এবার ইসরায়েলকে হুঁশিয়ারি দিল মিসর। মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ সুখরি এবার গাজায় খাদ্য সাহায্য বন্ধের ব্যাপারে এ হুঁশিয়ারি দিলেন।
কায়রোতে জাতিসংঘের দুই কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকে তিনি খাদ্যসহ অন্যান্য মানবিক সাহায্য বন্ধের প্রতিবাদ করেন। এসব সাহায্য বন্ধ করে সামগ্রিক জনগণকে শাস্তি দেওয়া আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের লঙ্ঘন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
জাতিসংঘের মিডল ইস্ট পিস প্রসেসের সমন্বয়কারী টর উয়েনেসল্যান্ড এবং ইউএন রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্ক এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজির কমিশনার-জেনারেল ফিলিপ লাজারিনির সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব বলেন। মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিস্তিনে জাতিসংঘকে মানবাধিকারসংক্রান্ত যে কোনো কার্যক্রমে সহোযোগিতা করবে বলে জানায়।
এসময় তিনি গাজা উপত্যকায় ইউএনআরডব্লিউএ স্কুলে হামলার নিয়ে গভীর শঙ্কা প্রকাশ করেন।
এর আগে ফিলিস্তিনে মিসরের সাহায্যকারী যানবাহনে হামলার হুমকি দিলেও হামাসের সঙ্গে সমঝোতার জন্য মিসরের শরণাপন্ন হয় ইসরায়েল। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের রিপোর্টে বলা হয়, ইসরায়েল মিসর সরকারকে হামাসের কাছে বন্দি ইসরায়েলিদের মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য আলোচনায় সাহায্য করতে কায়রোকে অনুরোধ জানিয়েছে।
তবে হামাসের এক শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেছেন, হামাসের নিয়ন্ত্রণে থাকা কয়েকটি দলের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেছে সংগঠনটি। এই দলগুলো ইসরায়েলিদের বন্দি হিসেবে আটকে রেখেছিল। ফলে এসব ইসরায়েলির ভাগ্যে কী ঘটছে তা নিয়ে ব্যাপক উদ্বিগ্ন ইসরায়েলি প্রশাসন।
এদিকে ইসরায়েলকে হামলার ব্যাপারে আগেই সতর্ক করেছিল মিসর। ৯ অক্টোবর মিসরীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সাম্প্রতিক হামলা নিয়ে এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। টাইমস অব ইসরায়েলের বরাতে জানা যায়, তিনি সোমবার গণমাধ্যমকে বলেছেন, ইসরায়েলকে বারংবার সতর্কতা দেওয়া হয়েছিল, গাজাভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠনগুলো বড় কিছুর পরিকল্পনা ফাঁদছে।
মিসরীয় এ কর্মকর্তা বলেন, ইসরায়েলিরা পশ্চিম তীর নিয়েই বেশি মনোযোগী ছিল। তারা গাজার ব্যাপারে কম গুরুত্ব দিয়েছে।
অ্যাসোসিয়েট প্রেস জানায়, মিসরীয় এ কর্মকর্তা আরও বলেন, আমরা তাদের এমন বড় একটি বিস্ফোরক অবস্থার বিষয়ে সতর্ক করে আসছিলাম। তবে তারা এসব সতর্কবার্তার তোয়াক্কা করেনি।
মন্তব্য করুন