মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখানের সৈয়দপুর আব্দুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজে হিজাব না পরায় রুনিয়া সরকার নামের এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ৯ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিদ্যালয় চলাকালীন সপ্তম শেণিকক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সৈয়দপুর আব্দুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজে অন্যান্য দিনের মতো পাঠদান চলছিল। বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির কক্ষে জীববিজ্ঞান ক্লাসে পাঠদান করাচ্ছিলেন বায়োলজির শিক্ষিকা রুনিয়া সরকার। এ সময় বিদ্যালয়ে হিজাব পরে না আসায় হঠাৎ তিনি ওই শ্রেণিকক্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থীর ওপর চড়াও হন। শিক্ষার্থীরা অনুনয়-বিনয় করেও শেষ পর্যন্ত তার হাত থেকে রক্ষা পায়নি। কাঁচি দিয়ে একে একে ৯ শিক্ষার্থীর চুল কেটে নেন রুনিয়া সরকার।
এ ঘটনায় বিদ্যালয় বিমুখ হয়ে পড়েছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। নির্যাতিত শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বলছেন, আমাদের সন্তানরা যদি কোনো অন্যায় করত, তাহলে ওনি আমাদের বলতে পারত। কিংবা অন্যভাবে শাসন করত। কিন্তু চুল কেটে দিবে এটা তো হতে পারে না। আমরা এর ঘোর প্রতিবেদন জানাচ্ছি। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
সৈয়দপুর আব্দুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ গোলাম হোসেন বলেন, বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। গত রাতেই মোবাইলে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমি তাদের আশস্ত করি, সুষ্ঠু ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আমি ঢাকা থেকে এসে দেখি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। ওনাকে আমি ধন্যবাদ জানাই।
সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাব্বির আহমেদ জানান, গতকালের ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আজ ম্যানেজিং কমিটির সঙ্গে সভা শেষে অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন