স্ত্রীর মরদেহ বিছানায়, ফ্যানে ঝুলছিলেন স্বামী
সাভারের আশুলিয়ায় ভাড়া বাসা থেকে এক দম্পত্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা স্ত্রীকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে মারার পর স্বামী নিজেই আত্মহত্যা করছে। সোমবার (২০ মে) বিকেলে আশুলিয়ার নরসিংহপুরের ইউসুফ মার্কেট এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে পুলিশ। প্রায় ২ মাস ধরে তারা এ ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন। মৃতরা হলেন, পটুয়াখালী লোহালিয়া ইউনিয়নের হাকিম আলী হাওলাদারের ছেলে রুহুল আমিন হাওলাদার এবং বরিশালের আমতলী থানার সোবহান মৃধার মেয়ে মনি। রুহুল আমিন পেশায় কাপড় ব্যবসায়ী এবং মনি গৃহিণী। বাড়ির মালিক রেহানা আক্তার জানান, সকাল থেকে তাদের কোনো সাড়া না পেয়ে দুপুরে ঘরে ঢুকে দেখতে পান বিছানায় মনির মরদেহ পড়ে আছে এবং সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে আছে রুহুল আমিন। নিহত মনির ভাগিনা মো. রিফাত  জানান, ৬ মাস আগে তাদের বিয়ে হয়। ঈদের পরে তাদের মাঝে ঝগড়া হয়েছিল। তখন আমার খালা (নিহত মনি) সংসার করবে না বলে জানান। তাদের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্ব ছিল। এরই জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে। আশুলিয়া থানা পুলিশের এসআই মাসুদ আল মামুন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা পরবর্তীতে তদন্ত করে জানা যাবে।
১৩ ঘণ্টা আগে

স্ত্রীকে হত্যার ২২ বছর পর স্বামী গ্রেপ্তার
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত স্বামীকে ঘটনার ২২ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। ২০০২ সালে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছিলেন তিনি। এ হত্যা মামলায় ২০০৯ সালে আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে বেগমগঞ্জের চৌরাস্তা পৌর বাস টার্মিনাল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার সামছুদ্দিনের (৫৫) বাড়ি জেলার সদর উপজেলার মাইজছড়া গ্রামে। র‍্যাব-১১ সিপিসি-৩-এর কর্মকর্তারা জানান, আসামি সামছুদ্দিন ও তার পরিবারের সদস্য জয়নাল আবেদীন, মনোয়ারা বেগম ও বিলকিস বেগম মিলে সামছুদ্দিনের স্ত্রী আয়েশা খাতুনকে শারীরিক নির্যাতন করতেন। একপর্যায়ে তারা শ্বাসরোধে আয়েশা খাতুনকে হত্যা করেন। এ ঘটনায় সুধারাম থানার এএসআই মো. মোখলেছুর রহমান বাদী হয়ে ২০০২ সালের ১৩ জুন সুধারাম থানায় মামলা করেন। দীর্ঘ সাত বছরের বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২০০৯ সালের ৩০ জুলাই ওই মামলায় আসামি সামছুদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। কিন্তু হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই আসামি সামছুদ্দিন গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে ছিলেন।
১৮ মে, ২০২৪

স্ত্রী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত স্বামী গ্রেপ্তার
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ২২ বছর পর স্ত্রী আয়েশা খাতুন হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত স্বামী সামছুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে আদালতের নির্দেশে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার সামছুদ্দিন জেলার সদর উপজেলার মাইজছড়া গ্রামের বাসিন্দা। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে বেগমগঞ্জের চৌরাস্তা পৌর বাস টার্মিনাল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।   র‌্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সহকারী পুলিশ সুপার মো. গোলাম মোর্শেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  তিনি বলেন, আসামি সামছুদ্দিন আয়েশা খাতুনকে শারীরিক নির্যাতন ও গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে এ ঘটনায় সুধারাম থানার এএসআই মো. মোখলেছুর রহমান বাদী হয়ে ১৩ জুন, ২০০২ সালে সুধারাম থানায় মামলা করেন। এ হত্যা মামলায় সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে ৩০ জুলাই, ২০০৯ সালে আসামি সামছুদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।  র‌্যাবের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর থেকে আসামি গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  আসামি সামছুদ্দিনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুধারাম মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সুধারাম মডেল থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, আসামিকে বেগমগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
১৭ মে, ২০২৪

