গাজায় ওষুধ ও খাদ্য সরবরাহের উদ্দেশে যাত্রা করা সুমুদ ফ্লোটিলার একটি জাহাজকে আটক করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। নৌবহরে অবস্থানরত মিশনের আয়োজকরা এ দাবি করেছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বুধবার (১ অক্টোবর) রাতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার যুদ্ধবিধ্বস্ত উপকূলীয় এলাকায় পৌঁছানোর আগেই নৌবহরের ওপর অভিযান চালানো হয়।
নৌবহরের আরোহীরা জানান, প্রায় ২০টি অজ্ঞাত জলযানকে তাদের দিকে এগিয়ে আসতে দেখা যায়। এ সময় যাত্রীরা লাইফ জ্যাকেট পরিধান করে সম্ভাব্য দখলের জন্য প্রস্তুতি নেন।
নৌবহরটির আয়োজকেরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) একটি পোস্টে বলেন, ‘আমাদের জাহাজগুলোকে অবৈধভাবে আটকানো হয়েছে। ক্যামেরাগুলো এখন বন্ধ এবং জাহাজগুলোতে সামরিক সদস্যরা প্রবেশ করেছে। আমরা জাহাজে থাকা যাত্রীদের নিরাপত্তা ও বর্তমান অবস্থা নিশ্চিত করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করছি।’
এদিকে জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি ফ্রানচেসকা আলবানিজ এবং কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো ফ্লোটিলাকে কোনোরকম ক্ষতিগ্রস্ত না করে তাদের নির্বিঘ্নে এগিয়ে যেতে দিতে ইসরায়েলকে আহ্বান জানিয়েছেন।
কিন্তু সেই আহ্বানে সাড়া না ফিয়ে ইসরায়েল শপথ করেছে যে, তারা গাজাগামী এই ফ্লোটিলা থামাবে, কারণ তাদের দাবি অনুযায়ী স্বেচ্ছাসেবকরা ‘একটি বৈধ নৌ অবরোধ লঙ্ঘনের’ চেষ্টা করছে।
ইসরায়েলি নৌবাহিনী নৌবহরের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের পথ পরিবর্তনের নির্দেশ দিয়েছে।
এক বিবৃতিতে ইসরায়েল দাবি করেছে, নৌবহরটি একটি সক্রিয় যুদ্ধক্ষেত্রের দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং একটি ‘বৈধ নৌ অবরোধ’ ভঙ্গ করছে।
এদিকে নৌবহরে ইসরায়েলি সেনারা সহিংসতা চালাবে না বলে জানিয়েছেন ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তায়ানি। তিনি জানান, এ বিষয়ে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সাআরের সঙ্গে কথা বলেছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তায়ানি বলেন, আমরা সাআরের সঙ্গে কথা বলেছি, যেন তেলআবিবের সশস্ত্র বাহিনী কোনো ধরনের সহিংস পদক্ষেপ না নেয়। এ বিষয়ে আমাকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন