হিজাব আইন না মানায় ইরানে ব্যাপক ধরপাকড়
আবার হিজাব নীতি নিয়ে কঠোর হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক পরাশক্তি ইরান। গেল ১৩ এপ্রিল থেকে ‘নুর’ নামের একটি নতুন ক্যাম্পেইন শুরু করে দেশটি। এরপরই থেকেই হিজাব আইন কার্যকরে কঠোর আচরণ শুরু করেছে ইরানের গাশত-ই-ইরশাদ তথা নীতি পুলিশ বাহিনী। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে।  ইরানের হিজাব আইনে নারীদের জনসম্মুখে আসার সময় সম্পূর্ণ মাথা আবৃত করে রাখার নিয়ম রয়েছে। যারা এই আইন ভঙ্গ করেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে থাকে দেশটির বিচার বিভাগ।  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যায়, হিজাব ছাড়া বাইরে বের হওয়া নারীদের নীতি পুলিশের সদস্যরা জোরপূর্বক গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। তেহরানের শহীদী বেহেস্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দিনা গালিবাফ নামের এক নারী শিক্ষার্থী মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে লেখেন, তাকে মেট্রোতে উঠতে বাধা দেওয়া হয়। যখন তিনি জোরাজুরি করেন তখন তাকে একটি রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে মারধর ও যৌন হেনস্তা করা হয় বলে দাবি করেন তিনি। এমন পোস্ট দেওয়ার একদিন পরই এই শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাকে ইভিন কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

ছাত্রীর হিজাব খুলতে বাধ্য করার অভিযোগ, শিক্ষক ওএসডি
মানিকগঞ্জে কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীর হিজাব খুলতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে গাইনি বিভাগের ওই সহকারী অধ্যাপক ডা. প্রতিমা রানী বিশ্বাসকে ওএসডি করা হয়েছে। এর আগে কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল।   স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ পারসোনাল-১ শাখার উপসচিব দূর-রে- শাহওয়াজ স্বাক্ষরিত এক পত্রে ওএসডির বিষয়টি জানা গেছে। শনিবার (১৬ মার্চ) এই আদেশ জারি করা হয়। ওই পত্রে বলা হয়, বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের কর্মকর্তা সহকারী অধ্যাপক ডা. প্রতিমা রানী বিশ্বাসকে ওএসডি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ন্যস্ত করা হয়েছে। তিনি আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগদান না করলে চতুর্থ কর্মদিবসে স্ট্যান্ড রিলিজ বলে গণ্য হবেন বলেও জানানো হয়। এ বিষয়ে মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. জাকির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, অভিযুক্ত সহকারী অধ্যাপক ডা. প্রতিমা রানী বিশ্বাস ওএসডির চিঠির বিষয়টি জেনেছেন।
১৭ মার্চ, ২০২৪

হিজাব খুলতে বাধ্য করার অভিযোগ রাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে
শ্রেণিকক্ষে ছাত্রীদের হিজাব-নিকাব খুলতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে হাফিজুর রহমান নামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। সোমবার (১১ মার্চ) দুপুর ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এ অভিযোগ করা হয়। এ ছাড়া কয়েকজনকে মেসেঞ্জারে ‘অপ্রীতিকর বার্তা’ পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। আগামী দুই দিনের মধ্যে দাবি আদায় না হলে বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে তীব্র আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষক হাফিজুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ’-এর ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘হিজাব আমার ব্যক্তি স্বাধীনতা’, ‘ব্যক্তি স্বাধীনতায় চলবে না কোনো না হস্তক্ষেপ’, ‘বাবার মতো শিক্ষকের এ কেমন আচরণ’, ‘ক্লাসে পর্দার অধিকার হরণকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই’, ‘শিক্ষক যদি এমন হয়, তাহলে আমাদের নিরাপত্তা কোথায়’, ‘নিকাব নিয়ে হয়রানি মানছি না মানব না’, ‘নিকাব নিয়ে আর নয় কোনো কটূক্তি’, ‘হিজাব, নিকাব, পর্দা আমার অহংকার-গর্ব’ ইত্যাদি লেখা সম্বলিত প্লেকার্ড প্রদর্শন করেন।  