গরম পানি ঢেলে স্ত্রীর শরীর ঝলসে দিলেন স্বামী
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে রহিমা আক্তার নামে এক গৃবধূর শরীরে গরম পানি ঢেলে ঝলসে দিয়েছেন স্বামী জীবন মিয়া। এ ঘটনায় জীবন মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (১৫ মে) দুপুরে উপজেলা শহরে সুরভি পাড়া আবাসিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রহিমা আক্তার ও জীবন মিয়া সুরভি পাড়া আবাসিক এলাকায় বসবাস করতেন। জানা গেছে, বিছানায় শুয়ে ছিলেন রহিমা আক্তার। হঠাৎ তার স্বামী গরম পানি ঢেলে দেয়। এতে শরীরের বিভিন্ন জায়গা ঝলসে যায়। তার চিৎকারে শুনে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। শ্রীমঙ্গল থানার ওসি বিনয় ভূষণ রায় কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গরম পানিয়ে গৃহবধূর শরীর ঝলসে দেওয়ার খবর পেয়ে অভিযান চালিয় তাকে আটক করেছি। জীবন মিয়া পুলিশের কাছে প্রাথমিক পর্যায়ে অপরাধ স্বীকার করেছে। আহত গৃহবধূ চিকিৎসাধীন আছেন। আটক জীবন মিয়ার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৬ মে, ২০২৪

স্বামী পাশে নেই, ফাইভ স্টারে অভিনেত্রীর জন্মদিন উদযাপন
বিভিন্ন সিরিয়ালে অভিনয় করে বাঙালি দর্শকের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন ভারতীয় অভিনেত্রী ত্রমিলা ভট্টাচার্য। সীমারেখা সিরিয়ালের মাধ্যমে ছোট পর্দায় অভিষেক হয় তার। এরপর একে একে কাজ করেছেন আজব সাজা, মোহিনী, মহাকাল, পৌষ ফাগুনের পালা, জীবন রেখা, একক দশক শতক, পূর্ব পশ্চিম, মোহর, পঞ্চমীসহ বেশ কিছু সিরিয়ালে। কাজের পাশাপাশি বেশ মন দিয়ে সংসার করছেন ত্রমিলা। তার স্বামী মার্চেন্ট নেভির ক্যাপ্টেন। তাই বছরের অনেকটা সময় জাহাজে সাত সমুদ্র তোর নদীর পাড়ে কাটাতে হয় তাকে। এ সময়টায় ঘরকন্না সামলান ত্রমিলা। অভিনেত্রীর একটি মেয়েও আছে। ছোটবেলায় প্রেম করে খুব কম বয়সেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেন অভিনেত্রী ত্রমিলা। বিদেশে পড়াশোনা করেছেন তিনি। সিরিয়াল ও সিরিজে কাজ করলেও সিনেমা থেকে কিছুটা দূরে রয়েছেন এই অভিনেত্রী। শনিবার ছিল তার জন্মদিন। খুব নিরালায় নিজের জন্মদিন কাটালেন ত্রমিলা। কলকাতার এক ফাইভ স্টার হোটেলে কেটেছে তার জন্মদিন। এ সময় তার স্বামী ছিলেন না সেখানে। মেয়েকে নিয়েই জন্মদিন উদযাপন করেছেন অভিনেত্রী। তার মেয়ে রশ্মিকা এখন অনেকটাই বড়। তাই মেয়ের সঙ্গে গড়ে উঠেছে তার বন্ধুত্ব। মেয়ের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণভাবেই কেটেছে অভিনেত্রীর এবারের জন্মদিন।
১৪ মে, ২০২৪

যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে নির্যাতন, কারাগারে স্বামী
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার নাচনমহল ইউনিয়নে যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় স্ত্রীকে রাতভর নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগে স্বামী আবদুল্লাহ ওরফে রানাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। সোমবার (১৩ মে) দুপুরে রানাকে ঝালকাঠি আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে রোববার রাতে ভুক্তভোগী ওই নারী নাসিমা বেগমের বড় ভাই আলাউদ্দিন হাওলাদার নলছিটি থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় রানাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জানা গেছে, উপজেলার নাচনমহল ইউনিয়নের কুড়ালিয়া গ্রামে গত শনিবার যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় স্ত্রীকে নির্যাতন চালায় রানা। গুরুতর আহত অবস্থায় রোববার সকালে পালিয়ে যায় নাসিমা বেগম। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় বিকেলে নাসিমাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। মামলা সূত্রে জানা যায়, ৭ বছর আগে নাচনমহল ইউনিয়নের দক্ষিণ ভবানীপুর গ্রামের তৈয়ব আলী হাওলাদারের প্রবাসী মেয়ে নাসিমা বেগমের সঙ্গে একই ইউনিয়নের কুড়ালিয়া গ্রামের আনোয়ার হাওলাদারের ছেলে রানার বিয়ে হয়। এর দুই বছর পর নাসিমা বেগম তার স্বামীকে প্রবাসে নিয়ে যায়। সেখান থেকে গতমাসের ১০ এপ্রিল ছুটিতে বাড়িতে বেড়াতে আসেন তারা। দেশে আসার পর নতুন ঘর নির্মাণের কথা বলে নাসিমার কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা নেন রানা। এরপর আবারও টাকা চাইলে নাসিমা টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে রানা ও তার পরিবারের লোকজন নাসিমাকে মারধর করেন এবং একটি কক্ষে আটকে রাখেন। নাসিমার ভাই আলাউদ্দিন বলেন, রানা আমার বোনকে প্রবাসে বসেও বিভিন্নভাবে অত্যাচার করেছে। টাকা-পয়সা নিয়ে যেত। দেশে এসেও একবার টাকা নিয়েছে জমি ও নতুন ঘর নির্মাণের কথা বলে। কিন্তু সেই টাকা দিয়ে সে কিছুই করেনি। এখন আমার বোনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কিছু টাকা আছে। সেই টাকা আত্মসাত করার জন্য আমার বোনের ওপর তারা অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে নলছিটি থানার ওসি মুরাদ আলী বলেন, এ ঘটনায় নাসিমার ভাই আলাউদ্দিন মামলা দায়ের করেছে। মামলা দায়েরের পরে অভিযুক্তকে আটক করে ঝালকাঠি আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
১৩ মে, ২০২৪

স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় স্বামী গ্রেপ্তার
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে আগুনে পুড়িয়ে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ দুই সন্তানের জননী খাদিজা আক্তার মিম (২২) হত্যার প্রধান আসামি স্বামী ইব্রাহিম খলিল প্রধানীয়াকে গ্রেপ্তার করেছে মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশ।  বৃহস্পতিবার (৯ মে) গোপন সংবাদের ভিক্তিতে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় যশোরের বেনাপোল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন মতলব দক্ষিণ থানাধীন এসআই মো. দেলোয়ার হোসেন ও সঙ্গীয় ফোর্স। এর আগে গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে গৃহবধূর স্বামী ও শাশুড়িকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গৃহবধূর শাশুড়ি জাহেদা খাতুনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়। মামলার প্রধান আসামি ইব্রাহীম খলিল এতদিন পলাতক ছিলেন। উল্লেখ্য, পারিবারিক কলহের জেরে খাদিজা আক্তার (মিম) নামের এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে তার স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে। গত ১১ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের দিন সকাল সাড়ে ৭টায় উপজেলার নায়েরগাঁও উত্তর ইউনিয়নের বকচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে ইব্রাহিম আরও দুটি বিয়ে করেছিলেন।  এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি আটকের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পরলে মিমের পরিবার ও এলাকাবাসীর মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।   এ ব্যাপারে মতলব দক্ষিণ থানার এসআই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিক্তিতে বেনাপোল এলাকা থেকে আসামিকে গ্রেপ্তার কার হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে চাঁদপুর আদালতে তাকে প্রেরণ করা হয়েছে।  মতলব দক্ষিণ থানার ওসি রিপন বালা বলেন, যশোরের বেনাপোল এলাকা থেকে হত্যা মামলার প্রধান আসামি ইব্রাহিম খলিলকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
১০ মে, ২০২৪

মেহেরপুরে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, স্বামী আটক
মেহেরপুর সদর উপজেলার গোভিপুর গ্রামে সালেহা খাতুন (৪০) নামের এক নারীকে ধারালো হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার স্বামী। নিহত সালেহা খাতুন ৩ সন্তানের জননী। এই ঘটনায় এলাকাবাসী ঘাতক স্বামী  এলাহি বক্সকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। শুক্রবার (১০ মে) সকালের দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলার গোভিপুর গ্রামের ভিটাপাড়া এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঘাতক এলাহি বক্স একই গ্রামের খোদা বাক্সের ছেলে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সকালে নিহত সালেহা খাতুন বাথরুমে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হলে তার স্বামী ধারালো হাঁসুয়া দিয়ে তাকে উপুর্যপুরি কোপাতে শুরু করেন। পরে সালেহার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেল চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে মেহেরপুর সদর থানার ওসি শেখ কনি মিয়া, ওসি তদন্ত মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাহ জামাল কালবেলাকে বলেন, ‘এলাহি বক্স একজন মানসিক রোগী। দিনের অধিকাংশ সময় সে রাস্তাঘাটে যত্রতত্র ঘোরাফেরা করে। কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে সে ব্যাপারে কেউ কিছু বলতে পারছেন না।’ মেহেরপুর সদর থানার ওসি শেখ কনি মিয়া বলেন, ‘নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এলাকাবাসী ঘাতক স্বামীকে পুলিশে দিয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
১০ মে, ২০২৪

