবিষ্ট দর্শক
একটি জাতির জনগণ চেতনাহীন হলে তাকে নিয়ন্ত্রণ করা সুবিধা হয়। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে রাজনীতিকরা এই সুযোগটিই নিয়ে থাকে। কারণ তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর রাজনীতিবিদরা নিজেদের দেশকে স্থায়ী ঠিকানা ভাবে না। উন্নত বিশ্বের প্রসিদ্ধ সব নাগরী হলো তাদের স্থায়ী ঠিকানা। তাই তারা ছলে-বলে কলে কৌশলে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে আখের গোছাতে ব্যস্ত থাকে। আর জনগণকে আবিষ্ট করে রাখে নানা কার্যক্রমের মাধ্যমে।  তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর শাসকরা কীভাবে জনগণকে আবিষ্ট করে ফেলে তা বিশ্লেষণ করতে গিয়ে তাদের সাথে জাদু শিল্পীদের একটি মিল খুঁজে পাওয়া যায়। জাদু শিল্পীরা জাদুর কৌশলে সাধারণ বা তুচ্ছ জিনিসকে আকর্ষণীয় জিনিস বানিয়ে দর্শকদের করতালি পায়। আসলেই কী তুচ্ছ জিনিসটি আকর্ষণীয় জিনিসে রূপান্তরিত হয়? নিশ্চয়ই না। তাহলে দর্শকরা কেন করতালি দেয়? প্রকৃতপক্ষে, জাদু শিল্পীরা ক্ষণিকের জন্য দর্শকদের দৃষ্টিকে আবিষ্ট করে ফেলে। অন্য কথায়, তাদের চেতনাহীন করে ফেলে। তারা তখন সুকৌশলে লুকায়িত আকর্ষণীয় জিনিসটি বের করে এনে দর্শকদের সামনে এমনভাবে উপস্থাপন করে যেন তারা তুচ্ছ জিনিসকে আকর্ষণীয় জিনিসে পরিণত করতে সক্ষম। দর্শক যত বেশি আবিষ্ট হয়, জাদু শিল্পীদের জন্য তাদের জাদু দেখানো তত সহজ হয়। আর তাই জাদু শিল্পীরা দর্শকদের কখনো কথার ফুলঝুরি আবার কখনো হাবভাব দিয়ে সর্বোচ্চ মাত্রায় আবিষ্ট করতে এক ধরনের পরিবেশ তৈরি করে। জাদু শেষে জাদু শিল্পীরা তাদের পুরো পারিশ্রমিকের সঙ্গে দর্শকের করতালি, ভালোবাসা এবং প্রশংসা নিয়ে মঞ্চ ত্যাগ করে। আর অন্যদিকে, নিরীহ দর্শকরা তাদের অর্থ এবং মূল্যবান সময় ব্যয় করে জাদুকরের জাদুর কলা-কৌশলে কাগজ থেকে ফুল, পাখি কিংবা টাকা বানানোর অলীক দৃশ্যের স্মৃতি নিয়ে শূন্য হাতে ঘরে ফেরে, বিনিময়ে পায় সাময়িক বিনোদন। তবুও জাদু শিল্পীরা আবিষ্ট দর্শককের কাছে হিরো হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত হয়।  জাদু শিল্পীর মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর শাসকরা জনগণের দুর্বল দিকগুলোকে পুঁজি করে তাদের রাজনৈতিক স্লোগান এবং উন্নয়নের কথা মালা সাজায় এবং এমন এক পরিবেশ তৈরি করে যেন জনগণ আবিষ্ট হয়। জাদু শিল্পীর ক্ষেত্রে জাদুর ধরন অনুযায়ী বিভিন্ন সহযোগী থাকে যারা তাদের কাজে সহযোগিতার পাশাপাশি মানুষকে আবিষ্ট করার পরিবেশ তৈরি করে। কখনো কখনো তাদের কাজকে আরও বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার জন্য দর্শককদের মধ্যে থেকেও সহযোগী বাছাই করতে দেখা যায়। শাসকদেরও জাদুর ভেলকি দেখানোর কাজে সহযোগিতার জন্য বিভিন্ন সহযোগী থাকে যারা জনগণকে কখনও সামান্য অর্থের লোভ দেখিয়ে আবার কখনো ভয় দেখিয়ে আবিষ্ট করার পরিবেশ তৈরিতে সহযোগিতা করে। দর্শক যত হাবা-গোবা হয় জাদু শিল্পীর ক্ষেত্রে তার জাদুর কারিশমা দেখানো ততটা সহজতর হয়। আবার দর্শকের যদি কাজকর্মের ব্যতিব্যস্ততা কম থাকে তাহলে জাদু শিল্পীদের দর্শক ধরে রাখতে সহজ হয়। তাই জাদু শিল্পীরা সর্বদা হাবা-গোবা এবং কম ব্যতিব্যস্ত দর্শকদের উপস্থিতি কামনা করে। শাসকবর্গের পছন্দের তালিকায়ও হাবা-গোবা এবং কম ব্যতিব্যস্ত বা বেকার লোকজনই বেশি স্থান পায়। কেননা তাদের লোভ বা ভয়ভীতি সহজে দেখানো যায়। সব কালেই এর সরব উপস্থিতি লক্ষণীয়।  