গভীর রাতে মাটি চুরি, ৩ জনের কারাদণ্ড
গাজীপুরের কালীগঞ্জে গভীর রাতে মাটি চুরির ঘটনায় অভিযান চালিয়ে ৬টি ড্রামট্রাকসহ ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। পরে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে তাদের প্রত্যেককে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাত ১০টার দিকে নাগরী ইউনিয়নের গলান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নওগাঁ জেলার অর্জনপুর গ্রামের আমজাত হোসেনের ছেলে সেলিম রেজা, উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের পরার্বতা গ্রামের সিরাজুল মিয়ার ছেলে রমজান মিয়া ও বরিশালের চাঁনপাড়া গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে রাশেদুজ্জামান।  গোপন সংবাদ পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে নাগরী ইউনিয়নের গলান এলাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এসএম ইমাম রাজী টুলুর নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। সেখানে গিয়ে তারা দেখতে পান মাটি কেটে ট্রাকে তোলা হচ্ছে। ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি দেখে সেখান থেকে অনেকে দৌড়ে পালিয়ে গেলেও ৩ জনকে আটক করা হয়। পরে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আটকদের প্রত্যেককে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়ে গাজীপুর জেল হাজতে পাঠানো হয়।
১৭ মে, ২০২৪

মাটি খুঁড়তেই মিলল কয়েকশ বছরের পুরোনো নৌকা
ঝিনাইদহের মহেশপুরে মাটি খুঁড়তে গিয়ে কয়েকশ বছরের পুরোনো নৌকার সন্ধান পাওয়া গেছে। বিরল এ দৃশ্য দেখতে আশপাশের এলাকা থেকে উৎসুক জনতা ভিড় করছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খ্রিষ্টীয় ঊনবিংশ শতাব্দীতে ভারতবর্ষে ইউরোপীয় এবং স্থানীয় ধনাঢ্য ব্যক্তিরা নৌবিহারের জন্য এ ধরনের নৌকা ব্যবহার করত। সেই তথ্য অনুযায়ী ধারণা করা হচ্ছে, নৌকাটি কয়েকশ বছরের পুরোনো। বুধবার (৮ মে) উপজেলার এসবিকে ইউনিয়নের বজরাপুর গ্রামে এমন দৃশ্য দেখা যায়। মাটির চার ফুট নিচে খনন কাজ চালানোর সময় নৌকাটি সবার নজরে পড়ে।  স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বজরাপুর গ্রামের নজের আলীর ছেলে মনছের আলী তিন দিন আগে বজরাপুর বাঁওড় থেকে ধানক্ষেতে পানি দেওয়ার জন্য সেচ খাল খনন করছিলেন। খাল খুড়তে খুড়তে তার কোদালের মাথায় নৌকার কিছু অংশ ওঠে আসে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে গ্রামবাসী নৌকার সন্ধানে খনন করতে থাকে। তিন দিন ধরে খননের পর বধুবার পুরো নৌকার আকৃতি খুঁজে পাওয়া যায়। স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য পূর্ণিমা রানী বলেন, নৌকার প্রতিশব্দ হচ্ছে ‘বজরা’। এ গ্রামের নামও বজরাপুর। একটা সময় এখানে মানুষের চলাচলের একমাত্র সম্বল ছিল নৌকা। সেই নাম অনুসারে গ্রামটির নামকরণ করা হয়েছে ‘বজরাপুর’। তিনি বলেন, খবর পেয়ে তিনিও বজরাপুর বাঁওড় এলাকার হালদার পাড়ায় গিয়ে নৌকাটি দেখে এসেছেন। এটি সংরক্ষণের দাবি করেন তিনি। খননকাজে যুক্ত বজরাপুর গ্রামের ইসমাইল মল্লিক জানান, নৌকাটি লম্বায় প্রায় একশ ফুট লম্বা ও চওড়া ২০ ফুট হবে। নৌকার বেশির ভাগ অংশ বাঁওড়ের মধ্যে ঢুকে আছে। হয়তো নৌকাটি শাল কাঠ দিয়ে তৈরি করা। বজরাপুর গ্রামের আমজাদ হোসেন বলেন, গ্রামের কৃষক মনছের আলীর জমিতে পাওয়া নৌকাটি বহুকালের পুরোনো। কাঠগুলো পচে নষ্ট হয়ে গেছে। লম্বা কাঠগুলো কিছুটা ভালো আছে। মাটির চার ফুট নিচে এই নৌকাটি পাওয়া গেছে।  তিনি বলেন, নৌকাটি দেখতে প্রতিদিন শত শত মানুষ ভিড় জমাচ্ছে। তবে এখনো প্রশাসনের লোকজন ঘটনাস্থলে আসেননি। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, বজরা অধিক ওজন বহনকারী বড় ধরনের একটি নৌকা হিসেবে পরিচিত। খ্রিষ্টীয় ঊনবিংশ শতাব্দীতে ব্যবহার করা এ নৌকার দুই-তৃতীয়াংশ জায়গাজুড়ে থাকত ঘুমানো বা বিশ্রামের কক্ষ। ঘরবাড়ির মতো এসব কক্ষে থাকত জানালা। সাধারণভাবে যাত্রীর ধারণক্ষমতা ১০ থেকে ১২ জন। ভেতরে চারজন মাঝির সঙ্গে রান্না ও অন্যান্য কাজের জন্য দুজন সহযোগী থাকতেন।  