সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২
কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৫ এএম
আপডেট : ০২ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

এপ্রিল মাসেই জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ চায় ফিলিস্তিন

ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে একটি শিশু। ছবি : সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে একটি শিশু। ছবি : সংগৃহীত

যুগের পর যুগ ধরে জাতিসংঘের সদস্যপদ পেতে চেষ্টা-তদবির করে আসছে ফিলিস্তিন। বিশ্বের বড় বড় দেশ ও নেতাদের অনুরোধ করে আসছেন ফিলিস্তিনি নেতারা। তবে এত বছর পার হলেও শুধু জাতিসংঘের স্থায়ী পর্যবেক্ষকের মর্যাদা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে দেশটিকে। বছরের পর বছর ধরে বৈশ্বিক সংস্থাটির নিরাপত্তা পরিষদে আটকে আছে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদের আবেদন। তবে চলতি এপ্রিল মাসেই আবারও নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। আসন্ন এই বৈঠকেই জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদের দাবি করার কথা জানিয়েছে ফিলিস্তিন। খবর ডেইলি সাবাহর।

সোমবার (১ এপ্রিল) জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি দূত রিয়াদ মনসুর জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ পেতে চলতি মাসে নিরাপত্তা পরিষদের ভোটের দাবি করেছেন। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের যুদ্ধ এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে অবৈধ ইসরায়েলি বসতি নির্মাণের হার বৃদ্ধির মধ্যে এই পরিকল্পনার কথা প্রকাশ করলেন তিনি।

মনসুর বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, আগামী ১৮ এপ্রিল একটি মন্ত্রীপর্যায়ের বৈঠকে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে নিরাপত্তা পরিষদ। তবে ভোটের তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

তিনি বলেন, ২০১১ সালে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ পেতে আবেদন করেছিল ফিলিস্তিন। সেই আবেদন এখনো পড়ে আছে। কারণ নিরাপত্তা পরিষদ কখনো ভোটের আয়োজন করেনি। আমরা এই মাসে নিরাপত্তা পরিষদে ভোটের জন্য আবেদন করব।

গত ছয় মাস ধরে গাজা যুদ্ধ চলছে। ইসারয়েলি হামলায় সেখানে ৩২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। অন্যদিকে হামাসের হামলায় ১২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত নিরসনে এই যুদ্ধের মধ্যে আবারও দ্বিরাষ্ট্রীয় সমধানের বিষয়টি আলোচনায় আসছে। দ্বিরাষ্ট্রীয় সমধানের মূল কথা হলো ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন নামে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র পাশাপাশি অবস্থান করবে।

কোনো দেশকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য পদ পেতে হলে অবশ্যই নিরাপত্তা পরিষদের ছাড়পত্র লাগবে। নিরাপত্তা পরিষদ ছাড়পত্র দিলে বিষয়টি উঠবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে। ১৯৩ সদস্য বিশিষ্ট এই পরিষদের কমপক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ ভোট দিলেই তবে ওই দেশটি জাতিসংঘে প্রবেশ করতে পারবে। তবে এর যে কোনো পর্যায়ে ভেটো দিতে পারে ইসরায়েলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। ঐতিহাসিকভাবে জাতিসংঘে ইসরায়েলের ঢাল হিসেবে কাজ করে আসছে দেশটি। সাধারণত ইসরায়েলবিরোধী কোনো প্রস্তাবই জাতিসংঘে পাস হতে দেয় না তেল আবিবের দীর্ঘদিনের মিত্র ওয়াশিংটন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শতকোটি টাকার সম্পত্তি আ.লীগ নেতা দুই ভাইয়ের কবজায়  

নাটক নির্মাণে চিকন আলী 

ব্রিকসের দেশগুলোর ওপর আরও ১০ শতাংশ শুল্কের হুমকি

সংশোধনী প্রস্তাব আনছে ঐকমত্য কমিশন : আলী রীয়াজ

কোনাল-আমিনুলের ‘আমার কি হও তুমি’ 

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বৃদ্ধির হুমকিতে ইউরোপীয় পণ্য, বিশ্ববাজারে অস্থিরতা

বিদেশি পিস্তলসহ সন্ত্রাসী রয়েল আটক

কেবিনে নেওয়া হয়েছে ফরিদা পারভীনকে

চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ

রেস্ট হাউসে নারীকাণ্ডের সেই ওসি প্রত্যাহার

১০

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা / শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আদেশের দিন ধার্য

১১

নতুন প্রধান নির্বাহী পেল আইসিসি

১২

রাফাল নিয়ে চীনের বিরুদ্ধে ফ্রান্সের বিস্ফোরক মন্তব্য

১৩

তিন বিভাগে অতি ভারি বর্ষণ, পাহাড়ধসের শঙ্কা

১৪

ব্রাজিলের সহকারী কোচের পদ ছাড়ছেন আনচেলত্তির ছেলে

১৫

ফিলিস্তিনপন্থি গ্রুপকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে ভোট দিয়েছেন টিউলিপ

১৬

মেসিকে ধরে রাখতে তার ‘বডিগার্ড’কে দলে নিতে চায় মায়ামি!

১৭

নির্বাচন হলে দেশ সঠিক পথে এগোবে : মির্জা ফখরুল

১৮

এসএসসির ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা

১৯

আল জাজিরার বিশ্লেষণ / ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব, গাজায় যুদ্ধ কি থামবে?

২০
X