যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর মার্কিন নাগরিক, বিশেষ করে দ্বৈত নাগরিকত্বধারীদের ইরান ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে সতর্ক করেছে। চলমান আঞ্চলিক অস্থিরতা ও নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে এ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বৃহস্পতিবার এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ইরানে এখনো মার্কিন নাগরিকদের নির্বিচারে আটক রাখার প্রবণতা রয়েছে। বিশেষ করে দ্বৈত নাগরিকত্বধারীরা গ্রেপ্তার, হয়রানি কিংবা দীর্ঘদিন আটক থাকার উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন।
তিনি জানান, বর্তমানে অন্তত তিনজন মার্কিন নাগরিক গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ইরানে বন্দি রয়েছেন। এ অভিযোগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত ২২ জুন ইসরায়েল-ইরান ১২ দিনের যুদ্ধ চলাকালে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের নাতানজ, ফোরদো ও ইসফাহান পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়। ইরানি কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, এসব হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এর পাল্টা জবাবে ইরান কাতারের আল উদেইদ মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ১৪টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। এই ঘাঁটি মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনা। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পরে একতরফাভাবে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন।
এদিকে কূটনৈতিক তৎপরতার অংশ হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ জানান, পারমাণবিক ইস্যুতে আলোচনায় বসার লক্ষ্যে শিগগির ইরানিদের সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়সূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
অন্যদিকে, ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকায়ি জানিয়েছেন, আলোচনার কোনো উদ্যোগ ইরান নেয়নি। তার দাবি, আলোচনা শুরুর পূর্বশর্ত হচ্ছে পারস্পরিক সম্মান এবং সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার।
তথ্যসূত্র : শাফাক নিউজ
মন্তব্য করুন