দেড় শতাধিক লোকসহ টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ
গোপালগেঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারত এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ।  এ উদ্দেশে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে চট্টগ্রাম থেকে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা হবেন চউক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ।  তার সফরসঙ্গী হচ্ছেন- চট্টগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধারা, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান, শহীদ পরিবারের সদস্য, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও শুভাকাঙ্ক্ষীসহ প্রায় দেড় শতাধিক লোক।  শুক্রবার (১৭ মে) সকালে গোপালগেঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারত করবেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ। পাশাপাশি ১৯৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধু কন্যা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বিশেষ দোয়া, মোনাজাত ও মিলাদ মাহফিল আয়োজন করা হয়েছে চউক চেয়ারম্যানের উদ্যোগে।  সিডিএ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, বাঙালি জাতির কখনো নিজস্ব স্বাধীন রাষ্ট্র ছিল না। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা। তিনি বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েছেন, ঐক্যবদ্ধ করেছেন এবং মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছেন। তিনি না হলে বাঙালির স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বপ্ন কখনোই সফল হতো না। তাই জাতির জনকের সোনার বাংলার স্বপ্ন বানচাল করতে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি আজও তৎপর।  তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের পর জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী সকল বাধা পেরিয়ে পিতার সেই অপূর্ণ স্বপ্ন পূরণের জন্য ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরেছিলেন। শত প্রতিকূলতা আর মৃত্যুর ঝুঁকি মাথায় নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে আজ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন। তাই এ দিনটি বাঙালি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসীদের জন্য পুনঃজাগরণের দিন।
২২ ঘণ্টা আগে

মারা গেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক
ঝালকাঠি সদর উপজেলার বিশিষ্ঠ সমাজসেবক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাত সোয়া ১১টায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান (আমুস)’ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজস্ব বিভাগের ডেপুটি কমিশনার আল-আমিন মৃদুলের বাবা। আব্দুল খালেকের বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তিনি ৫ ছেলে ও ৫ মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বেলা ১১টায় ঝালকাঠি সদর উপজেলার সাওরাকাঠি গ্রামের জামে মসজিদে নামাজে জানাজা শেষে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতি পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এ সময় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাইফুল ইসলাম মরহুমের কফিনে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেককে তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. সাজ্জাদ হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য পিরোজপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. কাজী সাইফুদ্দিন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অর্থ ও পরিকল্পনাবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য জোবায়দা হক অজন্তা ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান শাহিন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

মঙ্গলবার বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিম ওসমানের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী
