চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আগমণ হয়েছিল ইংল্যান্ডের। তবে ইংলিশরা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের মতো না খেলে খেলেছে সাধারণদের মতো। যার ফলে একসময় মনে হচ্ছিল এবারের আসরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিতে হবে বাটলারদের৷
তবে ভাগ্য এবং অজিদের সাহায্য নিয়ে সুপার এইটে এসেই সসম্পূর্ণ অন্য রূপে তারা। স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সুপার এইট শুরু করা বাটলার-সাল্টদের সামনে ছিল এবারের আসরে কোন ম্যাচ না হারা দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়াদেরও অবশ্য অতো বেশি রান করতে দেয়নি ইংলিশ বোলাররা। নাগালের মধ্যেই রেখেছে মিলার-ডি ককদের।
শুক্রবার (২১ জুন) সেন্ট লুসিয়ায় টস জিতে প্রোটিয়াদের আগে ব্যাটিং করতে পাঠায় ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার। সেখানে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়াদের পক্ষে কুইন্টন ডি কক ৬৫ ও ডেভিড মিলার করেন ৪৩ রান। ইংলিশদের পক্ষে জোফরা আর্চার নেন ৩ উইকেট।
সেইন্ট লুসিয়ার এই মাঠেই সুপার এইটে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেয়া ১৮১ রানের টার্গেট ১৫ বল হাতে রেখে পেরিয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। একই কারণে আজকের ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত বাটলারের।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর প্রোটিয়াদের হারালে সেমিফাইনাল একপ্রকার নিশ্চিত হবে বাটলারদের। একই সুযোগ রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনেও। নিজেদের প্রথম ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রকে ১৮ রানে হারায় তারা।
এদিন টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেই অবশ্য ইংলিশ বোলারদের ওপর চড়াও হন প্রোটিয়া ওপেনার ডি কক। প্রতিপক্ষের বোলারদের কচুকাটা করে পাওয়ার প্লেতেই দলকে এনে দেন ৬৩ রান। ২২ বলেই পৌঁছে যান ফিফটির মাইলফলকে।
ডি কক মারকুটে ব্যাটিং করলেও মন্থর ব্যাটিং উপহার দেন আরেক ওপেনার রেজা হেনড্রিক্স। ২৫ বলে ১৯ রান করে মঈন আলীর হাতে উইকেট দিয়ে আসেন তিনি।
দুই ওভার পর ৩৮ বলে ৬৫ রান করে আর্চারের বলে বিদায় নেন ডি ককও। হেনরিখ ক্লাসেনকে (৮) রানআউট করে সাজঘরে ফেরান বাটলার। এরপর ইংলিশ বোলারদের তোপের মুখে আর তেমন কেউ দাঁড়াতে পারেনি। ফলে শুরুতে দুইশর বার্তা দিলেও ১৬৩ রানেই সেটি থামে। অবশ্য শেষে ডেভিড মিলারের ঝড়ো ৪৩ রান প্রোটিয়াদের এই সংগ্রহ এনে দেয়।
ইংল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন আর্চার। তবে বেশ খরুচে ছিলেন তিনি ৪ ওভার বল করে মাত্র ৪০ রান দেন তিনি। মঈন আলী ও আদিল রশিদ পেয়েছেন একটি করে উইকেট।
মন্তব্য করুন