স্থানীয় পূজা রানী বলেন, বজরাপুর গ্রাম একটি প্রাচীন জনপদ। এই গ্রামটি কপোতাক্ষ নদের সংযোগস্থলে গড়ে ওঠে। গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ জমিদার ও আধুনিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিল। ফলে এ নৌকাটি বজরাপুর গ্রামের নামকরণ ও গ্রামের মানুষের জীবনযাপনের সাক্ষ্য বহন করে। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া পূজা রানী নৌকাটি সংরক্ষণের দাবি জানিয়ে গবেষণা কাজে লাগানো যায় কিনা সে সরকারের ব্যাপারে সুদৃষ্টি কামনা করেন।  বিষয়টি নিয়ে মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনুপ দাস জানান, পুরোনো নৌকা পাওয়ার বিষয়টি তিনি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরকে জানাবেন, যাতে তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
১০ মে, ২০২৪

ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি করতেন আ.লীগ নেতা
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রির দায়ে দুলাল পাটোয়ারী নামের এক আওয়ামী লীগ নেতাকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভবিষ্যতে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করবে না শর্তে মুচলেকাও দিয়েছেন তিনি। এ সময় রামগঞ্জ থানার পুলিশ সদস্যরা একটি ভেকু মেশিন জব্দ করে থানায় নিয়ে আসেন। দণ্ডপ্রাপ্ত দুলাল পাটোয়ারী উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক। তিনি উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের দেহলা গ্রামের মৃত ইব্রাহিম পাটোয়ারীর ছেলে। জানা যায়, ভোলাকোট ইউনিয়নের দেহলা বিল থেকে ফসলি জমির মাটি কেটে দুই শতাধিক পুকুর খনন করে আল মদিনা ও জেবিএম ইটভাটায় মাটি নেওয়ার খবরে গত এক সপ্তাহ থেকে অভিযান চালায় রামগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ।  পরে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় দেহলা বিলে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করেন রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. শারমিন ইসলাম ও রামগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান। অভিযানের খবর পেয়ে পালিয়ে যায় মাটি ব্যবসায়ীরা।  রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্থানীয় ভোলাকোট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দিলুকে মাটি কাটার সঙ্গে জড়িতদের তালিকা করার নির্দেশ প্রদান করেন এবং উক্ত বিলের মাটি কাটা বন্ধের নির্দেশ প্রদান করেন। পরদিন শুক্রবার (৩ মে) আবারও বিলে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কাটার প্রস্তুতিকালে খবর পায় উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে ও রামগঞ্জ থানার ওসির সার্বিক তত্ত্বাবধানে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যদের নিয়ে উপস্থিত হয় রামগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক হেলাল হোসেন। বিকেল ৫টায় ঘটনাস্থল থেকে একটি ভেকু ও নিষিদ্ধ ট্রলি জব্দ করা হয়।  রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. শারমিন ইসলাম জানান, আগের দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে না পেয়ে আমরা বিলে মাটি কাটা বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করি। কিন্তু প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে আবারও মাটি কাটার প্রস্তুতি নিলে ঘটনাস্থল থেকে একটি ভেকু মেশিন জব্দ করি এবং মাটি ব্যবসায়ী দুলাল পাটোয়ারীকে নগদ ৩ লাখ টাকা জরিমানা করি। এ সময় মুচলেকা দিয়ে সাময়িক ছাড়া পায় এ ব্যবসায়ী।
০৪ মে, ২০২৪

মৎস্য খামারের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে ফসলি জমির মাটি লুট