আগামীকাল মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনের সাবেক এমপি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত জননেতা এ কে এম নাসিম ওসমানের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৪ সালের ৩০ এপ্রিল ভারতের দেরাদুনে চিকিৎসাকালীন অবস্থায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মরহুম নাসিম ওসমান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আপাদমস্তক বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি শুধু মহান ’৭১-এ প্রত্যক্ষ মুক্তিযুদ্ধই করেননি, ১৯৭৫-এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার পর বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিশোধ নিতে অংশ নিয়েছিলেন প্রতিরোধ যুদ্ধেও। প্রয়াত নাসিম ওসমান ১৯৫৩ সালের ৩১ জুলাই নারায়ণগঞ্জে ঐহিতাসিক ওসমান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত (মরোণত্তর ) প্রয়াত এ কে এম শামসুজ্জোহা ছিলেন ভাষাসৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। তার মা মরহুম বেগম নাগিনা জোহাও ছিলেন ভাষাসৈনিক। স্বদালাপী নাসিম ওসমান ছিলেন পরিবারের বড় সন্তান। ছাত্রজীবনে পরিবারের ভূমিকায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নাসিম ওসমান আওয়ামী লীগের রাজনীতি দিয়ে জীবন শুরু করেছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি ছিলেন অকুতোভয় বীর সেনানী। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে নাসিম ওসমান পালিয়ে ভারতে চলে যান। সেখানে তিনি গেরিলা যুদ্ধ প্রশিক্ষণ শেষ করে দেশে ফিরে এসে যুদ্ধ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট রাতে নাসিম ওসমানের বিয়ের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন বঙ্গবন্ধুর জেষ্ঠ্য পুত্র ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল, যে অনুষ্ঠানে তোলা ছবিটি ছিল শেখ কামালের জীবনের শেষ আলোকচিত্র। পর দিন তথা ১৫ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর একটি অনুষ্ঠান থাকায় নাসিম ওসমানের অনুরোধ সত্ত্বেও শেখ কামাল ওই রাতে নারায়ণগঞ্জে আসেননি। তিনি নারায়ণগঞ্জে এলে বাংলাদেশের ইতিহাস হয়তো অন্যভাবেও রচিত হতো। ১৯৭৫-র ১৫ আগস্ট নিজের নবপরিণীতা স্ত্রীকে রেখে পরিবারের সব নারী সদস্যদের অলংকার সংগ্রহ করে নাসিম ওসমান চলে যান বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নিতে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী হলেও শুধু তৎকালীন সময়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সুরক্ষার কথা ভেবে কৌশলগত কারণে আশির দশকের শুরুতে নাসিম ওসমান যোগ দেন এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টিতে। তিনি আমৃত্যু জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। তিনি যথাক্রমে ১৯৮৬, ১৯৮৮, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে মোট চারবার জাতীয় পার্টি ও মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর ও বন্দর) আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিম ওসমানের মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় বন্দরের নাসিম ওসমান উচ্চ বিদ্যালয়ে মিলাদ ও দোয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন এতিমখানা, মসজিদসহ ধর্মীয় উপাসনালয়ে দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। তার পরিবারের পক্ষ থেকেও পবিত্র কোরআন খতম ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি তার ছোট ভাই ও সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম ওসমানের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কয়েক হাজার শ্রমিক ও এতিমদের নিয়ে দোয়ার ও মিলাদের আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনায় অংশ নেওয়ার আকুল আবেদন জানানো হয়েছে।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

বীর মুক্তিযোদ্ধা দিলীপ কুমার মারা গেছেন
হাটবাজা‌রে ফে‌রি ক‌রে গান গে‌য়ে সংসার চালানো টাঙ্গাইলের কা‌লিহাতীর বীর মু‌ক্তি‌যোদ্ধা দিলীপ কুমার দে মারা গে‌ছেন। বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। প‌রে স্থানীয় শশ্মান ঘা‌টে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। এর আগে মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) রাত ৩টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। দিলীপ কুমার উপ‌জেলার বাংড়া ইউনিয়নের উত্তর বাগুটিয়া গ্রামের বা‌সিন্দা। মৃত্যুকালে তিনি দুই ছেলে, দুই মেয়ে ও নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। দিলীপ কুমার সরকারি ভাতা দিয়ে সংসার চালাতে পারতেন না। ঋণগ্রস্ত এ বীর মুক্তিযোদ্ধা কিস্তির টাকা পরিশোধের জন্য বৃদ্ধ বয়সেও হাটবাজার, স্কুল-কলেজ ও বাসস্ট্যান্ডে মানুষকে গান শুনিয়ে মুগ্ধ করে আয় করতেন। গান