তবে জাদু শিল্পীদের তুলনায় শাসকবর্গের বেশ কিছু সুবিধা আছে। যেমন জাদু শিল্পীরা দর্শকরদের হাবা-গোবা এবং কম ব্যতিব্যস্ত বা বেকার বানাতে পারে না। কিন্তু শাসকদের নিকট জনগণকে হাবা-গোবা এবং কম ব্যতিব্যস্ত বা বেকার বানানোর যথেষ্ট উপায় এবং উপকরণ ও ক্ষমতা আছে। আর তাদের এগুলোর ব্যবহার করতেও দেখা যায়। জাদু শিল্পীরা আবার দর্শকদের বিভিন্ন দলে বা উপদলে বিভাজিত করতে পারে না, যদিও সেটির প্রয়োজনও নেই। কিন্তু শাসকবর্গের নিকট এমন উপায় এবং উপকরণ আছে যা দিয়ে জনগণকে সুকৌশলে নানা দলে এবং উপদলে বিভাজিত করে। আর এ বিভাজন জনগণকে আবিষ্ট বা চেতনাহীন করার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে সহযোগিতা করে।  জাদু শিল্পীর জাদুর কৌশলের সাথে শাসকরা জাদুর ভেল্কির আরও পার্থক্য আছে। যেমন জাদু শিল্পীর জাদুর আবিষ্টতা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না, কেবল জাদুর প্রদর্শনী চলাকালীন তা স্থায়ী হয়। তবে, শাসকবর্গের জাদুর ভেল্কির আবিষ্টতা অনেক সময় দীর্ঘস্থায়ী হয়। এ যেন পৌরাণিক কাহিনিকেও হার মানায়। পৌরাণিক কল্পকাহিনিতে অনেক সময় দেখা যায়, জাদুকর স্থায়ীভাবে তার শিকারকে স্ট্যাচু বা পাথরে পরিণত করে ফেলে। তৃতীয় বিশ্বের শাসকরা হয়তো সেই কলাকৌশল আয়ত্ত করে ফেলেছে। এখানে উত্তর কোরিয়া, কম্বোডিয়া এবং মিয়ানমারের উদাহরণ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তাই তারা জনগণকে সম্পূর্ণ আবিষ্ট বা চেতনাহীন করতে সক্ষম হয়েছে। তবে পৌরাণিক কাহিনিতে স্ট্যাচু বা পাথরে পরিণত হওয়া জনগণকে উদ্ধারের জন্য কোনো ঋষি, নিষ্পাপ রাজপুত্র বা নায়কের আবির্ভাব দেখা যায়- যার ছোঁয়ায় জাদুর প্রভাব কাটিয়ে জনগণ সাধারণ অবস্থায় ফিরতে পারে। কিন্তু শাসকদের জাদুর ভেল্কিতে আবিষ্ট জনগণকে উদ্ধারের জন্য কোনো ঋষি, নিষ্পাপ রাজপুত্র বা নায়কের উপস্থিতি এখনকার দিনে চোখে পড়ে না। তবে আবিষ্টদের চেতনা ফেরানোর উপায় কি? এ ক্ষেত্রে বেশি আশাবাদী হওয়ার সুযোগ কম। তবুও আশা করি, যেসব নিষ্পাপ যুবক এবং তরুণরা এখনো আবিষ্ট হয়নি তাদের তেজোদীপ্ততায় যারা সম্পূর্ণ অচেতন হয়ে গেছে তাদের চেতনা হয়তো একদিন ফিরবে। আর তা না হলে শাসকরা পৌরাণিক কাহিনির মহাজাদুকরের মতো জনগণকে সম্পূর্ণ অচেতন করে তাদের পারিশ্রমিকের ষোলোকলা পূর্ণ করবে, পাশাপাশি পাবে আবিষ্টদের করতালি এবং প্রশংসা। আর কখনো কোনো অলৌকিক কারণে এসব জাতির চেতনা ফিরলে দেখবে রিক্ত, নিঃস্ব এবং ঋণের জালে আবদ্ধ একটি অর্ধ-স্বাধীন ধূসর ভূখণ্ড। ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক
০৩ নভেম্বর, ২০২৩
X