গাজায় হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ইসরায়েলকে বোমাবর্ষণ থামাতে হবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।
রোববার (৫ অক্টোবর) সিবিএস নিউজের টকশো ‘ফেস দ্য নেশন’-এ দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
রুবিও বলেন, বোমা হামলার পরিস্থিতিতে জিম্মি মুক্তি সম্ভব নয়। যুদ্ধ চলাকালীন এটি করা যাবে না— তাই হামলা বন্ধ করাই একমাত্র উপায়।
একই দিনে সিএনএনের এক প্রতিবেদকের সঙ্গে টেক্সট বার্তায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধে সম্মত হয়েছেন। রোববার মিসরের শারম আল-শেখে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে আলোচনাও অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে; নেতানিয়াহু আশা প্রকাশ করেছেন যে, গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তি ‘কয়েক দিনের মধ্যে’ সম্ভব হতে পারে।
এই কূটনৈতিক উদ্যোগটি এসেছে ট্রাম্পের ওপর ভিত্তি করে প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় রোডম্যাপের পরে— যাতে গাজার আটক ইসরায়েলিদের বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে।
রুবিও রোববার আরও কয়েকটি মার্কিন টকশোতে অংশ নিয়ে বলেছেন, জিম্মিদের মুক্তির পথে এখনো কিছু প্রয়োগগত (লজিস্টিক) জটিলতা রয়ে গেছে, যা সমাধান প্রয়োজন। তবে দীর্ঘমেয়াদি দিক থেকে গাজার ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কাঠামো গঠন ও সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর নিরস্ত্রীকরণ আরও জটিল ও সময়সাপেক্ষ হবে; তিন দিনের মধ্যে হামাসবিহীন নতুন প্রশাসন গঠন সম্ভব নয়।
ট্রাম্প সিএনএনকে জানিয়েছেন, হামাস সত্যিই শান্তিতে রাজি কিনা তা ‘খুব শিগগিরই’ পরিষ্কার হবে। তিনি সতর্ক করে বলেন, যদি হামাস ক্ষমতা ছাড়তে অস্বীকৃতি জানায়, তাহলে তারা সম্পূর্ণ ধ্বংসের মুখোমুখি হবে।
মন্তব্য করুন