শুনে খুশি হয়ে মানুষ তাকে সহযোগিতা করতেন। তিনি বলতেন, মুক্তিযোদ্ধা হয়ে আমি ভিক্ষা করি না। পেটের দায়ে কণ্ঠ বিক্রি করে চলি। তিনি মুক্তিযুদ্ধে ১১ নম্বর সেক্টরে কর্নেল তাহেরের অধীনে ছিলেন। কালিহাতী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মিজানুর রহমান মজনু বলেন, দিলীপ দাদা একজন ভালো মনের মানুষ ছিলেন। অভাবের সংসারে প্রয়োজন মেটাতে শেষ বয়সেও তিনি হাটে-বাজারে গান করতেন। তার কথা ভুলে যাওয়ার মতো নয়। টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ইতোমধ্যেই উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বলা হয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা দিলীপ কুমারের পরিবারের খোঁজখবর রাখতে। যেভাবে পাশে থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা যায় তা আমরা করব।
১৮ এপ্রিল, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছায় ট্রেনে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন হয়েছে : রেলমন্ত্রী
রেলমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছার কারণে ঈদে যাত্রীরা ট্রেনে নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পেরেছেন। বুধবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে রাজবাড়ীর পাংশায় নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। রেলমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী চেয়েছেন ঈদে যাত্রীরা যেন নিরাপদে ও স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়ি ফিরতে পারেন। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পালন করেছি। আন্তরিকভাবে যদি কোনো কাজ করা যায়, আমার মনে হয় সে কাজে সফলতা আসে। তিনি বলেন, রেলপথ মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ পরিদর্শন অধিদপ্তরসহ আমরা সবাই মিলে আন্তরিকতার সঙ্গে চেষ্টা করেছি যাতে যাত্রীরা নিরাপদে এবং নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারেন। আমাদের সেই চেষ্টা ফলপ্রসূ হয়েছে। এ জন্য আমরা জনগণকে এবং রেলের কর্মকর্তা কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানাই। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছা এবং নির্দেশনার কারণে তাকেও ধন্যবাদ জানাই। রেলমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা যাত্রীদের ফিরতি টিকিটও দিয়েছি। ঈদে যেমন তারা নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরেছেন। ঈদ শেষেও তারা একইভাবে কর্মস্থলে ফিরতে পারবেন।
১০ এপ্রিল, ২০২৪

মানিকগঞ্জে বীরনিবাস নির্মাণ নিয়ে বিপাকে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার
অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় দ্বিতীয় ধাপে চূড়ান্ত তালিকায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে ৪৩টি বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য বীরনিবাস বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু এক বছর আগে বীরনিবাসের নির্মাণকাজ শুরু হলেও এখন পর্যন্ত কোনো ঘরের অর্ধেক কাজও শেষ হয়নি। এতে বীরনিবাস নির্মাণ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন উপজেলার একাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার। জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দ্বিতীয় পর্যায়ে হরিরামপুরে ৪৩টি বীরনিবাস নির্মাণকাজ পান মেসার্স  রাফি এন্টারপ্রাইজ। এক বছরে অতিবাহিত হয়ে গেলেও কোনো ঘরের চার দেয়ালই কেবল নির্মাণ হয়েছে। আবার কিছু ঘরের ছাদ পেটানোর পরেই থমকে গেছে নির্মাণকাজ। এমন ধীরগতিতে কাজ করায় ক্ষুব্ধ অনেক বীরমুক্তিযোদ্ধা পরিবার। বসতঘর ভেঙে বীরনিবাস নির্মাণের জায়গা দেন তারা। কিন্তু ঘর সম্পন্ন না হওয়ায় আবাসন পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্ট করে জীবনযাপন করছেন বলে একাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার দাবি করেছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, কোনো কোনো বীরনিবাসের শুধু চারটি দেয়াল উঠেছে। কিছু ঘর ছাদ পেটানো হলেও কাজ বাকি ঢের। অভিযোগ করে একাধিক মুক্তিযোদ্ধা জানান, চার পাশের দেয়াল করে গেছে ৭-৮ মাস হলো, আর কোনো খবর নেই। উপজেলা প্রশাসনের কেউ একদিনও এসে দেখল না, কী নির্মাণ করা হচ্ছে। বাল্লা ইউনিয়নের ঠাকুরপাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. খোরশেদ আলম চৌধুরী জানান, আজ ৭-৮ মাস ধরে চার পাশের দেয়াল গেঁথে গেছে। আর কোনো