মানববন্ধনে অংশ নিয়ে ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী জানান, ক্লাসে গরম লাগার কারণে তিনি ছোট একটি কাগজ দিয়ে নিজেকে বাতাস করছিলেন। এ সময় ওই শিক্ষক তাকে দাঁড় করিয়ে বলেন, ‘এটা কি করছ, এটা তো খুবই দৃষ্টিকটু। এ রকম প্যাকেটের মতো পোশাক পরে আসলে তো গরম লাগবেই। তোমার গরম তোমার কাছেই রাখো।’ ওই শিক্ষার্থী আরও জানান, আরেক দিন তার এক বান্ধবী ক্লাসে জোরে উপস্থিতি দিলেও তিনি (শিক্ষক) না শোনার অজুহাত দিয়ে জোরপূর্বক নিকাব খুলিয়েছেন। এ ছাড়া আরেক বান্ধবীর নিকাব নিয়ে কটূক্তি করেছেন। ওই শিক্ষক শুধু নিকাব নিয়ে নয়, সাথে পুরো ইসলামের সংস্কৃতি নিয়ে কটূক্তি করেছেন। ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি। বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আজিজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের বান্ধবী, বড়বোন ও ছোটবোনদের পর্দার অধিকার নিয়ে কটূক্তি করার প্রতিবাদে আজকে রাস্তায় দাঁড়িয়েছি। আমরা ব্যক্তি স্বাধীনতায় বিশ্বাসী, আমাদের বোনদের হিজাব পরার ব্যক্তিস্বাধীনতা রয়েছে। এই হিজাব নিয়ে কটূক্তি করে ব্যক্তিস্বাধীনতা হরণ করা চলবে না।’ এ বিষয়ে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোহা. আশরাফ উজ জামান বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আমার কাছে অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আগামীকাল একাডেমিক কমিটির মিটিংয়ে আলোচনা করা হবে।’
১১ মার্চ, ২০২৪

হিজাব না পড়ায় ৯ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দিলেন শিক্ষিকা
মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখানের সৈয়দপুর আব্দুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজে হিজাব না পরায় রুনিয়া সরকার নামের এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ৯ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিদ্যালয় চলাকালীন সপ্তম শেণিকক্ষে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, সৈয়দপুর আব্দুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজে অন্যান্য দিনের মতো পাঠদান চলছিল। বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির কক্ষে  জীববিজ্ঞান ক্লাসে পাঠদান করাচ্ছিলেন বায়োলজির শিক্ষিকা রুনিয়া সরকার। এ সময় বিদ্যালয়ে হিজাব পরে না আসায় হঠাৎ তিনি ওই শ্রেণিকক্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থীর ওপর চড়াও হন। শিক্ষার্থীরা অনুনয়-বিনয় করেও শেষ পর্যন্ত তার হাত থেকে রক্ষা পায়নি। কাঁচি দিয়ে একে একে ৯ শিক্ষার্থীর চুল কেটে নেন রুনিয়া সরকার। এ ঘটনায় বিদ্যালয় বিমুখ হয়ে পড়েছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। নির্যাতিত শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।  শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বলছেন, আমাদের সন্তানরা যদি কোনো অন্যায় করত, তাহলে ওনি আমাদের বলতে পারত। কিংবা অন্যভাবে শাসন করত। কিন্তু চুল কেটে দিবে এটা তো হতে পারে না। আমরা এর ঘোর প্রতিবেদন জানাচ্ছি। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। সৈয়দপুর আব্দুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ গোলাম হোসেন বলেন, বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। গত রাতেই মোবাইলে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমি তাদের আশস্ত করি, সুষ্ঠু ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আমি ঢাকা থেকে এসে দেখি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। ওনাকে আমি ধন্যবাদ জানাই। সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাব্বির আহমেদ জানান, গতকালের ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আজ ম্যানেজিং কমিটির সঙ্গে সভা শেষে অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ছাত্রীর হিজাব কেটে দেওয়া শিক্ষকের বিচার দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন
ছাত্রীর হিজাব কেটে দেওয়ার অভিযোগে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন কুমিল্লা নগরীর কুচাইতলিতে অবস্থিত মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন কুমিল্লা নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল থেকে আন্দোলনে নামেন ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। তারা শিক্ষক বয়কট বিচারের দাবি জানিয়ে প্লে কার্ড নিয়ে ইনস্টিটিউটের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এর আগে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ইনস্টিটিউটের ছয় শিক্ষককে কক্ষে আটকে রেখে বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেন। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, মঙ্গলবার কুমিল্লা নার্সিং ইনস্টিটিউটের ২য় বর্ষের এক ছাত্রীর হিজাব কেটে দেন ইনস্টিটিউটেরই এক শিক্ষক। রাতে এ খবর জানার পর তারা বুধবার সকাল থেকে ওই শিক্ষক ও তার সাথে জড়িতদের ইনস্টিটিউট থেকে বহিষ্কার ও বিচারের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন। কুমিল্লা নার্সিং ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ আকবরী খানম এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো বক্তব্য দেননি।
২৪ জানুয়ারি, ২০২৪

যুক্তরাজ্যে রাস্তায় হিজাব পরিহিত নারীর ওপর হামলা
যুক্তরাজ্যে প্রকাশ্য দিবালোকে হিজাব পরিহিত এক নারীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ারের ডেসবারির একটি রাস্তায় এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। ওই হামলার ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। খবর এনডিটিভির। ভিডিওতে দেখা গেছে, হুডিতে মাথাঢাকা এক ব্যক্তি দিনের আলোতে হিজাব পরিহিতা এক মুসলিম নারীকে আক্রমণ করছেন। হিজাব পরা ওই নারী যুক্তরাজ্যের ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ারের ডেসবারির একটি রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। ঠিক তখনি একজন হুডিধারী ব্যক্তি আচমকাই তার ওপরে চড়াও হয়। রীতিমতো কংক্রিট স্ল্যাব দিয়ে আঘাত করতে যায় তার মাথায়। সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে সরে যান ওই নারী।  একজন এক্স ব্যবহারকারী ভিডিওটি শেয়ার করে লিখেছেন, ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ারের ডেসবারিতে একজন শ্বেতাঙ্গ পুরুষ  হিজাব-পরা এক মুসলিম নারীর মাথায় কংক্রিট স্ল্যাব দিয়ে আঘাত করতে যাচ্ছেন- এটি সত্যিই ভয়ংকর ঘটনা। ওই নারীর স্বামী ঈদ করিমি দ্য ইন্ডিপেনডেন্টকে বলেন, আমি খাবার আনতে ভিতরে গিয়েছিলাম এবং আমার স্ত্রী বৃষ্টির মধ্যে ছাতা মাথায় দিয়ে বাইরে অপেক্ষা করছিল। হঠাৎ দেখলাম চারপাশে লোকজন জড়ো হচ্ছেন। আর ওই সময় একজন দৌড়াচ্ছেন এবং তিনি চিৎকার করে বলতে থাকেন পুলিশকে ডাকবেন না, আমি আর করব না। পুলিশ আসার আগ পর্যন্ত  আমরা তাকে আটকে রেখেছিলাম। করিমি আরও জানান, আমার স্ত্রী মাথায় আঘাত না পেলেও ঘটনার রেশ থেকে এখনো বের হয়ে আসতে পারেননি। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি দেখে হতবাক হয়েছেন।  ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ার পুলিশের একজন মুখপাত্র বলেন, আমরা এই ভিডিওটি সম্পর্কে সচেতন। বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করতে চাই, এই ধরনের ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হবে। অপরাধের সাথে জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।  
২৭ অক্টোবর, ২০২৩

অলিম্পিকেও হিজাব পরতে পারবে না ফরাসি নারীরা