ফরিদপুরের সদরপুরের আকোটের চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় পদ্মা মৎস্য খামারের সাইনবোর্ড টাঙিয়ে প্রশাসনকে বিভ্রান্তিতে ফেলে প্রকাশ্যে ফসলি জমি নষ্ট করে মাটি কাটার জমজমাট ব্যবসা করছে একটি কুচক্রী মহল।  এলাকাবাসীর অভিযোগ, ভেকু দিয়ে মাটি কেটে প্রকাশ্যে দেদার বিক্রি করছেন প্রভাবশালী কুদ্দুছ কাজী। এই বিষয়ে অভিযুক্ত কুদ্দুছ কাজী বলছেন, আমি প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে মাটি কাটছি, এখানে একটি মৎস্য খামার তৈরি করা হবে। কিন্তু প্রশাসন বলছে, এমন অনুমতি আমরা দেইনি। জানা যায়, ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদারের সভাপতিত্বে গত মার্চ মাসে আইন-শৃঙ্খলা মিটিংয়ে জেলা প্রশাসক ঘোষণা দেন, ড্রেজার ও ভেকু দিয়ে কোনো ফসলি জমি বিনষ্ট করে মাটির ব্যবসা করা যাবে না। সরেজমিনে দেখা যায়, জেলা প্রশাসকের নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পিয়াজখালি-আকোটের চর সড়কের আকোটের চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকার পশ্চিম পাশের কাঁচা সড়কের পাশে নাম সর্বস্ব মৎস্য হ্যাচারির সাইনবোর্ড টানিয়ে ভেকু দিয়ে উর্বর মাটি কেটে ড্রাম ট্রাকে ভরা হচ্ছে। এসব মাটি বিক্রির জন্য ড্রাম ট্রাকের পাশাপাশি রাখা হয়েছে মাহেন্দ্র ট্রলিও। মাটিভর্তি এসব ভারী যানের ওভারলোডিংয়ে রাস্তাজুড়ে প্রায় ফুট পরিমাণ পাউডার মাটি জমে গেছে। গ্রামীণ রাস্তাটির বিভিন্ন অংশে দেবে গেছে। এতে সাধারণ মানুষ যাতায়াতে চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এমনই অভিযোগ করেছেন কৃষক শাহ আলম শেখ, মিলন, আজিজুল, মালেক ও রুবেলসহ অনেকে। তারা বলেন, ভেকু দিয়ে ফসলি জমি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় এলাকার ফসলি জমি শেষ হয়ে যাবে। পাশাপাশি ফসলি জমি কেটে মাটি বিক্রি করার ফলে পাশের জমি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সংকীর্ণ হয়ে আসছে সদরপুরের ফসলি জমি। এ বিষয়ে কুদ্দুস কাজী বলেন, ‘প্রশাসনের অনুমতিতে মৎস্য প্রকল্পের মাধ্যমে আমি মাটি কাটছি।’  যে প্রকল্পের দোহাই দিয়ে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে ফসলি জমির মাটি লুট করা হচ্ছে সংশ্লিষ্ট সেই দপ্তরের প্রধান সদরপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম জাহাঙ্গীর কবির বলেন, পদ্মা মৎস্য প্রকল্পের নামে আমাদের দপ্তর থেকে কোনো প্রকল্পের অনুমতি প্রদান করা হয়নি। এটা সঠিক নয়। এ বিষয়ে সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ মোরাদ আলী জানান, ফসলি জমি বিনষ্টকারীদের সদরপুর উপজেলা প্রশাসন মাটি কাটার অনুমতি প্রদান করেন, করতেও পারে না। যারা প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে ফসলি জমি বিনষ্ট করে মাটি কাটে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৩ মে, ২০২৪

কালবেলায় সংবাদ প্রকাশ, মাটি কাটা বন্ধ করলেন ইউএনও
লহ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের দেহলা বিলের ফসলি জমিতে গড়ে ওঠা ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে কৃষি ও ফসলি জমির মাটি। মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রির ফলে উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের এক বিলেই তৈরি হয়েছে দুই শতাধিক পুকুর। আবাদি জমির মাটি ভেকু মেশিন দিয়ে কাটার ফলে যত্রতত্র পুকুরে সয়লাব বিষয় নিয়ে ২৯ এপ্রিল দৈনিক কালবেলায় ‘এক বিলেই ২০০ পুকুর, মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ সংবাদ প্রকাশের সূত্র ধরে তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন লহ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. শারমিন ইসলাম। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে গত দুদিনে স্থানীয় ভূমি কর্মকর্তারা তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার পর বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেল ৪টায় সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. শারমিন ইসলাম ও রামগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ সোলাইমানসহ পুলিশ সদস্যরা। এ সময় সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাদের আসার খবর ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান মাটি ব্যবসায়ীদের ভাড়াটে শ্রমিকের দল। গা ঢাকা দেয় মাটি ব্যবসায়ীরাসহ মদিনা ইটভাটা মালিক আমির হোসেন ডিপজল ও জেবিএম ইটভাটা মালিক জাহাঙ্গীর কোম্পানী। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা হতবাক হয়ে যান। চারদিকে শুধু পুকুর আর পুকুর। কোথাও চাষাবাদের জমি নেই। ইউএনও এবং পুলিশ আসার কথা শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয় লোকজন। এ সময় কর্মকর্তারা কথা বলেন ভুক্তভোগি ও ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকদের সঙ্গে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভোলাকোট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দিলুকে উক্ত বিলের মাটি কাটা বন্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া ও চেয়ারম্যানকে বিষয়টি তদারকি এবং মাটি ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরি করার জন্য বলেন। কৃষক মো. শাহ আলম ও রাজা মিয়া বলেন, জমির মাটি রক্ষায় কত আন্দোলন করেছি- সংগ্রাম করেছি। কেউ ফিরেও দেখেনি। আজ আমাদের ফরিয়াদ শুনেছেন সৃষ্টিকর্তা। তার দয়ায় ইউএনও ও ওসি স্যারের কারণে মাটি লুট বন্ধ হয়েছে। আমরা কৃতজ্ঞ। তিনি দাবি করেন মাটি লুটকারীরা খুবই খারাপ। কোনোভাবেই যেন এরা এ মাঠে আর না নামতে পারে। কৃষকের ক্ষতি যেন করতে না পারে। ভোলাকোট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দিলু জানান, সরকারি নির্দেশনার বাহিরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সরকারি কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ফসলি জমির মাটি কাটা বন্ধে আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করবো। আজও একটি বিলের মাটি কাটা বন্ধ করা হয়েছে। রামগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান জানান, আমরা এ বিলে এসে মাটি কাটার সত্যতা পেয়েছি। জোর করে মাটি কাটা বা ফসলি জমির মাটি কাটার বিষয়ে যদি কেউ থানায় অভিযোগ করে তাহলে অবশ্যই বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. শারমিন ইসলাম জানান, আমরা ফসলি জমির মাটি কাটার বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছি। কোনোভাবেই এ বিল থেকে মাটি কাটা যেন না হয় সে লক্ষ্যে ব্যবস্থা গ্রহণে রিপোর্ট লেখা হবে। আমরা এখানে আসার পর মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত কাউকে না পেয়ে কোনো ধরনের জরিমানা করা যায়নি। তবে তালিকা করা হবে, তালিকা অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও নিশ্চিত করেন এ কর্মকর্তা।
৩০ নভেম্বর, ০০০১

কালবেলায় সংবাদ প্রকাশ, মাটি কাটা বন্ধ করলেন ইউএনও
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের দেহলা বিলের ফসলি জমিতে গড়ে ওঠা ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে কৃষি ও ফসলি জমির মাটি। মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রির ফলে উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের এক বিলেই তৈরি হয়েছে দুই শতাধিক পুকুর। আবাদি জমির মাটি ভেকু মেশিন দিয়ে কাটার ফলে যত্রতত্র পুকুরে সয়লাব বিষয় নিয়ে ২৯ এপ্রিল দৈনিক কালবেলায় ‘এক বিলেই ২০০ পুকুর, মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ সংবাদ প্রকাশের সূত্র ধরে তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. শারমিন ইসলাম। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে গত দুদিনে স্থানীয় ভূমি কর্মকর্তারা তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার পর বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেল ৪টায় সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. শারমিন ইসলাম ও রামগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ সোলাইমানসহ পুলিশ সদস্যরা। এ সময় সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাদের আসার খবর ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান মাটি ব্যবসায়ীদের ভাড়াটে শ্রমিকের দল। গা ঢাকা দেয় মাটি ব্যবসায়ীরাসহ মদিনা ইটভাটা মালিক আমির হোসেন ডিপজল ও জেবিএম ইটভাটা মালিক জাহাঙ্গীর কোম্পানি। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা হতবাক হয়ে যান। চারদিকে শুধু পুকুর আর পুকুর। কোথাও চাষাবাদের জমি নেই। ইউএনও এবং পুলিশ আসার কথা শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয় লোকজন। এ সময় কর্মকর্তারা কথা বলেন ভুক্তভোগি ও ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের সঙ্গে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভোলাকোট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দিলুকে ওই বিলের মাটি কাটা বন্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া ও চেয়ারম্যানকে বিষয়টি তদারকি এবং মাটি ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরি করার জন্য বলেন। কৃষক মো. শাহ আলম ও রাজা মিয়া বলেন, জমির মাটি রক্ষায় কত আন্দোলন করেছি- সংগ্রাম করেছি। কেউ ফিরেও দেখেনি। আজ আমাদের ফরিয়াদ শুনেছেন সৃষ্টিকর্তা। তার দয়ায় ইউএনও ও ওসি স্যারের কারণে মাটি লুট বন্ধ হয়েছে। আমরা কৃতজ্ঞ। তিনি দাবি করেন মাটি লুটকারীরা খুবই খারাপ। কোনোভাবেই যেন এরা এ মাঠে আর না নামতে পারে। কৃষকের ক্ষতি যেন করতে না পারে। ভোলাকোট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দিলু জানান, সরকারি নির্দেশনার বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সরকারি কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ফসলি জমির মাটি কাটা বন্ধে আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করব। আজও একটি বিলের মাটি কাটা বন্ধ করা হয়েছে। রামগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান জানান, আমরা এ বিলে এসে মাটি কাটার সত্যতা পেয়েছি। জোর করে মাটি কাটা বা ফসলি জমির মাটি কাটার বিষয়ে যদি কেউ থানায় অভিযোগ করে তাহলে অবশ্যই বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. শারমিন ইসলাম জানান, আমরা ফসলি জমির মাটি কাটার বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছি। কোনোভাবেই এ বিল থেকে মাটি কাটা যেন না হয় সে লক্ষ্যে ব্যবস্থা গ্রহণে রিপোর্ট লেখা হবে। আমরা এখানে আসার পর মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত কাউকে না পেয়ে কোনো ধরনের জরিমানা করা যায়নি। তবে তালিকা করা হবে, তালিকা অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও নিশ্চিত করেন এ কর্মকর্তা।
০২ মে, ২০২৪

কৃষিজমির মাটি কাটার দায়ে দুই লাখ টাকা জরিমানা
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী থানার জয়েরটেক এলাকায় অবৈধভাবে কৃষিজমির মাটি কাটায় এক ব্যবসায়ীকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে গাজীপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রোকসানা খাইরুন নেছা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ জরিমানা করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, জয়েরটেক এলাকায় স্থানীয় মামুন হোসেন নামে এক ব্যক্তি কৃষিজমি থেকে গভীর করে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে নিচ্ছিলেন। পরে খবর পেয়ে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় মাটি ব্যবসায়ী মামুন হোসেনকে কৃষিজমির মাটি কাটার দায়ে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া গভীর করে ভেকু দিয়ে মাটি কাটা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গাজীপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রোকসানা খাইরুন নেছা বলেন, অবৈধভাবে ভেকু দিয়ে মাটি কাটায় এক ব্যক্তিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া তাকে মাটি কাটা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

এক বিলেই ২০০ পুকুর, মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়
