বাংলাদেশের বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে দারুণ উন্নতি করেছেন পাকিস্তানি ব্যাটার মোহাম্মদ হারিস। লাহোরে অনুষ্ঠিত তিন ম্যাচের সিরিজে অসাধারণ ব্যাটিং করে আইসিসির হালনাগাদ র্যাঙ্কিংয়ে ২১০ ধাপ এগিয়ে ব্যাটারদের তালিকায় উঠে এসেছেন ৩০ নম্বরে। তাঁর মোট রেটিং পয়েন্ট এখন ৫৮০।
বিশেষ করে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে মাত্র ৪৬ বলে অপরাজিত ১০৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে একাই আলো ছড়ান হারিস। ৮টি চার ও ৭টি ছক্কায় সাজানো সেই ইনিংসই তাঁকে এনে দেয় ম্যাচসেরা ও সিরিজসেরা—উভয় পুরস্কার। পুরো সিরিজে তিনি ২০১.১২ স্ট্রাইক রেটে করেন সর্বোচ্চ ১৭৯ রান।
হারিসের মতো র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করেছেন তার সতীর্থরাও। হাসান নাওয়াজ তিন ম্যাচে ১২১ রান করে ব্যাটারদের তালিকায় ৫৭ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন ৪৫ নম্বরে, যেখানে তিনি অবস্থান করছেন নিউজিল্যান্ডের মার্ক চ্যাপম্যানের সঙ্গে যৌথভাবে (রেটিং পয়েন্ট ৫৪০)। দলের অধিনায়ক সালমান আলী আঘাও পিছিয়ে নেই—৪২ ধাপ এগিয়ে এখন তার অবস্থান ৭৫ নম্বরে।
বোলারদের দিকেও নজর কাড়ছেন আব্বাস আফ্রিদি। বিশেষ করে ডেথ ওভারে বাংলাদেশের বিপক্ষে কার্যকর বোলিংয়ের কারণে তিনি বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে ১৮ ধাপ এগিয়ে এখন ১৯ নম্বরে। তার সঙ্গে একই স্থানে অবস্থান করছেন দক্ষিণ আফ্রিকার নরকিয়া ও পাকিস্তানের রউফ (রেটিং পয়েন্ট ৬০৫)।
অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়েও উন্নতি দেখা গেছে শাদাব খানের। তিনি ১০ ধাপ এগিয়ে এখন ১৪ নম্বরে অবস্থান করছেন।
এদিকে, বাংলাদেশের তরুণ ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমও সিরিজে দারুণ খেলেছেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচে গড় ৩৫.৩৩ এবং স্ট্রাইক রেট ১৫৫.৮৮—এই পারফরম্যান্সের ফল হিসেবে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে ২৮ ধাপ এগিয়ে এখন রয়েছেন ৫৩ নম্বরে।
র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ তালিকায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন না হলেও নতুন মুখদের উত্থান টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের প্রতিযোগিতামূলক রূপ আরও স্পষ্ট করছে। ট্রাভিস হেড (৮৫৬), অভিষেক শর্মা (৮২৯), ও ফিল সল্ট (৮১৬) যথারীতি ব্যাটারদের শীর্ষ তিনে রয়েছেন। অলরাউন্ডারদের শীর্ষে এখনো হার্দিক পান্ডিয়া (২৫২), এবং বোলারদের মধ্যে শীর্ষস্থানে আছেন নিউজিল্যান্ডের জ্যাকব ডাফি (৭২৩)।
সব মিলিয়ে, বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তানের দাপুটে পারফরম্যান্স র্যাঙ্কিংয়েও স্পষ্ট প্রতিফলন ফেলেছে—বিশেষ করে মোহাম্মদ হারিসের রূপকথার মতো উত্থান নজর কেড়েছে ক্রিকেট দুনিয়ার।
মন্তব্য করুন