ফ্রান্সে দীর্ঘদিন ধরেই হিজাব নিয়ে বিতর্ক চলছে। আর গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের পরবর্তী আসর হবে সেই ফ্রান্সের প্যারিসে। এমন পরিস্থিতিতে ফ্রান্স সরকার জানিয়েছে, তাদের দেশের খেলোয়াড়রা হিজাব পরে খেলায় অংশ নিতে পারবে না। যদিও আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) জানিয়েছে, ফরাসি সরকার হিজাব নিষিদ্ধ করলেও অন্য দেশের নারী ক্রীড়াবিদরা চাইলে হিজাব পরেই খেলায় অংশ নিতে পারবেন। ফরাসি ক্রীড়ামন্ত্রী অ্যামেলি ওউদিয়া-কাস্তেরা বলেছেন, ফ্রান্স ধর্মনিরপেক্ষতার নীতিকে সম্মান জানায়। এ জন্য তাদের দেশের খেলোয়াড়রা হিজাব পরে খেলায় অংশ নিতে পারবে না। তবে তাদের এই নিয়মের সমালোচনা করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা। ফ্রান্স সরকারের এমন অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে আইওসি জানিয়েছে, ফরাসি সরকারের এই নিয়ম ২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিকে অংশ নেওয়া অন্য দেশের খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। তারা চাইলে অলিম্পিক ভিলেজের ভেতরে হিজাব পরতে পারবেন। আইওসির এক মুখপাত্র বলেন, অলিম্পিক ভিলেজে আইওসির নিয়ম বহাল থাকবে। হিজাব বা অন্য যে কোনো ধর্ম ও সংস্কৃতির পোশাক পরার ওপর কোনো বিধিনিষেধ নেই। তিনি বলেন, প্রতিযোগিতায় সংশ্লিষ্ট ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশনের নির্ধারিত নিয়মকানুন প্রযোজ্য হয়। ফ্রান্সের নিয়ম শুধু তাদের খেলোয়াড়দের জন্য। আমরা এ বিষয়ে আরও পরিষ্কার ধারণা পেতে ফরাসি অলিম্পিক কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করছি।
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

প্যারিসে অলিম্পিক ভিলেজে হিজাব পরতে পারবেন নারী ক্রীড়াবিদরা
২০২৪ সালে ফ্রান্সের প্যারিসে অনুষ্ঠিত হবে ৩৩তম গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের পরবর্তী আসর। এই আসরে অংশগ্রহণকারী ক্রীড়াবিদদের অলিম্পিক ভিলেজে হিজাব বা হেড স্কার্ফ পরার অনুমতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি)। শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) একটি বিবৃতি দিয়ে ক্রীড়াবিদদের অলিম্পিক ভিলেজে হিজাব পরিধানের ওপর বিধিনিষেধ সরিয়ে দিয়েছে। তবে ফরাসি ক্রীড়াবিদরা তাদের দেশের ক্রীড়া ফেডারেশনের নিয়ম অনুযায়ী অলিম্পিক গেমসের সময় হিজাব পরিধান করতে পারবেন না। ফ্রান্স সরকার জানিয়েছে, আগামী বছর অনুষ্ঠেয় অলিম্পিকে ফ্রান্সের হয়ে যে নারী খেলোয়াড়রা অংশগ্রহণ করবেন, তারা কেউ হিজাব পরতে পারবেন না। হিজাব প্রসঙ্গে ফ্রান্সের ক্রীড়ামন্ত্রী অ্যামেলি ওদেয়া-কারতেরা বলেন, ধর্মনিরপেক্ষতার নীতিকে সম্মান করার জন্য প্যারিস গেমসের সময় দেশটির ক্রীড়াবিদদের হিজাব পরতে নিষেধ করা হবে। তবে অলিম্পিকে হিজাব পরিধানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আইওসি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ফ্রান্স সরকারের এই নিয়ম প্যারিস অলিম্পিকে অংশ নেওয়া অন্যান্য দেশের নারী খেলোয়াড়দের জন্য বহাল থাকবে না। অর্থাৎ তারা চাইলে অলিম্পিক ভিলেজে হিজাব পরতে পারবেন। এ বিষয়ে আইওসির একজন মুখপাত্র বলেন, হিজাব বা অন্য কোনো ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক পোশাক পরার ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। এদিকে অলিম্পিকে অংশ নেওয়া নারী খেলোয়াড়দের হিজাব পরতে বাধা দেওয়ায় ফরাসি সরকারের নীতির কঠোর সমালোচনা করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর।  
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

ইংল্যান্ডে হিজাব উদ্বুদ্ধকরণে অনন্য ভাস্কর্য