স্ত্রীর নির্যাতন থেকে বাঁচতে ভিডিও নিয়ে থানায় স্বামী
স্বামীর হাতে স্ত্রী নির্যাতনের ঘটনা প্রায়ই শোনা যায়। তবে এবার সামনে এসেছে বিচিত্র ঘটনা। স্ত্রীর হাতে নির্যাতিত হয়েছেন স্বামী। কেবল তাই নয়, স্ত্রীর নির্যাতন থেকে বাঁচতে রীতিমতো পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই স্বামী। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্ত্রীর নির্যাতন থেকে মুক্তি পেতে পুলিশের হাতে সিসিক্যামেরার ফুটেজ দিয়েছেন স্বামী। সেখানে দেখা গেছে, স্বামীর হাত-পা বেঁধে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছ্যাকা দিচ্ছেন স্ত্রী।  চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের বিজনোর এলাকায়। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ভুক্তভোগী স্বামী বাগির সিসিটিভি পুলিশে দিয়ে অভিযোগ করেন। ফুটেজে স্ত্রীকে স্বামীর হাত-পা বেঁধে বুকের ওপর বসে শ্বাসরোধের চেষ্টাও করতে দেখা গেছে।  অভিযুক্ত ওই স্ত্রীর নাম মেহের জাহান। আর নির্যাতনের শিকার স্বামীর নাম মান্নান জাইদি। অভিযোগের পর পুলিশ ওই স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে।  পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার নির্যাতিত স্বামীর কাছ থেকে সেওহারা জেলা পুলিশ একটি অভিযোগ পায়। অভিযোগের ভিত্তিতে রোববার ওই মেহেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।  অভিযুক্তের স্বামীর অভিযোগ, গত ২৯ এপ্রিল মেহের দুধে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে তাকে পান করতে বাধ্য করেন। এরপর তার হাত-পা বেঁধে সিগারেট দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছ্যাকা দেন। এমনকি গোপনাঙ্গ কাটার চেষ্টা করেন তিনি।  সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ভুক্তভোগী স্বামী এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।  স্থানীয় পুলিশের এসপি ধরমপাল সিং জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করেছে এবং তাকে গ্রেপ্তার করেছে। এই বিষয়ে পরবর্তী কার্যক্রম চলছে। 
০৮ মে, ২০২৪

চিকিৎসার অর্থ নেই, আইসিইউ রুমে ঢুকে স্ত্রীকে হত্যা করলেন স্বামী
চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য এবং হাসপাতালের বিল দেওয়ার অর্থ না থাকায় নিজের স্ত্রীকে হত্যা করেছেন এক স্বামী। গত শুক্রবার (৩ মে) যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরির সেন্টারপয়েন্ট হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের কাছে ঐ ব্যক্তি নিজেই স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।  হাসপাতালের কর্মীরা পুলিশকে জানিয়েছে, ঐ ব্যক্তি নিজেই তার অসুস্থ স্ত্রীকে হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকা অবস্থায় শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এরপর তিনি “আমি তাকে হত্যা করেছি। আমি তার শ্বাসরোধ করেছি” বলে চিৎকার করতে থাকেন।  হাসপাতাল কর্মীরা আরও জানিয়েছে, ওই নারী আইসিইউতে ছিলেন এবং তার ডায়ালাইসিস চলছিল। পুলিশ ঐ ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনেছে এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, লোকটির নাম রনি উইগস। তিনি হাসপাতালের বেডে তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করেন। এছাড়া তার নাক ও মুখও চেপে ধরেন যেন তিনি চিৎকার করতে না পারেন। হাসপাতালের কর্মীদের ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং দেখে ওই নারীর নিথর দেহ পড়ে আছে। পরে তাকে লাইফ সাপোর্টে নিলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।  ওই স্বামী পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন, তিনি আর্থিক ও মানসিক দুরবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন। আর এ কারণে স্ত্রীকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন।  
০৭ মে, ২০২৪
X