হজের জন্য অনুমতি দেওয়া শুরু করেছে সৌদি আরব
রমজান মাস শেষ হলেই বড় হজ বা হজে আকবরে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন সারা বিশ্বের মুসলিমরা। মহান আল্লাহতায়ালা সামর্থবান সকল মুসলমানের জন্য জীবনে একবার হজ ফরজ করছেন। চলতি বছর হজ পালনের জন্য অনুমতি দেওয়া শুরু করেছে সৌদি আরব। সোমবার (২৩ এপ্রিল) দেশটির সংবাদমাধ্যম আল আখবারিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর হজ পালনে ইচ্ছুকদের অনুমতি দেওয়া শুরু করেছে সৌদি আরব। গতকাল বুধবার থেকে স্থানীয় বাসিন্দা ও সৌদি আরবে বসবাসরত বিদেশি মুসলিম নাগরিকদের হজ পালনের জন্য দেশটির কর্তৃপক্ষ অনুমতি দিতে শুরু করেছে।  সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দেশটির সরকারি প্লাটফর্ম আবশার ও হজবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অভ্যান্তরীণ হজযাত্রীদের জন্য অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।  সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলতি বছরে হজের জন্য বুধবার থেকে আবশার প্লাটফর্মের মাধ্যমে দেশীয় হাজিদের জন্য অনুমতি দেওয়া শুরু হয়েছে। এ ছাড়া হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও এ অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।  সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আগামী জুনে হজ পালনের জন্য দেশটির সরকার সোদি আরব ও বিদেশি হজযাত্রীদের জন্য গত ফেব্রুয়ারি থেকে ই-নিবন্ধন ব্যবস্থা চালু করেছিল।  সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয় আবাসন সুবিথধা বিবেচনায় এ বছর ৪টি প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। এতে সৌদি মুদ্রায় খরচ পড়বে ৪ হাজার ৯৯ সৌদি রিয়াল থেকে শুরু করে ১৩ হাজার ২৬৫ সৌদি রিয়াল। যা বাংলাদেশি টাকায় এক লাখ ২২ হাজার ৯৭০ টাকা থেকে শুরু করে তিন লাখ ৯৭ হাজার ৯৫০ টাকা। তিন কিস্তিতে এ টাকা পরিশোধ করা যাবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।  হজের এ খরচের মধ্যে প্রথম দফায় কিস্তির অর্থ মোট খরচের ২০ শতাংশ পরিশোধ করতে হবে। যার জন্য নির্ধারিত সময় ছিল ১১ মার্চ পর্যন্ত। এরপর দ্বিতীয় কিস্তিতে ৪০ শতাংশ অর্থ পরিশোধ করতে হবে। এ অর্থ পরিশোধের সময় ছিল ৩১ মার্চ পর্যন্ত। এরপর তৃতীয় দফায় বাকি অর্থ ২৮ এপ্রিলের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।  সৌদি আরব জানিয়েছে, পবিত্র হজ পালনে অনুমতিপ্রাপ্তদের কয়েকটি টিকা নিতে হবে। এরমধ্যে অন্যতম হলো করোনাভাইরাস, ইনফ্লুয়েঞ্জা ও মেনিনজাইটিসের টিকা। গত বছর সারা বিশ্বের ১৮ লাখ মুসলিম পবিত্র  হজ পালন করেছেন। এর আগে করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর হজযাত্রীদের সংখ্যা সীমিত করেছিল দেশটির সরকার। তবে গত বছর হযযাত্রীদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি আগের অবস্থায় ফিরছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।   
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

হজ পারমিট দেওয়া শুরু করেছে সৌদি আরব
চলতি বছরে জুন মাসের মাঝামাঝি এ বছরের হজ অনুষ্ঠিত হবে। এর আগেই সৌদি আরবের নাগরিক ও দেশটিতে যেসব বিদেশি মুসলিম বাসিন্দা আছেন তাদের জন্য হজ পারমিট দেওয়া শুরু হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) থেকে এ পারমিট দেওয়া শুরু করেছে সৌদি।  