ইংল্যান্ডের সড়কে দেখা স্থাপন করা হতে যাচ্ছে হিজাব উদ্বুদ্ধকরণে এক অনন্য ভাস্কর্য। ওয়েস্ট মিডল্যান্ডসের কেন্দ্রস্থলে স্মেথউইকের রাস্তায় এ ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হবে। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্ট্রেংথ অফ দ্য হিজাব’। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ভাস্কর্যটি একটি মাস্টারপিস। বিশ্বের হিজাব উদ্বুদ্ধকরণে এটিই প্রথম কোনো ভাস্কর্য। এটি হিজাব পরিধানকারী মহিলাদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং পছন্দের পোশাক নির্বাচনে সবার প্রতি ভালোবাসা এবং সম্মানের অধিকারের প্রতীক হিসেবে চিত্রায়িত হবে।  অনন্য এ ভাস্কর্যটি ডিজাইন করেছেন লুক পেরি নামের এক চিত্রশিল্পী। এ ভাস্কর্যটি পাঁচ মিটার লস্বা ও এক টনের মতো ওজন হতে পারে। এটিকে বিভিন্ন শিলালিপি দিয়ে সাজানো হয়েছে। এর এসব শিলালিপি ও আর্টওয়ার্কের মূল বার্তা হলো একজন নারীর অধিকার হলো- সে যা পরতে পছন্দ করে তাতেই তাকে ভালোবাসা ও সম্মান করা।   আগামী অক্টোবর বা নভেম্বরে এ ভাস্কর্যটি ব্রাসহাউস লেনে স্থাপন করা হতে পারে। এ বিশাল উদ্যোগটি নিয়েছে ওয়েস্ট মিডল্যান্ড লিগেসি। বার্মিংহামে যুদ্ধ-পরবর্তী অভিবাসী কমিউনিটির ঐতিহ্য উদযাপনে একটি চ্যারিটি ফার্ম এ উদ্যোগটি নিয়েছে।  লুকা পেরি বিবিসিকে জানান, স্ট্রেংথ অফ দ্য হিজাব মূলত ইসলামের ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী নারীদের হিজার পরিধানকে প্রতিনিধিত্ব করবে। এ ছাড়া এটি আমাদের সামজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশকেও প্রতিনিধিত্ব করবে। এ সময় তিনি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি ও বাস্তবিক অবস্থাও তুলে ধরেন।  এর আগে পেরি কানান ব্রাউন নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে ‘ব্ল্যাক ব্রিটিশ হিস্ট্রি ইজ ব্রিটিশ হিস্ট্রি’ নামের একটি ভাস্কর্য নিয়ে কাজ করেছিলেন। এটি মে মাসে উইনসন গ্রিনে স্থাপন করা হয়েছিল। যদিও পরে এটি বিকৃতির মুখে পড়েছিল।  এই প্রকল্পটি পেরির পূর্বের কাজ অনুসরণ করে, ‘ব্ল্যাক ব্রিটিশ হিস্ট্রি ইজ ব্রিটিশ হিস্ট্রি’ ভাস্কর্য, যা তিনি কানান ব্রাউনের সাথে সহপরিকল্পিত করেছিলেন এবং এটি মে মাসে উইনসন গ্রিনে ইনস্টল করা হয়েছিল। দুর্ভাগ্যবশত, এই টুকরোটি ইনস্টলেশনের পরপরই বিকৃতির সম্মুখীন হয়েছিল।
২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

ইরানে হিজাব ছাড়া রাস্তায় বের হলেই ১০ বছরের জেল
ইরানে নারীদের ইসলামি পোশাক পরা নিশ্চিত করতে আরও কঠোর শাস্তির বিধান রেখে সংসদে বিল পাস করেছেন দেশটির আইনপ্রণেতারা। আজ বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) এ সম্পর্কিত একটি বিল তিন বছরের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে অনুমোদন দিয়েছে ইরানি সংসদ। তবে এ বিলটি এখনো আইনে পরিণত হয়নি। আইনে পরিণত হতে হলে দেশের গার্ডিয়ান কাউন্সিলের অনুমোদন প্রয়োজন হবে বলে জানিয়েছে ইরানি বার্তা সংস্থা ইরনা। গত বছর বড় ধরনের হিজাববিরোধী বিক্ষোভের পর থেকে ইরানে নারীরা ঠিকঠাক মতো ইসলামি পোশাক নীতি মেনে চলছে না। নারীদের এ প্রবণতা দমন করতেই কঠোর আইন পাস করতে চলেছে ইরান। খসড়া আইন অনুযায়ী, বিদেশি বা শত্রু দেশের সরকার, গণমাধ্যম, গোষ্ঠী কিংবা সংস্থার প্ররোচনায় কেই হেডস্কার্ফ বা যথাযথ পোশাক না পরলে পাঁচ থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর থেকেই ইরানে নারীদের হিজাব পরা বাধ্যতামূলক। সরকারের এ নীতি বাস্তবায়নে সম্প্রতি টহল জোরদার করেছে পুলিশ। জনপরিসরে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এমনকি এ নীতি না মানা ও নজরদারি না করায় বেশকিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।   উল্লেখ্য, হিজাব ঠিকমতো না পরার কারণে মাশা আমিনি নামে ওই তরুণীকে গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করে দেশটির নৈতিকতা পুলিশ। পরে পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় ১৬ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। পুলিশের নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠার পর সারা দেশে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ আন্দোলনে সংহতি জানালে একপর্যায়ে তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে পাঁচ শতাধিক বিক্ষোভকারী নিহত হয়। গ্রেপ্তার করা হয় কয়েক হাজার নারী-পুরুষ ও শিশুকে।  
২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X