বিচিত্র প্রাণী প্লাটিপাস। ডিম পেড়ে বাচ্চা ফোটালেও এরা আবার স্তন্যপায়ী। এদের ত্বক থেকেই এক ধরনের দুধজাতীয় তরল নিঃসৃত হয়। তবে সবচেয়ে বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, প্লাটিপাসের কোনো পাকস্থলী নেই। বিজ্ঞানীরা এখনো বিবর্তনের এ খেয়ালের রহস্য ধরতে পারেননি। তবে কেউ বলছেন, প্লাটিপাসের শরীরে হজমে সহায়ক রস পেপসিনোজেন তৈরির জিনটি নেই। তাদের এটি দরকার হয় না বলেই পাকস্থলী গড়ে ওঠেনি।
আক্রমণের শিকার হলে অনেক প্রাণীই নিজেকে বাঁচাতে বিচিত্র সব কাণ্ড ঘটায়। এর মধ্যে সি কিউকামবারের আচরণ দেখলে চোখ কপালে উঠবেই। হামলার শিকার হয়েছে বুঝতে পারলেই সব বের করে দেয়। আর এ কাজটা সামনে ও পেছনে দুদিক দিয়েই ঘটাতে পারে সি কিউকামবার ওরফে সামুদ্রিক শসা। ঘটনা দেখে প্রতিপক্ষ যখন মাথা চুলকায়, তখনই পালায় কিউকামবার। তবে নাড়িভুঁড়ি সব বের করলেও প্রাণীটি মরে যায় না। ওই অবস্থায় তারা তাদের শ্বাসযন্ত্র দিয়েই ক্ষুদ্রাকৃতির জৈবকণা শরীরে ঢোকায় ও বেঁচে থাকে। পরে ধীরে ধীরে ভেতরে তৈরি হতে থাকে নতুন পরিপাকতন্ত্র।
আস্ত ইঁদুর গিলে খায় বার্ন নামে এক জাতের পেঁচা। এমনকি তাদের ছানারাও গিলে ফেলে ছোটখাটো ইঁদুর ছানা। এরপর শিকারের পশম ও হাড়গোড় পরিষ্কারের কাজটা করে তাদের পাকস্থলী। শিকারের সব পুষ্টি শোষণ করার পর বার্ন আউলের পেটে তৈরি হয় আবর্জনার একটি বল। পরে তারা সেটা উগরে দেয়।
মন্তব্য করুন