খোঁজখবর নেই। যারা কাজ করছে তারাও ঠিকমতো কাজ বোঝে। আর কেউ কোনো খোঁজখবরও নেয় না। ফেব্রুয়ারি মাসেই বীরনিবাস পাওয়া আমার সাথী ভাইদের পাঁচজন মুক্তিযোদ্ধা দুনিয়া থেকে চলে গেছে। তারা এই ঘর দেখে যেতে পারল না। ঘরে শুয়ে যাওয়া ভাগ্যে জুটল না। আমিও কবে জানি চলে যাই। ঘরে শোয়ার ভাগ্য আমারও হবে কি না জানি না। জগৎবেড় গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আন্দুল জলিল জানান, ছয়মাস আগে চারপাশের দেয়াল গেঁথে চলে গেছে আর কোনো খবর নেই। থাকার ঘর ভেঙে এই বীরনিবাসের জায়গা দিয়েছি। এটা কাজ শেষ না হওয়ায় আমার খুব সমস্যা হচ্ছে। জিনিসপত্র সব বাইরে বের রাখছি। সামনে বৃষ্টির দিন আসছে। এখন তো আমাদের থাকতে খুব কষ্টে হচ্ছে। কাজ ধরবে ধরবে করে আর কাজ ধরছে না। নাওডুবি গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত আমজাদ হোসেন চৌধুরীর ছেলে হ্যাপি চৌধুরী জানান, এক বছর ধরে কাজ শুরু হয়েছে। এখনও ছাদ ঢালাইয়ের কাজ ধরে নাই। শুধু চারপাশের দেয়াল করা হয়েছে। সেটাও ৭-৮ মাস আগে। এর মধ্যে আর কোনো কাজ হয়নি। প্রায় একমাস আগে ইউএনওর অফিসে ঠিকাদারসহ আমাদের সবাইকে ডেকেছিল। তখন বলা হয়েছিল তিন দিনের মধ্যে আবার কাজ ধরা হবে। কিন্তু তারপর থেকে এখনো কোনো কাজ শুরু হয়নি। সুতালড়ী ইউনিয়নের কোদালিয়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত আব্দুস সোবহানের স্ত্রী ফাতেমা বেগম জানান, গত রোজায় প্রথম কাজ শুরু হয়। কোরবানি ঈদের সময় ছাদ ঢালাই দেয়। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত আট কোনো কাজ হয়নি। আমার এই ভিটার থাকার ঘরটি ভেঙে এই বিল্ডিংয়ের জায়গা দিয়েছি। এই ঘর কমপ্লিট না হওয়ায় আমাদের থাকার খুব কষ্ট হচ্ছে। আমি অসুস্থ মানুষ। যেভাবে কাজ চলছে তাতে এই ঘর দেখে যেতে পারব কি না সন্দেহ রয়েছে। এ বিষয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাফি ট্রেডার্স এর স্বত্বধিকারী আল রাফি দৈনিক কালবেলাকে জানান, বিল পাই না তাই কাজ করতে পারছি না। বিল পেলে কাজ শুরু করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহরিয়ার রহমান কালবেলাকে জানান, এতো দিন বাজেট ছিল না। আমরা সঠিকভাবে টাকা পাইনি। এখন আমরা টাকা পাচ্ছি। আশা করি দুই আড়াই মাসের মধ্যে সকল বাসা কমপ্লিট হয়ে যাবে। ইতোমধ্যে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ৪৩টির মধ্যে ৭টি বাসা কমপ্লিট হয়েছে। মূলত সমস্য ছিল এতদিন ঠিকাদার বিল পাচ্ছিল না, তাই কাজের গতি কম ছিল। আমরা তাদেরকে বিভিন্নভাবে চাপ দিয়েছি, শোকজ করেছি। একাধিকবার মন্ত্রণালয়েও চাপ দেওয়া হয়েছে। এখন কাজের গতি অনেকটা ভালো। আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গেও এ বিষয়ে কথা বলেছি। আশা করছি, কোরবানি ঈদের মধ্যে সব বাসা কমপ্লিট হবে।
৩১ মার্চ, ২০২৪

বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবার রহমানের স্মরণে শোক সভা
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবার রহমান যে অবর্ণনীয় নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন, তা প্রকাশ পেলে দেশে পাকিস্তানপন্থি কোনো ব্যক্তি পাওয়া যেত না। শনিবার (৩০ মার্চ) বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবার রহমানের স্মরণে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) আয়োজনে শোক সভায় এ কথা বলেন তিনি। সভাটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)-এর চেয়ারপার্সন জেড আই খান পান্না। স্মৃতিচারণে তিনি বলেন, তার মৃত্যুতে বিচারপ্রার্থী কোনো ব্যক্তি যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন সে ব্যাপারে তিনি পূর্বেই সতর্কতা গ্রহণ করে দায়িত্ব হস্তান্তরের ব্যবস্থা করেছিলেন। শোক সভায় অংশ নেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এম কে রহমান, সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো আসাদুজ্জামান, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জরুল হক, ব্যারিস্টার অনিক আর হক, ব্যারিস্টার আনিসুল হাসানসহ, তার সহকর্মী, আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী। এ ছাড়াও, অ্যাডভোকেট ফয়েজ আহমেদ, অ্যাডভোকেট নীনা গোস্বামী অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে তার অবদান শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। পরিবারের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন- তার ছেলে সৈয়দ তারেক মাহবুব এবং ভাই সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান। সভাটি সঞ্চালনা করেন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)-এর নির্বাহী পরিচালক ফারুখ ফয়সল। গত ১৪ মার্চ ভোরবেলা সৈয়দ মাহবুবার রহমান শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৫ বছর। দেশে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় তিনি কাজ করে গেছেন।
