গাজাগামী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ এ মুহূর্তে ‘উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল’ বলে বিবেচিত এলাকায় প্রবেশ করেছে। অঞ্চলটি গাজা উপকূল থেকে ১৫০ নটিক্যাল মাইল (২৭৮ কিমি) দূরে, যেখানে আগের ফ্লোটিলাগুলোকেও ইসরায়েলি বাহিনী থামিয়ে দিয়েছিল।
নৌবহরের যাত্রীরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি জাহাজগুলো কাছে এসে তাদের থামিয়ে দিয়েছে।
আল জাজিরার সাংবাদিক নিদা ইব্রাহিম জানান, সুমুদ ফ্লোটিলার চারপাশ ঘিরে রেখেছে ইসরায়েলি যুদ্ধজাহাজ। ফ্লোটিলায় ৪৫টিরও বেশি জাহাজ রয়েছে।
গাজার কাছাকাছি পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে সুমুদ ফ্লোটিলা জাহাজগুলো নিরাপত্তার স্বার্থে সরাসরি ভিডিও সম্প্রচার শুরু করেছে।
এদিকে জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি ফ্রানচেসকা আলবানিজ এবং কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো ফ্লোটিলাকে কোনোরকম ক্ষতিগ্রস্ত না করে তাদের নির্বিঘ্নে এগিয়ে যেতে দিতে ইসরায়েলকে আহ্বান জানিয়েছেন।
কিন্তু সেই আহ্বানে সাড়া না ফিয়ে ইসরায়েল শপথ করেছে যে, তারা গাজাগামী এই ফ্লোটিলা থামাবে, কারণ তাদের দাবি অনুযায়ী স্বেচ্ছাসেবকরা ‘একটি বৈধ নৌ অবরোধ লঙ্ঘনের’ চেষ্টা করছে।
ইসরায়েলি নৌবাহিনী নৌবহরের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের পথ পরিবর্তনের নির্দেশ দিয়েছে।
এক বিবৃতিতে ইসরায়েল দাবি করেছে, নৌবহরটি একটি সক্রিয় যুদ্ধক্ষেত্রের দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং একটি ‘বৈধ নৌ অবরোধ’ ভঙ্গ করছে।
এদিকে নৌবহরে ইসরায়েলি সেনারা সহিংসতা চালাবে না বলে জানিয়েছেন ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তায়ানি। তিনি জানান, এ বিষয়ে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সাআরের সঙ্গে কথা বলেছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তায়ানি বলেন, আমরা সাআরের সঙ্গে কথা বলেছি, যেন তেলআবিবের সশস্ত্র বাহিনী কোনো ধরনের সহিংস পদক্ষেপ না নেয়। এ বিষয়ে আমাকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন