বহুল প্রতিক্ষীত ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠক শুরু হয়েছে। এ খবর জানায় বিবিসি।
স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১১টায় (বাংলাদেশ সময় শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টা) তাদের এই বৈঠক শুরু হয়। সাড়ে তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলা ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধই এই সাক্ষাতের প্রধান লক্ষ্য।
বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং রাশিয়াবিষয়ক মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ অংশ নিয়েছেন। অপর পক্ষে রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ এবং রুশ প্রেসিডেন্টের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ বৈঠকে অংশ নিয়েছেন।
এর আগে শুক্রবার (১৫ আগস্ট) স্থানীয় সময় ট্রাম্পকে বহনকারী যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বিমান এয়ার ফোর্স ওয়ান অবতরণ করে। এর কিছুক্ষণ পরেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে বহন করা বিমানটিও অবতরণ করে।
এয়ার ফোর্স ওয়ান থেকে নামার পর ট্রাম্প লালগালিচায় দাঁড়িয়ে প্রতিপক্ষ পুতিনের সঙ্গে করমর্দন করেন এবং হাসিমুখে স্বাগত জানান।
এই বৈঠক হোয়াইট হাউসে দ্বিতীয় মেয়াদে ফেরার পর দুই নেতার প্রথম মুখোমুখি সাক্ষাৎ।
ক্রেমলিন আশা করছে, ভ্লাদিমির পুতিন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে আলাস্কায় অনুষ্ঠেয় বৈঠকটি অন্তত ছয় থেকে সাত ঘণ্টা চলবে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে এ তথ্য জানানো হয়।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল ওয়ানকে বলেন, ‘আপনি ধরে নিতে পারেন যে এটি (বৈঠক) ন্যূনতম ছয় থেকে সাত ঘণ্টা চলবে। বৈঠকটি ‘ফলপ্রসূ’ হবে বলে মস্কো প্রত্যাশা করে।
আলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের সফলত কিসের নির্ভর করছে? এমন প্রশ্নে ট্রাম্প শুক্রবার বলেছেন, তিনি ইউক্রেইনের যুদ্ধ বন্ধ দেখতে চান।
সাংবাদিকের প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বৈঠক কিসে সফল হবে, সেটি আমি বলতে পারছি না। আমি জানি না। কোনো কিছুই একেবারে নির্ধারিত নয়। আমি নির্দিষ্ট কিছু চাই, আমি চাই যুদ্ধবিরতি।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমি শিগগিরই যুদ্ধবিরতি চাই…। আজকেই যদি সেটা না হয়, আমি খুশি হব না। আমি হত্যাযজ্ঞ বন্ধ চাই।’
ট্রাম্প বারবার ইউক্রেন যুদ্ধকে একটি ‘রক্তপাতপূর্ণ সংকট’ বলে উল্লেখ করেছেন এবং এটিকে দ্রুত সমাপ্তির মাধ্যমে তিনি নিজেকে বিশ্বশান্তির দূত হিসেবে তুলে ধরতে চাইছেন। তিনি বলেছেন, যদি এই বৈঠক সফল হয়, তবে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে নিয়ে একটি ত্রিপাক্ষিক দ্বিতীয় বৈঠক আরও গুরুত্বপূর্ণ হবে।
মন্তব্য করুন