৩০ মার্চ, ২০২৪

সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাইয়ের দাফন সম্পন্ন
শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই’র দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে রোববার (১৭ মার্চ) সকাল ৮টায় ন্যাম ভবন চত্বরে মরহুমের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে  বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারযোগে মরদেহ ঝিনাইদহের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্টেডিয়ামে আনা হয়।  সেখান থেকে সড়কপথে আরাপপুরে নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। বাদ জোহর শহরের উজির আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে মরহুমের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তার আগে জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার মো. আজিম-উল-আহসানের নেতৃত্বে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এ সময় ঝিনাইদহ ছাড়াও আশপাশের জেলার শত শত নেতাকর্মীরা জানাজায় অংশ নেন। বাদ আসর শৈলকুপা উপজেলা শহরের ডিগ্রি কলেজ মাঠে তৃতীয় জানাজা ও বাদ মাগরিব গ্রামের বাড়ি শৈলকুপার মোহাম্মদপুরে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়। জানাজা পূর্ব সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য সফিকুল ইসলাম অপু, সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু ও ঝিনাইদহ-২ আসনের সংসদ সদস্য নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল ও মরহুমের ছেলে ব্যারিস্টার জিসান হাই। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. সালাহউদ্দিন মিয়াজী, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. আনোয়ারুল আজিম আনার, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য পারভীন জামান কল্পনা, মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও দলীয় নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে শৈলকুপায় অনুষ্ঠিত জানাজায় অংশ নেন জেলা আ.লীগের সহসভাপতি আলহাজ নজরুল ইসলাম দুলাল, শৈলকুপার পৌর মেয়র  ও সাবেক পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আশরাফুল আজম, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবেদ আলী, আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নায়েব আলী জোয়ারদার, উপজেলা চেয়ারম্যান এম আব্দুল হাকিম আহম্মেদ, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম হোসেন মোল্লা প্রমুখ। উল্লেখ্য, শনিবার (১৬ মার্চ) সকালে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে ব্যাংককের স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সংসদ সদস্য আব্দুল হাই মৃত্যুবরণ করেন।
১৭ মার্চ, ২০২৪

বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলা রানি আর নেই
বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলা রানি রায় আর নেই। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাতে বার্ধক্যজনিত কারণে কিশোরগঞ্জ পৌরসভার সতাল এলাকায় নিজ বাসায় তিনি মারা যান। শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকালে তার মরদেহ জাতীয় পতাকায় আবৃত করে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর পুলিশ বাহিনী সশস্ত্র সালামের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান করে। এতে নেতৃত্ব দেন সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রাকিবুল ইসলাম ও সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাইফুল ইসলাম শ্যামল মিয়া। রাষ্ট্রীয় মর্যাদা শেষে পার্শ্ববর্তী শ্মশানে ইলা রাণীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন, ভূপাল নন্দী ও মধাব গোবিন্দ দাস উপস্থিত ছিলেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন বলেন, ইলা রানির (৮২) স্বামী নেত্রকোনার সুকুমার ভাওয়াল ব্রিটিশ আমলে টঙ্ক আন্দোলন করতে গিয়ে দীর্ঘদিন কারাবাস করেছিলেন। নিঃসন্তান ইলা রানি একমাত্র অবিবাহিত বোন মলিনা রানি রায়কে (৭৫) রেখে গেছেন।
১৫ মার্চ, ২০২৪
X