রামগঞ্জ উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নে ফসলি জমিতে গড়ে ওঠা ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে কৃষি ও ফসলি জমির মাটি। মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রির ফলে উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের একটি বিলেই রয়েছে প্রায় দুই শতাধিক পুকুর। সরকারি খাল-ডোবা নালা, আবাদি জমির মাটি ভেকু মেশিন দিয়ে কাটার ফলে যত্রতত্রে পুকুরে সয়লাব। এসব জমির বেশিরভাগই ধানের জমি। এতে দিন দিন কমছে চাষাবাদের জমি। ফলে হ্রাস পাচ্ছে ফসল উৎপাদন।  অন্যদিকে একের পর এক গড়ে ওঠা ইটভাটা গ্রাস করে নিচ্ছে ফসলি জমি। বৈধ-অবৈধ ইটভাটাগুলো এখন কৃষকদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। চলতি মৌসুমে ইট ভাটার আশপাশে চলছে মাটি কাটার মহোৎসব। মাটিখেকোদের খপ্পরে পড়ে জমির টপ সয়েল যাচ্ছে ইটভাটায়, পুড়ছে আগুনে।   শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে রামগঞ্জ উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের দেহলা গ্রামের আমির হোসেন ডিপজলের ইটভাটার পেছনে দেহলা ও সমেষপুর কৃষি জমির এমন অবস্থা দেখা গেছে। পুরো ফসলি জমির মাঠজুড়ে বিশাল বিশাল পুকুর। এসব পুকুরের কারণে কোনো ধরনের ফসল ফলানো স্থানীয় কৃষকদের জন্য অসম্ভব হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে উক্ত বিলে ৩০টিরও বেশি পুকুর খনন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এলাকার ভুক্তভোগী কৃষক ও এলাকাবাসী কয়েকবার মানববন্ধন, প্রশাসনের নিকট লিখিত অভিযোগ, গণস্বাক্ষর সম্বলিত স্বারকলিপি প্রদান, সাংবাদিক সম্মেলন করে আসলেও বন্ধ হয়নি মাটি কাটা। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ২০ থেকে ২৫টি অবৈধ ট্রলি ও ভেকু মেশিন দিয়ে ফসলি জমিতে পুকুর খনন করে মাটি নিয়ে যাচ্ছে পার্শ্ববর্তী আল মদিনা ও জেবিএম ইটভাটায়। আবদুস সালাম, কালা মিয়া, রাজা মিয়াসহ কয়েকজন কৃষক জানান, ভোলাকোট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বশির আহম্মদ মানিক, আওয়ামী লীগ নেতা দুলাল পাটোয়ারী, ইটভাটা মালিক আমির হোসেন ডিপজল, জাহাঙ্গীর কোম্পানি, সিরাজ মিয়াসহ মাটি ব্যবসায়ী এই চক্রটি জমি কিনে নিয়ে ৪০ থেকে ৫০ ফুট গভীর করে মাটি নিয়ে যায়। এতে পার্শ্ববর্তী জমির মাটি ভেঙে পুকুরে পড়ে। পাশের জমির মালিক বাধ্য হয়ে মাটি খেকোদের কাছে অল্প দামে জমি বিক্রি করে দিচ্ছেন। আবার অনেক কৃষককে জমির মাটি বিক্রিতেও বাধ্য করা হয় কখনো কখনো। নামমাত্র মূল্যে ২ বা ৩ ফুট কাটার কথা বলা হলেও অল্প কদিনেই ভেকু মেশিন দিয়ে কোথাও কোথাও তা ৪০/৫০ ফুট গভীর করে মাটি নিয়ে যায়। সিরাজ নামের এক কৃষক জানান, সমস্ত মাঠটাকে যেভাবে ধ্বংস করে ফেলছে, আমরা কৃষক কিভাবে চাষাবাদ করবো, কি খাবো।   শাহ আলম নামের আরেক কৃষক জানান, পুরো মাঠজুড়ে পুকুর। পুকুরের কারণে নিজের জমিতেই যাওয়া যায় না। কিছু কিছু জমির ধান পেকে আছে অথচ ধান কেটে কীভাবে আনব-নৌকায় করেও আনা সম্ভব নয়।   ভোলাকোট গ্রামের দেহলা, শাহারপাড়া, শাকতলা ও ভাদুর ইউনিয়নের সমেষপুর ও সিরুন্দিসহ ৫ গ্রামের কয়েক হাজার কৃষক যুগ যুগ ধরে এ মাঠে চাষাবাদ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। কয়েক বছর আগে থেকেই এ মাঠটি মাটি খেকোদের কুনজর পড়েছে। এখন চাষাবাদ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই বেশিরভাগ কৃষক কৃষিকাজ ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশায় যেতে বাধ্য হচ্ছেন। মাটিকাটায় অভিযুক্ত দুলাল পাটোয়ারী জানান, সবাই কাটে-আমরা কাটলে দোষ হয়। আপনারা আসছেন, আপনারা নিউজ করেন, আমরা আমাদের কাজ করি। লক্ষ্মীপুর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হারুন অর রশিদ পাঠান জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দিলু জানান, আমি অসহায়। মাটি কাটা বন্ধে আমার কিছু করার নেই। আপনারা নিউজ করে দেখেন কিছু করতে পারেন কিনা। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. শারমিন ইসলাম জানান, সর্বশেষ মাসিক সভায় এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। মাটি কাটা রোধে সরকারি সব ধরনের আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