স্থানীয় নাগরিক ও বাসিন্দারা সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে এই পারমিট তথা অনুমতি সংগ্রহ করতে পারবেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের এক প্রতিবেদন থকে এ তথ্য জানা গেছে। সৌদিবাসীদের জন্য দেশটির হজ মন্ত্রণালয় আবাসন সুবিধার স্তরবিন্যাসের ওপর ভিত্তি করে ৪ হাজার ৯৯ সৌদি রিয়াল থেকে শুরু করে ১৩ হাজার ২৬৫ সৌদি রিয়াল পর্যন্ত মোট চারটি প্যাকেজ চালু করেছে। এই প্যাকেজের দাম তিন কিস্তিতে পরিশোধ করা যাবে। এবারের হজ উপলক্ষে ফেব্রুয়ারি মাসেই হজ প্রক্রিয়া সহজ করতে নাগরিক ও অভিবাসীদের জন্য ই-নিবন্ধন চালু করে সৌদি আরব। এ ছাড়া, হজের সময় যেন পবিত্র দুই নগরী মক্কা ও মদিনায় অতিরিক্ত লোক সমাগম না হয় তা নিশ্চিত করতে আগামী ৬ জুনের মধ্যে সব বিদেশি ওমরাহকারীদের সৌদি আরব ত্যাগের নির্দেশনাও দিয়েছে দেশটি। এ ছাড়াও এবার মানতে হবে বেশকিছু নিয়ম। এর মধ্যে যারা এবার হজে যাবেন এবং তাদের সেবায় যাদের নিয়োগ দেবে সৌদি আরব সরকার তাদের সবাইকেই বাধ্যতামূলকভাবে নির্দিষ্ট কিছু টিকা নিতে হবে। ১৮ বছরের বেশি বয়সী লোকদের জন্য কোভিড-১৯, ইনফ্লুয়েঞ্জা ও মেনিনজাইটিসের টিকা নিতে হবে।  বিদেশি হজযাত্রীদের জন্য একটি নতুন কৌশল অনুসরণ করে চলতি বছরের হজের প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু করেছে। নতুন কৌশল অনুসারে, হজের পবিত্র স্থানগুলোতে আগে থেকেই দেশগুলোর জন্য আর কোনো নির্দিষ্ট স্থান বরাদ্দ করা হবে না। তার বদলে যেসব দেশ আগে সৌদি আরবের সঙ্গে হজ চুক্তি চূড়ান্ত করবে তাদের আগে নির্দিষ্ট জায়গা বরাদ্দ করা হবে।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

আরও তিন লক্ষাধিক হোটেল কক্ষ বানাবে সৌদি আরব
পর্যটন খাতে নিজেদের বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে সৌদি আরব। এজন্য নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হাতে নিয়েছে দেশটি। এরই ধারাবাহিকতায় আরও তিন লক্ষাধিক হোটেল কক্ষ বানাতে যাচ্ছে দেশটি। বুধবার (২৪ এপ্রিল) গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে  এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পর্যটন খাতকে গুরুত্ব দিচ্ছে সৌদি আরব। এরই ধারাবাহিকতায় হোটেলের সক্ষমতা বাড়াতে যাচ্ছে দেশটি। কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠান নাইট ফ্রাংকের তথ্যানুসারে, ২০৩০ সালের মধ্যে আরও তিন লাখ ২০ হাজার হোটেল কক্ষ বানানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে দেশটি।  নাইট ফ্রাংকের তথ্যমতে, চলতি দশকের শেষে দেশটিতে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক দর্শনার্থীর সংখ্যা ১৫০ মিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে। ফলে এ সময় নতুন করে হোটেল কক্ষের সংখ্যা বাড়াতে হবে। এর মধ্যে ৬৬ শতাংশ হবে বিলাসবহুল, উচ্চশ্রেণির। এছাড়া ২০৩০ সাল নাগাদ সৌদির পর্যটন খাত ৭২ শতাংশ বাড়বে। ফলে এ সময়ে ২ লাখ ৫১ হাজার ৫০০ হোটেল কক্ষের চাহিদা দেখা দেবে।  সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ২০২৩ সালের শেষে সৌদি আরবে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যটকের সংখ্যা ১০০ মিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে। দেশটির জিডিপিতে পর্যটন খাতের অবদান প্রায় ৬ শতাংশ। যা এ দশকের শেষে ১০ শতাংশে উন্নীত করার জন্য পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে দেশটির সরকার।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৫ সাল নাগাদ সৌদি আরবের পবিত্র নগরীতে ধর্মীয় পর্যটকের সংখ্যা ৩০ মিলিয়ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।  আর এ সংখ্যা ২০৩০ সাল নাগাদ ৫০ মিলিয়নে গিয়ে পৌঁছাবে।  সৌদি আরবের পর্যটন খাতে ২0২৩ সালে প্রথমার্ধে ব্যয় বেড়ে ৮৭ বিলিয়ন রিয়ালে পৌঁছেছে। যা আগের বছর ২০২২ সালের তুলনায় ১৩২ শতাংশ বেশি। এছাড়া এ সময়ে আন্তর্জাতিক দর্শনার্থীর সংখ্যা ১৪২ শতাংশ বেড়েছে।  এ সময় ১৪ দশমিক ৬ মিলিয়ন পর্যটক দেশটিতে এসেছেন।  দেশটির হসপিটালিটি ট্যুরিজম অ্যান্ড লেজার অ্যাডভাইজরি বিভাগ মিনার প্রধান তুরাব সালিম বলেন, ২০৩০ সাল নাগাদ সৌদি আরব ১৫০ মিলিয়ন পর্যটক টানার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। যা আগের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি। এজন্য দেশটির সরকার বিদেশি পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে।  এরই ধারাবাহিকতায় বিনোদন খাতকে ঢেলে সাজাচ্ছে সৌদি আরব। এজন্য দেশটিতে গত কয়েক বছরে রিয়াদের বুলেভার্ড ওয়ার্ল্ড থিম পার্কসহ কয়েকটি পার্ক উন্মোচন করা হয়েছে। এছাড়া এ সময়ে আরও অন্তত ২৪টি থিম পার্কের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। 
