টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে সম্প্রতি পর্যটকবাহী একটি ডুবোযান নিখোঁজ হয়েছে আটলান্টিক মহাসাগরে। ডুবোযানটির সন্ধানে চলছে অভিযান। তাৎক্ষণিকভাবে জানা গেছে, ওই ডুবোযানে ছিলেন পাঁচজন। এর মধ্যে দুই প্রখ্যাত ধনকুবেরের নাম সামনে এসেছে।
সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানিয়েছে, নিখোঁজদের মধ্যে রয়েছেন—পাকিস্তানের ধনকুবের শাহজাদা দাউদ, তার ছেলে সুলেমান, যুক্তরাজ্যের ধনকুবের হ্যামিশ হার্ডিং, ফরাসি সাবমার্সিবল পাইলট পল হেনরি ও টাইটানিক অভিযান সংস্থার সিইও স্টকটন রাশ।
এনডিটিভি বলছে, ধনকুবের শাহজাদা দাউদ পাকিস্তানের একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। এ ছাড়া তার বাবা হুসেন দাউদও পাকিস্তানের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় রয়েছেন। পরিবার জানিয়েছে, ছেলে সুলেমানকে নিয়ে ডুবোযানটিতে গিয়েছিলেন শাহজাদা।
পরিবার আরও জানায়, এখন পর্যন্ত ডুবোযানের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ডুবোযানটি উদ্ধারে একাধিক সরকারি সংস্থা কাজ করছে। নিখোঁজদের নিরাপত্তার জন্য সবাইকে প্রার্থনা করার অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।
এ ছাড়া নিখোঁজ যুক্তরাজ্যের ধনকুবের এবং অ্যাকশন অ্যাভিয়েশনের চেয়ারম্যান হ্যামিশ হার্ডিং গত রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, ওশানগেট অভিযানে ‘মিশন বিশেষজ্ঞ’ হিসেবে যোগ দিচ্ছেন তিনি।
হার্ডিং বলেছিলেন, কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ডে বৈরী আবহাওয়ার কারণে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখার অভিযানটি এ বছরের একমাত্র মানব মিশন হতে পারে।
টাইটানিক জাহাজ ডুবে গেছে ১৯১২ সালে। কিন্তু এখনো পর্যটকরা বহুল আলোচিত সেই জাহাজটির ধ্বংসাবশেষ দেখতে যান।
জানা যায়, টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখানোর জন্য ছোট ডুবোযানে পর্যটক ও গবেষকদের নিয়ে যাওয়া হয়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে আটলান্টিকের তলদেশে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ পর্যন্ত পৌঁছাতে এবং আবার ভেসে উঠতে প্রায় আট ঘণ্টা লাগে।
কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ড উপকূল থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে আটলান্টিক মহাসাগরে সাড়ে ১২ হাজার ফুট গভীরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ পড়ে আছে।
প্রথম যাত্রাতেই ভাসমান হিমশৈলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে টাইটানিক ডুবে যায়। এই দুর্ঘটনায় জাহাজে থাকা ২ হাজার ২০০ যাত্রী ও ক্রুদের মধ্যে প্রায় দেড় হাজার জন নিহত হন। ১৯৮৫ সালে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার হয়।
মন্তব্য করুন