ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর আপত্তি এবং হামাসের হাতে জিম্মিদের জীবনের ঝুঁকি সত্ত্বেও গাজা উপত্যকা পুরোপুরি দখলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।
ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি সপ্তাহের মন্ত্রিসভায় গাজা উপত্যকা পুরোপুরি দখলের অনুমোদন চাইবেন নেতানিয়াহু। যদিও নেতানিয়াহুর এই পরিকল্পনায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর অভ্যন্তরে স্পষ্ট আপত্তি রয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি মন্ত্রী জানিয়েছেন, নেতানিয়াহু ব্যক্তিগত আলোচনায় গাজা দখল শব্দটি ব্যবহার করেছেন, যা গাজায় সেনা অভিযান আরও জোরদার করার ইঙ্গিত দিচ্ছে। গাজা বিষয়ে এই অবস্থান আগে থেকে আরও কঠোর বলে মনে করা হচ্ছে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেট প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে গেছে। আমরা গাজা পুরোপুরি দখল করতে যাচ্ছি।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, জিম্মিদের যেসব এলাকায় আটকে রাখা হয়েছে, সেখানেও অভিযান চালানো হবে। যদি সেনাপ্রধান এতে সম্মতি না দেন, তাহলে তাকে পদত্যাগ করা উচিত। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, আইডিএফ প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল এয়াল জামির পুরো গাজা দখল পরিকল্পনার বিরোধিতা করছেন। বর্তমানে আইডিএফ গাজার প্রায় ৭৫ শতাংশ অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, বাকি এলাকাগুলোও দখলের মাধ্যমে গোটা গাজা উপত্যকা ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণে আনা হবে।
গাজার লাখো বেসামরিক নাগরিক ও সেখানে কর্মরত মানবিক সংস্থাগুলোর জন্য ইসরায়েলের এই পদক্ষেপ কী পরিণতি ডেকে আনবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
আইডিএফ জানিয়েছে, হামাসের বিস্তৃত অবকাঠামো থাকার কারণে গাজা পুরোপুরি দখল করতে বহু বছর সময় লাগতে পারে। পাশাপাশি, সেনা অভিযান জিম্মিদের সরাসরি মৃত্যুঝুঁকিতে ফেলতে পারে বলেও সেনাবাহিনীর আশঙ্কা।
সোমবার নেতানিয়াহু বলেন, মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকে সেনাবাহিনীকে গাজা যুদ্ধ নিয়ে পরবর্তী করণীয় জানাবেন তিনি। তবে কেউ কেউ মনে করছেন, জিম্মি মুক্তির আলোচনা এগিয়ে নেওয়ার জন্য, সেনাবাহিনীকে আপাতত অপেক্ষা করতে বলতেও পারেন নেতানিয়াহু।
মন্তব্য করুন