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

এবার চীনের কাছে হাত পাতল সৌদি আরব
নানা জল্পনা–কল্পনার মধ্যেই নিওম প্রকল্প নিয়ে চীনের কাছে হাত পেতেছে সৌদি আরব। রহস্যময় নিওম মেগাসিটি প্রকল্পে চীনা বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে এটির একটি ডিজিটাল প্রদর্শনী নিয়ে দেশটিতে গেছেন সৌদি কর্মকর্তারা। প্রদর্শনীতে নিওম মেগাসিটির নানা সুবিধা ও সম্ভাবনার ওপর আলোকপাত করবেন তারা।  ইতোমধ্যেই নিওম মেগাসিটি প্রকল্পের বিস্তারিত উল্লেখ করে বেইজিং, সাংহাই এবং হংকং সফর করেছেন সৌদি কর্মকর্তারা। তবে এ ধরনের তৎপরতার পরও এখন পর্যন্ত আশাব্যঞ্জক কোনো সাড়া পাননি তারা। হয়নি কোনো চুক্তি ঘোষণাও।  প্রকল্পের প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছিলেন হংকং ইনোভেটিভ টেকনোলজি ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান লিওনার্ড চ্যান। বার্তা সংস্থা এএফপিকে তিনি বলেন, এই প্রদর্শনীর একটি ভালো দিক হচ্ছে, এটি নিওমকে রহস্যের মোড়ক থেকে বের করে এনেছে। তবে এখনো ‘দ্য লাইন’ খ্যাত নিওম সিটি প্রকল্পে বিনিয়োগের বিষয়ে খুব বেশি আগ্রহ পাচ্ছেন না তিনি। প্রদর্শনীতে দেখানো নিওম শহর প্রকল্পকে তিনি অনেকটা ভিডিও গেমের সিমসিটির সঙ্গে তুলনা করেছেন।    জানা গেছে, প্রদর্শনীতে সৌদি আরবের উচ্চাভিলাষী ওই প্রকল্প যারা পর্যবেক্ষণ করেছেন, তাদের বেশির ভাগই নিরপেক্ষ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, প্রদর্শনীর সময় নিওম শহরের কর্মকর্তারা এই শহর নিয়ে সাম্প্রতিক কিছু নেতিবাচক প্রতিবেদনের ব্যাখ্যা দেননি।  চলতি মাসের শুরুতেই ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, দ্য লাইনে যে পরিমাণ মানুষের বসবাসের কথা ছিল সেই সংখ্যাটি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করেছে সৌদি আরব। ২০৩০ সালের মধ্যে ওই শহরটিতে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা ১৫ লাখ থেকে কমিয়ে ৩ লাখ লক্ষ্যমাত্রা দেখিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। তবে নিওমের নির্বাহী পরিচালক তারেক কাদ্দুমি বলেছিলেন, ভবিষ্যতে এই শহরে ৯০ লাখ মানুষের বসবাস নিশ্চিত করা হবে।  নিওম প্রকল্পের জন্য অর্থ সংগ্রহের এই প্রদর্শনীটি এবারই প্রথম নয়। এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল, জাপানের টোকিও, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটি, বোস্টন, ওয়াশিংটন ডিসি, মিয়ামি, লস অ্যাঞ্জেলেস, সান ফ্রান্সিসকো, ফ্রান্সের প্যারিস, জার্মানির বার্লিন এবং যুক্তরাজ্যের লন্ডনেও এর প্রদর্শন করা হয়েছে। এ ছাড়া এই প্রকল্পের অর্থ সংগ্রহের জন্য বন্ড ইস্যু করারও পরিকল্পনা করছে সৌদি আরব।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

কাবায় ইতিকাফকারীর সংখ্যা জানাল সৌদি আরব
পবিত্র কাবায় ইতিকাফকারীর সংখ্যা জানিয়েছে সৌদি আরব। দেশটি জানিয়েছে, এ বছর ইতেকাফকারীর সংখ্যা গত বছরের চেয়ে দ্বিগুণ হয়েছে। শনিবার (২৩ মার্চ) গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  সৌদি আরবের কর্মকর্তারা জানিয়েছে, এ বছর কাবায় ইতিকাফে অনুমতি প্রাপ্তদের সংখ্যা ইতোমধ্যে দ্বিগুণ হবে। অনুমতিপ্রাপ্তদের সংখ্যা ইতিকাফকারীর সংখ্যা ছয় হাজার ছাড়িয়েছে।  মুসলিমরা রমজানের শেষ দশকে আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের জন্য মসজিদে ইবাদত করে ব্যয় করেন। এ সময়কে ইসলামে ইতিকাফ বলে অবিহিত করা হয়। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স.) এর প্রদর্শিত পন্থায় এ ইবাদত পালন করেন মুসলিমরা। চলতি বছর সৌদি আরবে ১১ মার্চ থেকে রমজানের শুরু হয়েছে।   কাবার গাইডেন্স অ্যান্ড কনসালটিং বিভাগের প্রধান আবদুলমোহসেন আল গামদি বলেন, চলতি বছরে ইতিকাফ পালনের জন্য তিনটি তলায় অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তিনি আল আখবারিয়াকে বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার ইতেকাফকারীর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। এরমধ্যে এক হাজার নারী রয়েছেন। সব মিলিয়ে ইতেকাফকারীর সংখ্যা ছয় হাজারে পৌঁছেছে।   প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর কাবায় তিন হাজার ইবাদতকারী ইতেকাফ পালন করেন। তবে এ বছর এ সংখ্যা শতভাগ বেড়েছে। গত ৭ রমজান থেকে ইতিকাফের জন্য রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে। ইতিকাফের জন্য নির্ধারিত জায়গা পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত এ রেজিস্ট্রেশন চলবে।  সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় এই সংস্থার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালিত হবে। সংস্থাটি বলছে, স্থিতিশীল ও আধ্যাত্মিক পরিবেশে ইতিকাফ ও ইবাদতের জন্য এই প্রক্রিয়ার প্রয়োজন রয়েছে। তবে মজসিদুল হারামে ইতিকাফ পালন করতে আবেদনকারীদের নির্দিষ্ট কয়েকটি শর্ত পূরণ করতে হবে। পবিত্র এই মসজিদের নিয়ম-কানুন মেনে চলবে এই মর্মে আবেদনকারীকে সম্মতি দিতে হবে। ২০ রমজানের নির্ধারিত সময়ে ইতিকাফ শুরু করতে হবে এবং আবেদনকারীর বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর থেকে হবে।  
২৩ মার্চ, ২০২৪

ইন্দোনেশিয়ায় দীর্ঘতম ইফতার আয়োজন করল সৌদি আরব
পবিত্র রমজান মাসে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায় সবচেয়ে দীর্ঘ ইফতার আয়োজন করেছে সৌদি আরব। চলতি বছর এখন পর্যন্ত আসিয়ান ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে দীর্ঘতম ইফতার আয়োজন করে রেকর্ড করেছে দেশটি। শুক্রবার (১৫ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে গাল্ফ নিউজ। আসিয়ান হলো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১০টি দেশের একটি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জোট। এই জোটে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ফিলিপাইনের মতো দেশ রয়েছে। জোটটির সদর দপ্তর ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় অবস্থিত। সৌদি কর্মকর্তারা বলছেন, সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজের নামে দেশের বাইরে ইফতার উদ্যোগের অংশ হিসেবে ইন্দোনেশিয়ায় এই ইফতার আয়োজন করেছে সৌদি ইসলামিকবিষয়ক মন্ত্রণালয়। আড়াই হাজার মিটার লম্বা সারির এই ইফতারে ১৫ হাজারের বেশি মুসলমান অংশগ্রহণ করেছেন। ইন্দোনেশিয়ান ওয়ার্ল্ড-রেকর্ড মিউজিয়ামের (এমইউআরআই) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে আসিয়ান ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে আয়োজিত দীর্ঘতম ইফতার হিসেবে রেকর্ড করেছে সৌদির এই আয়োজন। এর স্বীকৃতিস্বরূপ ইন্দোনেশিয়ার সৌদি দূতাবাসের ধর্মীয় অ্যাটাশে আহমেদ আল হাজামির কাছে একটি প্রশংসাপত্র হস্তান্তর করেছে এমইউআরআই। সম্প্রতি ইফতারের খাবার, পবিত্র কোরআন ও খেজুর বিতরণের জন্য পবিত্র মসজিদের কাস্টোডিয়ান প্রোগ্রাম চালু করেছেন সৌদি রাষ্ট্রদূত ফয়সাল আবদুল্লাহ। এ ছাড়া রমজানের রোজা উপলক্ষে আলবেনিয়া, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনাসহ অন্যান্য দেশে মুসলমানদের জন্য একই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
১৬ মার্চ, ২০২৪

মসজিদের ইফতারির জন্য নতুন নিয়ম করল সৌদি আরব
আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে মসজিদে ইফতারের নতুন নিয়ম চালু করেছে সৌদি আরব। পবিত্র দুই মসজিদের (মক্কা-মদিনা) সংশ্লিষ্ট সাধারণ কর্তৃপক্ষ নতুন এ নিয়মের ঘোষণা দিয়েছে। সোমবার (০৪ মার্চ) মিডিল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পবিত্র রমজান মাসে মক্কার গ্রান্ড মসজিদে ইফতারের জন্য নতুন ই পোর্টাল চালু করা হয়েছে। ইফতারের আয়োজনের জন্য মুসলিমদের অনুমতির বিষয়ে এ পোর্টালে আবেদন করতে হবে।  সৌদি প্রেস এজেন্সির প্রতিবেদনানুসারে, আবেদনকারীরা জেনারেল প্রেসিডেন্সি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। সাইটটিতে অনুমতির জন্য ইফতারের মেন্যুও যুক্ত করা হয়েছে।  এর আগে সৌদি আরবের কর্তৃপক্ষ পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে মসজিদে ইফতারের জন্য জমায়েত নিষিদ্ধ করে। মূলত স্বাস্থ্য সচেতনতার বিষয়টি সামনে রেখে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরপরই ইফতারের জন্য নতুন পোর্টালের বিষয়টি জানানো হয়েছে।   এর আগে গত মাসে সৌদি আরবের ইসলামীবিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, মসজিদের ভেতরে ইফতারের আয়োজন করা যাবে না। মসজিদের পরিচ্ছন্নাতার জন্য এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়।  বিবৃতিতে বলা হয়, ইমাম ও মুয়াজ্জিনরা মিলে মসজিদের আঙিনার বাইরে  ইফতারের জায়গা খুঁজে বের করবে। তবে এজন্য অস্থায়ী কোনো রুম বা তাবুও তৈরি করা যাবে না বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মন্ত্রণালয় ইফতারের আয়োজনের জন্য ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের অর্থ সংগ্রহের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েও একটি আদেশ জারি করেছে। 
০৭ মার্চ, ২০২৪

কর্মীদের সুখবর দিল সৌদি আরব
কর্মীদের সুখবর দিয়েছে সৌদি আরব। দেশটি নতুন বছরে কর্মীদের বেতন বাড়ানোর সুখবর দিয়েছে। ২০২৪ সালে কর্মীদের গড়ে ৬ শতাংশ বেতন বাড়ানো হতে পারে। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  সৌদি আরবের সাম্প্রতিক একটি রিপোর্টে বেতন বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। দেশটি ভিশন ২০৩০ লক্ষ্যমাত্রা সামনে রেখে এগিয়ে যাচ্ছে। এজন্য কর্মক্ষেত্রে অভিজ্ঞদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে অর্থনীতিতে ব্যাপক পরিবর্ততন আনা হচ্ছে এবং হাইড্রোকার্বন কমানোর ঘোষণা দিয়েছে।  জনশক্তি বিশেষজ্ঞ কোপার ফিচ বলেন, সৌদি আরব উন্নয়নে ব্যাপক নজর দিচ্ছে। ৫০০ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নিয়ম সিটি, রেড সি প্রজেক্ট এবং আলউলার উন্নয়ন কার্যক্রম চলছে। এগুলো সব সৌদি সরকারের মেগা প্রজেক্ট যা মেধার বিস্তৃতির পরিবেশ সৃষ্টি করবে।  ২০২৪ সালের বাজেট বিবৃতিতে সৌদি জানিয়েছে, গত বছর তারা বেসরকারি খাতে ১১ লাখ ২ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। বিশাল বিনিয়োগের অংশ হিসেবে এসব কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হয়েছে।  দেশটি কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণও বাড়িয়েছে। ২০২৩ সালে নারীদের কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণ ২৩ শতাংশ বাড়িয়েছে। যা আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।    
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী বাংলাদেশ ও সৌদি আরব
নারীর ক্ষমতায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য নিরাপত্তা, সুনীল অর্থনীতি, জীববৈচিত্র্য এবং এসডিজি অর্জনসহ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক ও বৈশ্বিক বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী বাংলাদেশ ও সৌদি আরব। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌদি আরবের সূরা কাউন্সিলরের স্পিকার ড. আব্দুল্লাহ মো. ইব্রাহিম আল শেখের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।  বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে আরও বিনিয়োগ বাড়াতে সৌদি বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপ্রতি বলেছেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। দু’দেশের মধ্যকার ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক বন্ধনও সুদৃঢ়। সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনা বাংলাদেশের মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র স্থান। সৌদি আরব বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেছেন, সৌদি আরবে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা উভয় দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। সৌদি আরবকে বাংলাদেশের বড় উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে অভিহিত করে রাষ্ট্রপতি। বাংলাদেশে সৌদি বিনিয়োগ ও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাষ্ট্রপতি আশা করেন, ভবিষ্যতে এর পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবির প্রতি জোর সমর্থন জানায় এবং গাজায় ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানায়। রাষ্ট্রপতি মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও ঐক্য প্রতিষ্ঠায় সৌদি আরবের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। এ সময় সৌদি আরবের সূরা কাউন্সিলরের স্পিকার জানান, সৌদি সরকার ও জনগণ বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নকে খুবই গুরুত্ব দেয়। বাংলাদেশের উন্নয়নে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।  
০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী বাংলাদেশ ও সৌদি আরব
বাংলাদেশ ও সৌদি আরব বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছে। খবর বাসসের।  বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সৌদি আরবের শূরা কাউন্সিলের সভাপতি শেখ ড. আবদুল্লাহ বিন মুহাম্মদ বিন ইব্রাহিম আল শেখ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে এই আগ্রহ প্রকাশ করেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের এই বিষয়ে ব্রিফ করেন।  মুন বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যকার ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক বন্ধনের মূলে রয়েছে সমৃদ্ধ ও দীর্ঘস্থায়ী ঐতিহাসিক বন্ধন। তিনি বলেন, বাংলাদেশি মুসলমানদের জন্য ইসলামের জন্ম সৌদি আরব এবং দুটি পবিত্র স্থান মক্কা ও মদিনার আমাদের হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দুই পবিত্র মসজিদের খাদেম বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ এবং প্রধানমন্ত্রী ও ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের দূরদর্শী নেতৃত্বে বৈশ্বিক ইস্যুতে সৌদি আরবের সাম্প্রতিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড, সংস্কার এবং উদীয়মান ভূমিকার জন্য সন্তোষ প্রকাশ করেন।  শেখ ড. আব্দুল্লাহ বিন মুহাম্মদ বিন ইব্রাহিম আল শেখ প্রধানমন্ত্রী পদে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, সৌদি আরব সবসময় বাংলাদেশের সঙ্গে ছিল এবং ঢাকার সঙ্গে তাদের ঐতিহাসিক দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক রয়েছে।  তিনি শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের নজিরবিহীন উন্নয়নের জন্য ভূয়সী প্রশংসা করেন। মুন সৌদি আরবের শূরা কাউন্সিলের সভাপতির উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, তিনি বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব দৃষ্টান্তমূলক ও অনুকরণীয়।’ তিনি প্রধানমন্ত্রীকে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান আল সৌদের শুভেচ্ছাও জানান। সৌদি ক্রাউন প্রিন্সের শুভেচ্ছাকে স্বাগত জানিয়ে শেখ হাসিনাও যুবরাজকে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, অ্যাম্বাসাডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
৩১ জানুয়ারি, ২০২৪
X