নামে যেমন হাইভোল্টেজ, মাঠেও তেমনই লড়াই। ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার (১০ জুন) সন্ধ্যায় শুরু হওয়া বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচের প্রথমার্ধে দেখা গেল জমজমাট লড়াই। কিন্তু শেষ দিকে গোল হজম করে ০-১ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে গেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।
প্রথম মিনিট থেকেই দুই দলই আক্রমণ-প্রতি আক্রমণের খেলায় মেতে ওঠে। একপ্রান্ত থেকে আরেকপ্রান্তে বল চলাচলে জমে ওঠে ম্যাচ। নবম মিনিটে সিঙ্গাপুরের জর্ডান এমাভিয়ের হেড বিপজ্জনক ছিল, তবে সেটা ঠেকাতে সক্ষম হন বাংলাদেশের রক্ষণের খেলোয়াড়রা। পাল্টা আক্রমণে ১৫ মিনিটে রাকিব হোসেন পেয়েছিলেন দারুণ সুযোগ, কিন্তু শাকিল আহাদের ডান দিকের ক্রসে ঠিকমতো সংযোগ করতে না পারায় হতাশ হতে হয় স্বাগতিক শিবিরকে।
সেই মুহূর্তেই প্রতি আক্রমণে উঠে আসে সিঙ্গাপুর। ইখমান ফান্দির নেওয়া হেড আবারও বাংলাদেশের জালে পৌঁছাতে পারেনি। এরপর ১৭ মিনিটে অভিষিক্ত সামিত শোম দেখান নিজের উপস্থিতির জানান। বাম প্রান্ত দিয়ে দুর্দান্ত ড্রিবলিং করে প্রতিপক্ষ বক্সে ঢুকে যান তিনি। দুর্দান্ত এক ক্রস বাড়ালেও তা রিসিভ করার কেউ ছিলেন না।
২০ মিনিটে সিঙ্গাপুরের বড় সুযোগটি প্রতিহত করেন তারিক কাজী। ডান দিক থেকে আসা জোরালো শট নিজের শরীর দিয়ে ঠেকান তিনি, আর রিবাউন্ড থেকে নেওয়া শটে ইখমান বল মারেন বাইরের জালে। ৩১ মিনিটে ওয়ান-টু ওয়ানে ইখমানের শট দুর্দান্ত সেভ করেন গোলরক্ষক মিতুল মারমা। তখনো সমর্থকদের কণ্ঠে ছিল আশার সুর।
বাংলাদেশ মাঝমাঠে ফিরে পায় ছন্দ। ৩৫ মিনিটে বক্সের ঠিক বাইরে থেকে ফাহামিদুলকে ফাউল করায় ফ্রি-কিক পায় স্বাগতিকরা। সেটপিস থেকে হামজা চৌধুরীর নেওয়া শট অল্পের জন্য গোলপোস্টের ওপর দিয়ে চলে যায়।
৪৫ মিনিটে গ্যালারির কুড়ি হাজার দর্শক হঠাৎ চুপসে যায়। বক্সের মধ্যে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে ব্যস্ততায় পড়ে যান মিতুল। সুযোগ বুঝে বল পেয়ে যান হারিস স্টুয়ার্ট। তার মাইনাস পাস থেকে সং উইইয়ং ঠান্ডা মাথায় বল পাঠিয়ে দেন বাংলাদেশের জালে। হামজা চৌধুরী শেষ মুহূর্তে বাধা দিতে ছুটে এলেও তা আর রুখে দেওয়া যায়নি।
যোগ করা সময়ে সমতায় ফেরার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। সামিতের কর্নার থেকে টপু বর্মনের হেড পোস্টের একটু বাইরে দিয়ে চলে যায়, আর তাই হতাশাই সঙ্গী হয় প্রথমার্ধ শেষে।
দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় তাকিয়ে আছে ফুটবলপ্রেমীরা। ম্যাচে ফেরা এখন বাংলাদেশের বড় চ্যালেঞ্জ।
মন্তব্য করুন