ছাত্রলীগ নেতা লুটে নিচ্ছেন গোমতী নদীর মাটি
নদীমাতৃক দেশ আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি। আর এই নদ-নদীর কারণেই আমাদের রয়েছে সুন্দর পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য । কিছু ভূমিখেকো লুটেরাদের কারণে আজ হুমকির মুখে পড়েছে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য। মুরাদনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সফিকুল ইসলাম তুহিনের বিরুদ্ধে গোমতী নদীর মাটি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। ছবিটি প্রথম দেখায় সারি সারি পুকুর মনে হলেও আসলে এটি গোমতী নদীরচর কাটা ডোবা। জানা যায়, গোমতী নদীর পার ঘেঁষে অনেক ফসলি জমি ও গাছপালা থাকলেও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সফিকুল ইসলাম তুহিনসহ একাধিক চক্রের থাবায় জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ বিলীন হয়ে নদীর বুকের সবুজচর এখন পরিণত হয়েছে ছোট ছোট ডোবায়। প্রতিদিন শত শত ড্রামট্রাক ও ট্রাক্টর দিয়ে প্রায় লাখ লাখ টাকার গোমতী নদীর উর্ব্বর মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে। চরের এসব উর্ব্বর মাটি আশপাশের ইটভাটাগুলোতে বিক্রি হচ্ছে দেদার। কয়েক বছর আগেও যেখানে নানারকমের সবজি চাষ করত কৃষকরা- সেগুলো এখন পরিণত হয়েছে ডোবা জলাশয়ে। উপজেলার ধামঘর, গুঞ্জর, দক্ষিণ ত্রিশ, বাখরাবাদসহ বেশ কয়েকটি স্পটে গোমতি নদীর চর থেকে এই মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বহীনতার কারণে ক্রমেই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে গোমতী চরের মাটিখোকো সিন্ডিকেট। ক্রমাগতভাবে মাটি লুটের ফলে নড়বড়ে হয়ে গেছে বেড়িবাঁধ। গোমতী নদীর চরের মাটি লুটের বিষয়ে জানতে চাইলে সফিকুল ইসলাম তুহিন মাটি কাটার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, শুধু আমি একা নই, আরও ১০-১২ জন এই মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত। তিনি সাংবাদিকের সঙ্গে দেখা করার প্রস্তাব দেন। মুরাদনগর ইউএনও সিফাত উদ্দিন বলেন, গোমতী চরের মাটিকাটা বন্ধ করতে দ্রুতই ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হবে।
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

তিস্তা সেচ প্রকল্পের মাটি খুঁড়তেই মিলল রাইফেল, মাইন ও গ্রেনেড
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে সেচ ক্যানেলের মাটি খনন করার সময় থ্রি নট থ্রি রাইফেল, পরিত্যক্ত মাইন ও গ্রেনেডসহ বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। অস্ত্রগুলো ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ের বলে ধারণা করা হচ্ছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাজেডুমুরিয়া গ্রামের ক্যানেল বাজার এলাকায় এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। তিস্তা সেচ প্রকল্পের ডালিয়া প্রধান সেচ ক্যানেলের মাটি খননের সময় এসব বের হয়ে আসে বলে জানিয়েছেন কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র মন্ডল। এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে ওসি জানান, ক্যানেলের মাটি খননের সময় একটি গ্রেনেড, একটি থ্রি নট থ্রি রাইফেল, দুটি পরিত্যক্ত মাইন, একটি ভাঙা মর্টার সেল ও একটি রাইফেলের ম্যাগাজিন উঠে আসে। স্থানীয়রা কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই স্থানটি ঘিরে রাখে। ওসি পলাশ চন্দ্র মন্ডল বলেন, উদ্ধার অস্ত্রগুলো জরার্জীণ হলেও পুলিশ প্রহরায় রাখা হয়েছে। বোমা নিস্ক্রিয়করণ দলকে খবর দেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এসব মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের অস্ত্র। এদিকে অস্ত্র উদ্ধারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা পুলিশ সুপার মো. গোলাম সবুর।
২৩ এপ্রিল, ২০২৪
X